ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট কি আদৌ কাটবে?

মুজাহিদ অনীক, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট কি আদৌ কাটবে?

বাংলাদেশে অভূতপূর্ব ও রক্তক্ষয়ী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি একটি অনন্য রাজনৈতিক বাঁকবদল দেখা গেল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও সেভাবে চঞ্চল হয়ে উঠেনি।

হয়তো গত ১৫ বছরের লাঞ্চনা ও ত্রাসের পরিবেশ থেকে বের হতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যে মরণপণ লড়াই করেছেন সেটির ধকল কাটিয়ে উঠততে কিছুটা সময় লাগছে। এত রক্তক্ষয়, জুলুম আর খবরদারি মোকাবিলা তো কম কথা নয়। কিন্তু এর মধ্যে দেশের অন্যতম একটি অন্যতম বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরনো ক্ষোভের আগুন জেগে উঠছে। তারা স্বৈরশাসন হটিয়ে দেওয়ার আন্দোলনের অনন্য অংশীদার হওয়ার পর এবার নিজেদের পাওনা বুঝে নেওয়ার কাজটাও ফেলে রাখতে চাইছেন না। রাজধানীর পুরনো ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও একবার নিজেদের হিস্যা বুঝে নিতে মাঠে নামার ডাক দিচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন থেকে বঞ্চনার কথা বারংবার বললেও তা নিয়ে লাগাতার টালবাহানা চলছে। বলাবাহুল্য, এই টালবাহানার আশু সমাধান এবং নিজেদের বেহাত সম্পত্তির ওপর হকের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে তারা গণঅভ্যুত্থানের তেজকে কাজে লাগাতে চাইছেন।

বলছিলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। ২০০৫ সালে উপমহাদেশের প্রাচীনতম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হলেও ২০২৪ সাল পর্যন্ত এর আবাসন সংকট নিরসনে সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টির যেসব সম্পদ ও আবাসিক ভবন ছিল সেগুলো আশির দশক থেকে ধীরে ধীরে বেহাত হয়েছে,  কিন্তু এসব উদ্ধারে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা দেখা যায়নি। সবেধন নীলমণি, ওই এক ছাত্রীহল। সর্বশেষ ৮ বছর আগের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অব্যাহত চাপের মুখে বাংলাবাজারে প্রথমবারের মতো ছাত্রী হল চালু করা হয়, যেটি কি না বিশ্ববিদ্যালয়টির এখনও একমাত্র আবাসিক হল। পরিতাপের বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) নির্মিত হয়নি। কয়েক একর জায়গায় কোনওমতে ক্লাস -পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে প্রায় দুই দশক ধরে। শিক্ষার্থীদের হাটাচলার জায়গাটুকুও এই ক্যাম্পাসে নেই। পুরো ক্যাম্পাস শিক্ষার্থী-শিক্ষক পরিবহনের বাস দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে। পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন সকাল বেলা দৌড়াতে হয় ক্যাম্পাসের দিকে। আবার বিকেল না হতেই ক্যাম্পাস ছাড়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সম্ভবত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জীবনসংগ্রামে লিপ্ত। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক চাপ তুলনামূলক বেশি। রাজধানী শহরে বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাঝে এই শিক্ষার্থীদের কার্যত ত্রাহি-সঙ্কুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।  বিশেষ করে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শাসনামলের সর্বশেষ ৬-৭ বছরে বাজারমূল্যের পরিস্থিতি এসব শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় স্তরে ঠেলে দিয়েছে। মোটের উপর এই ক্যাম্পাসের সংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও স্থান-সংকুলান করতে না পেরে নিজেদের কার্যক্রমে লাগাম পড়াতে বাধ্য হয়। একমাত্র খেলার মাঠটিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন দখল করে নিয়েছে শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদের শাসন চলাকালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক-কর্মকর্তা টু-শব্দটিও করেনি। কারণ ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নাকি এতে অখুশি হতে পারেন! ক্যাম্পাসটির ক্যান্টিনগুলো ঠিকঠাক চলতে পারে না। খাবারের মানহীন দশা আর অতিরিক্ত দাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়মিত। ক্যাম্পাসে ভারী খাবারের সংকটের কারণ ছাত্রলীগের ফাউ খাওয়া, এ অভিযোগ খোদ ক্যান্টিন পরিচালকদের।  এ নিয়ে বারবার আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে এর সমাধান হয়নি। ছাত্রলীগের ফাউ খাওয়া দমন করা যায়নি।

সামগ্রিকভাবে, সংকটের দিকে পূর্ণ দৃষ্টি দেওয়া দূরে থাক; বরং নানা সময়ে প্রশাসন উল্টো যুক্তি তৈরি করেছে এভাবে—বেদখল হয়েছে বলে দাবি করা ১১টি হল নাকি আদতে কোনও হলই ছিল না। শিক্ষার্থীরা বারবার এ ধরনের কথাবার্তাকে প্রত্যাখান করে এসেছেন।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে সাজাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়া হয়েছিল পাইলট প্রকল্প হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজ খরচে চলতে হবে—এমন বিধান রেখে ২৭/৪ ধারার মতো কালাকানুন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপরে। সেই সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র নেতৃত্ব প্রথম ব্যাপারটিকে ছাত্রদের সামনে তুলে আনেন, পরবর্তীতে সেই ছাত্র আন্দোলনে শামিল হয় গোটা ক্যাম্পাস। সরকার বাতিল করতে বাধ্য হয় সেই কালো ধারা। পরবর্তীতে সরকার অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই ধারা চাপানোর সাহস করেনি। সেই ২৭/৪ ধারা বাতিল হলো, কিন্তু পরের কোনও সময়েই এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের স্বস্তিদায়ক শিক্ষাজীবন আসেনি। বছরের বছর হল-আবাসনের দাবিতে লড়াই করে গেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বারবার আশ্বাস! প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি পেরিয়ে গেছে। এক প্রজন্ম শেষে আরেক প্রজন্ম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে;  কিন্তু তাদের আবাসনের দাবি অবহেলিত থেকেছে। ক্যাম্পাসের সামনের এক টুকরো জায়গাকেই তারা টিএসসি হিসেবে ঘোষণা করেছে। কতটা আক্ষেপ নিয়ে এতগুলো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন শেষ করেছে, সেই হিসেব উপাচার্য, শিক্ষকমণ্ডলী ও প্রশাসনের কর্তারা কি ভেবেছেন? কোনওদিনই ভাবেননি। যখনই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে তখনই তাদের  ওপর হামলা করেছে এবং শিবির বলে দাগিয়ে দিয়েছে। ১৯ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়, এবং তার আগে শতবর্ষী এই বিদ্যাপীঠের কলেবর বাড়ানোতে এতটুকু নজর কেউ দেয়নি। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্বটুকু বাদ দিয়ে কেউ এই পূর্ববঙ্গের ইতিহাস লিখতে পারবেন? নাহ, পারা সম্ভব নয়। এই ক্যাম্পাস বাদ রেখে আপনি ইতিহাসের কোনও পথেই হাটতে পারবেন না।  

২৭/৪ ধারা বাতিলের আন্দোলনের পর নানা সময়ে হল উদ্ধার ও আবাসন সংকট নিরসনের আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগ নানা সময় নিজেদের নানা স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঠে নামিয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকে বন্ধ করতে ও দমন করতে নানা আপসনামায় তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

২০১৬ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছাত্র আন্দোলন হয়। ৩৩ দিনের সেই আন্দোলনের ছত্রে ছত্রে পুলিশি নির্যাতন, ছাত্রলীগের হামলা, নারী নিপীড়নসহ নানা ঘটনাপ্রবাহ জড়িয়ে রয়েছে। সেই বছরের আগস্ট মাসজুড়ে গোটা ক্যাম্পাস ছিল অচল। প্রক্টরের নেতৃত্বে চালানো হয় হামলা। আগস্টের মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রোডমার্চের দিন ছাত্রদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় পুলিশ। টিয়ারশেল, রাবার বুলেটে স্তব্ধ হয়ে যায় জনসন রোড, ইংলিশ রোড। লাগাতার ছাত্র ধর্মঘট ভাঙতে ছাত্রলীগ-পুলিশ যৌথ আক্রমণ চালাতে থাকে। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অবিভাবকদের হয়রানি,  হুমকি-ধামকি চলতে থাকে।  

এতকিছুর পরও আগস্টের শেষ নাগাদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশে সে সময়কার ছত্রনেতৃত্বের ডাকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হন, যেখানে দেশের বুদ্ধিজীবীমহল থেকে শুরু করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হাজির হয়ে সংহতি জানান। পরিতাপের হলো, সেদিন এই শিক্ষার্থীদের পাশে একজন শিক্ষককেও দেখা যায়নি। পরিষ্কার মনে পড়ে, ছাত্রদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব অনশনে বসেছিল এবং পরবর্তীতে সেই অনশন ভাঙাতে ছাত্রলীগের নেতাদের জুস পান করিয়েছিল প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু সেই অভূতপূর্ব ও স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলন তাতেও দমে যায়নি। এক পর্যায়ে আন্দোলনের চাপে প্রথমবারের মতো তৎকালীন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের প্রশাসন ব্যাপক চাপে পড়ে। বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনার ওই সময়ের সরকার ঢাকার কেরানীগঞ্জে জমি অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয় এবং ছাত্রীহলের কাজ দ্রুত শেষ করার ঘোষণা দেয়। সেই সময় আরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, দ্রুতই ক্যাম্পাসকে বুড়িগঙ্গার ওপারে সম্প্রসারণ করা হবে। বিগত মাসছয়েক আগে সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানতে পেরেছি, অধিগ্রহণকৃত জমিতে ক্যাম্পাস সম্প্রসারণকল্পে কাজের কোনও অগ্রগতিই নেই। সাবেক ভিসি ড. ইমদাদুল হক থেকে সদ্য পদত্যাগকারী ড. সাদেকা হালিম—কেউই পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

তবে ২০১৬ সালের সেই গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামে একমাত্র ছাত্রলীগ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংস্কৃতিক সংগঠন, সাংবাদিক সমিতি ও ছাত্রসংগঠগুলো এক কাতারে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময়ের লড়াইয়ের দিনগুলোতে যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়েছিল তাদের অনেকের অবদান ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। ছাত্রনেতা মেহরাব আজাদ, সরদার আল আমিন, রুহুল আমিন, কিশোর কুমার সরকার, অনিমেষ রায়, সমিত ভৌমিক, মওদুদ তন্ময়, এসকে শুভ, চৈতালি আক্তার রীতা, তিথি চক্রবর্তী, রনিয়া সুলতানা ঝুমুর, রাশেদুল ইসলাম, অরূপ সরকার, শফিকুল ইসলাম রাইসুল ইসলাম নয়ন, মনিরুল ইসলাম রাজন, অঞ্জন রানা গোস্বামী, ইমরুল শাহেদ বাধন, মাহিদুল ইসলাম মাহিম-সহ আরও অনেক শিক্ষার্থী সেদিন আপসহীন লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর ক্ষমতাসীনদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত অর্থে ছাত্রস্বার্থকে নস্যাৎ করে গেছে। প্রশাসনের নানা জায়গায় দলীয় আনুগত্যে নিয়োগ হয়েছে বহু। বিশেষ করে ক্যাম্পাসে পরিসর যেমন এখানে সংকুচিত, গণতান্ত্রিক পরিসর আর মতপ্রাকাশের আবহও দুর্বল। প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে নানা সময় মারাত্মক সব অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি বরাবরই বৈমাত্রেয় আচরণের শিকার। নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের হার এখানে খুবই কম। আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এখানে যারা নিয়োগ পান, তারা একটা পর্যায়ে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই শিক্ষকতার উপযুক্ত জায়গা হিসেবে বেছে নেন। শিক্ষকদের নিজস্ব সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে দেখলে, ব্যাপারটি খুবই স্বাভাবিকই। কারণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সেই অর্থে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এখনও গড়েই উঠেনি। চারদিকে নানা সংকট। শিক্ষকদের আবাসন নেই। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি সেই দরদ কারও তৈরি হয় না, তার আগেই তারা সরে যান। ১৯ বছরেও এই ব্যবস্থার বদল হয়নি। বদলের নমুনাও দেখি না। কিন্তু এভাবে যদি দিনের পর দিন চলতেই থাকে, তাহলে সামনে সংকট আরও বাড়বে। তাই এখানে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের থেকে শিক্ষক নিয়োগদানকে প্রাধান্য দিতে হবে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এমন প্রবীণ কেউ একজনকে উপাচার্য পদে বসাতে হবে। এখন যেহেতু স্বৈরশাসকের পদলেহনকারীরা পদ ছাড়ছেন, তাই এইটাই উপযুক্ত সময়।  

লেখক ও অনুবাদক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা এবং হল উদ্ধার ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ আন্দোলনের সাবেক সংগঠক 

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।