জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখা যায় তলাবিহীন ঝুড়ির মতো। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো টেকসই অর্থনৈতিক সংস্কার।
দেশের অর্থনীতির চাকা বেগবান করতে তাদের মূল লক্ষ্য রাখতে হবে কীভাবে অতি দ্রুত ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া যায়। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, যেন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়। সেই সঙ্গে গ্রামীণ কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিকশিত করতে যথাযথ সহায়তা প্রদান করতে হবে। এই ভেঙে যাওয়া অর্থনীতিকে আগের তুলনায় আরো সামনে নিয়ে যেতে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার।
প্রয়োজনে সরকারি সহযোগিতায় বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করে বহির্বিশ্বের কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। ফলে তারা বৈদেশিক রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে। একই সঙ্গে আমদানি হারের পরিমাণ কমিয়ে দেশকে রপ্তানিনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া যেতে পারে।
মোটকথা, দেশকে বাণিজ্যিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলতে হবে। কৃষি থেকে শুরু করে শিল্প—সব খাতকে যার যার জায়গা থেকে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে যেতে হবে। তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ হবে স্বপ্নের বাংলাদেশ।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
এসএএইচ