ঢাকা: বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর রিয়াজ বলেছেন, ডলারের দাম বাড়ার পাশাপাশি আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি ব্যাঘাত ঘটেছে। এতে তারা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না ।
মাসরুর রিয়াজ বলেন, গত আড়াই বছরে ডলারের অবমূল্যায়ন হয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ। তার সঙ্গে আমদানিতে অনেক ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে যারা আমদানি করে পণ্য বিক্রি করেন এবং কাঁচামাল আমদানি করে পণ্য উৎপাদন করেন তাদের ওপর বড় ধরনের একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তারা ব্যাপক চাপে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, একদিকে ডলারের অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৭ শতাংশের মতো। অন্যদিকে সময়মতো কাঁচামাল আমদানি করতে পারেননি। ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চাহিদামতো পণ্য পাননি ব্যবসায়ীরা। আর এ সমস্যা শুরু হয়েছে কভিড-১৯ মহামারি থেকে উত্তরণের মুহূর্তেই। এতে অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি ব্যাঘাত ঘটেছে। তারা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ডলারের দাম যাতে আর না বাড়ে সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে প্রচেষ্টা আছে সেটাকে ধরে রাখতে হবে। ব্যালেন্স অব পেমেন্ট স্থিতিশীল রেখে আস্তে আস্তে এলসি (ঋণপত্র) খোলা যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে। এতে সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৪
এসআইএস