ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ঢাকা কি বাঁচবে?

রফিকুজজামান রুমান, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১২
ঢাকা কি বাঁচবে?

ঢাকা শহরকে কী বলা যায়? অকার্যকর শহর, মুমূর্ষু শহর, নাকি মৃত শহর? মৃত শহর বলা বোধ হয় ঠিক হবে না। এক কোটি ২০ লাখ মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে শহরের বাতাস, তাকে কি মৃত বলা যায়! দুই কোটি ৪০ লাখ মানুষের পদচারণায় মুখর শহরকে অকার্যকরও বলা যায় না।

তাহলে কার্যকর শহর বলা যাবে কোনটিকে! মুমূর্ষু শহর বলা যেতে পারে।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) কিংবা কোমায় ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থান - এমন দাবিও কেউ কেউ করতেই পারেন। তবে সবাই নিঃসন্দেহে একমত হবেন, যখন ঢাকাকে বলা হবে ‘বসবাস অনুপযোগী শহর’। এটিই তিলোত্তমা ঢাকা নগরীর মোক্ষম এবং সবচেয়ে সময়োচিত পরিচিতি। তবু আমরা এখানে বসবাস করছি। ঢাকা শহরের ছোট্ট মানচিত্রকে আমরা খোদাই করে চলেছি ক্রমাগত। প্রতিদিন মানুষ আসছে বানের পানির তোড়ের মতো। গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। ফুরিয়ে যাচ্ছে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’। বলা হয় “ঢাকায় টাকা ওড়ে”। সেই টাকা ধরার জন্য চলছে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। ঢাকা যেন জীবন ও জীবিকা নির্বাহের অনিঃশেষ রত্নভাণ্ডার। অন্য কোথাও যার কিছুই করার নেই, তারই অনিবার্য গন্তব্য এই ঢাকা শহর। যার কিছু করার আছে সেও এই ঢাকামুখি। চাকরির জন্য ঢাকা, ব্যবসার জন্য ঢাকা, পড়াশুনার জন্য ঢাকা, চিকিৎসার জন্য ঢাকা, ভিক্ষার জন্যও ঢাকা। সারাবছর তো থাকেই, কোনো কোনো বিশেষ উপলক্ষ্যে ঢাকার শহর পরিণত হয় ভিক্ষুকের নগরীতে।

সবাই একরাশ আশা নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। ট্রেন, বাস কিংবা লঞ্চে চড়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটে এই ঢাকায়। সঙ্গে থাকে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশা। কিন্তু কী আছে ঢাকার? বুড়িগঙ্গার আঁধার-কালো পানির মতোই সে আজ বিবর্ণ। দিতে দিতে সে আজ নি:স্ব। আর কিছুই নেই। কলকাতা শহর নিয়ে ১৯৯৯ সালে লেখা  City of Joy বইয়ে লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ার কলকাতা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘Here there is no more hope ...... all that is left is anger.’ আজকের ঢাকাও তাই। এখানে আর কোনো আশা নেই। আছে দুঃখ, হতাশা, ক্ষোভ।

স্বাধীনতার ৪০ বছরে বাংলাদেশের ব্যর্থতার যদি একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে জাতিগতভাবে আমাদের ‘ঐক্যবদ্ধ’ হতে না পারাটা থাকবে সবার ওপরে। ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না বলেই অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে ব্যর্থ হচ্ছি। রাজনৈতিক মতাদর্শে মতভেদ থাকবে, থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয় যখন দেশ, দেশের স্বার্থ, তখন সব রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে জাতি হিসেবে অকার্যকর হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। রাজনীতির বিষয় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু ঢাকা শহর একটি নাগরিক বিষয়। এটাকে নাগরিক সমস্যা হিসেবেই দেখতে হবে। ক্ষমতার পালাবদল হয়, রাজনীতির ‘জাদুমন্ত্র’ এক হাত থেকে অন্য হাতে চলে যায়, কিন্তু ঢাকা শহরের সমস্যার সমাধান হয় না। ঢাকা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের প্রাণের, বাংলাদেশের মধ্যমণি ঢাকা শহরকে রক্ষা করার জন্য সম্মিলিত কোনো উদ্যোগ নেই। রাজনীতি নিয়ে আপাদমস্তক ব্যস্ততায়  ঢাকা পড়ে যাচ্ছে আড়ালে। লেখালেখি হয়। সভা, সেমিনার, বক্তব্য সবই হয়। তবু কার্যকর কোনো সমাধান হয় না। হয় না, কারণ সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। কাজের কোনো সমন্বয় নেই। আজ একটি রাস্তা স্যুয়ারেজের লোকজন এসে খোঁড়াখুঁড়ি করে গেল। দুদিন পর সেই রাস্তায় আবার এসে হাঁতুড়ি বসালো ওয়াসার লোকজন। অথচ সমন্বয় থাকলে হয়ত একসঙ্গেই দুটি কাজ করা যেত।

ঢাকার যানজট সমস্যা নিয়ে এত কথা হয়েছে এবং হচ্ছে যে, সেটাকে বলা যায় ‘কথাজট’। নানা মুনীর নানা মত, বিশেষজ্ঞদের নানাবিধ পরামর্শ, পরিকল্পনার আশ্বাস-- সবই আছে। নেই শুধু তার বাস্তবায়ন। নগরবাসীর কাছে যানজটের চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু আছে বলে মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন গণ্যমান্য ছাড়া সবাই এর ভুক্তভোগী। গরিব এই দেশটির কতো কর্মঘণ্টা প্রতিদিন দীর্ঘশ্বাস হয়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়! কর্মব্যস্ত ঢাকা মাঝেমধ্যেই হয়ে যায় স্টিল ক্যামেরার স্থিরচিত্র। অফিসে পৌঁছার নির্দিষ্ট সময় পাড় হয়ে যায়, ক্লাশের সময় অতিক্রান্ত হয়, চাকরির ইন্টারভিউর সময় চলে যায়, নির্দিষ্ট সময়ে কারো কছে পৌঁছার ওয়াদা ভঙ্গ হয়, কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দমকল বাহিনী পৌঁছাতে পৌঁছাতে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায় সব, অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌঁছার আগে মুমূর্ষু রোগীর কাছে পৌঁছে যান স্বয়ং আজরাইল (আ.)  এসবই ঢাকার নিত্যদিনের চিত্র। যানজট নামক এই দানবের কাছে নগরবাসী অসহায়। সমাধান কী? অনেকেই রিকশার কথা বলেন। রিকশা অবশ্যই যানজটের একটি বড় কারণ। ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় চার লাখ রিকশা চলে। (ঢাকা কে বলা হয় ‘রিকশার রাজধানী` - Rickshwa Capital of the World). এই চার লাখের মধ্যে মাত্র ৮৫ হাজার রিকশার বৈধ লাইসেন্স আছে। বাকি অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়। তবু রিকশা কমে না। কমবেও না। বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে অবৈধ রিকশার টায়ার ফুটো করে দিয়ে মানুষের পেটের জ্বালা নিবারণ করা যায় না। যাতায়াতের  মাধ্যম হিসেবে এই রিকশা ব্যবস্থাকে আমার কাছে অমানবিকও মনে হয়। একজন রিকশা চালক, কখনো কখনো বাবার বয়সী, সে দুই বা তিনজন মানুষকে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে- এটি হওয়া উচিৎ নয়। এই মানবিকতার বিষয় হোক কিংবা যানজট সমস্যার সমাধান হোক, রিকশা ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে উঠিয়ে দিতে হবে। সাথে সাথে সৃষ্টি করতে হবে বিকল্প কর্মসংস্থান। রিকশাকে একতরফা দায়ি করার মধ্য দিয়ে আড়ালে চলে যায় প্রাইভেট কার। যানজট সৃষ্টির পেছনে এই প্রাইভেট কারের ‘অবদান’  কোনো অংশে কম নয়। দেশে মোট প্রাইভেট কারের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। প্রতিদিন দেশে দেড়শ’র উপরে নতুন প্রাইভেট কার নামছে, যার অধিকাংশই ঢাকার বুকে। রাস্তা নেই, পার্কিং এর জায়গা নেই। তবু আসছে নতুন নতুন গাড়ি। শহরের বিশেষ করে ইরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে প্রায় প্রতিজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে প্রাইভেট কার। এই প্রাইভেট কার একবার তাকে বাসা থেকে নিয়ে আসে। স্কুল শেষে আবার তাকে বাসায় নিয়ে যায়। ফলে স্কুল শুরু এবং শেষের সময় সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজটের। অথচ এর একটি সহজ সমাধান আছে। দরকার শুধু সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা। সেখানে বলা হবে, কোনো অভিভাবক তার সন্তানকে প্রাইভেট কারে স্কুলে পাঠাতে পারবেন না। স্কুলের সামনের রাস্তায় কোনো প্রাইভেট কার পার্ক করা যাবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে স্কুল বাস সার্ভিস চালু করবে। শিক্ষার্থী আনা নেওয়ার জন্য তারা একটি মাসিক চার্জ ধার্য করবে। এতে করে বিশ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিশটি প্রাইভেট কারের কাজ একটি বাস দিয়েই সম্পন্ন করা যাবে। রাস্তার উপর গাড়ির চাপ কমবে। যানজট কমবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের অভিবাবকেরও বাসে বসার ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের ধারণা, যানজট নিরসনে এটি একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। এবং একই সঙ্গে আমাদের আশঙ্কা, খুব সম্ভবত এই পদক্ষেপটি নেওয়া হবে না। কারণ, পদক্ষেপটি নেওয়ার ক্ষমতা যাদের হাতে, তারা তাদের বাচ্চাদের লিমুজিন, মার্সিডিজ, ল্যান্ড ক্রুসারের পরিবর্তে বাস গাড়িতে দিতে আগ্রহী হবেন না। অথচ এটি করা গেলে যানজট নিরসনের পাশাপাশি গ্যাসেরও বিপুল সাশ্রয় হতো। স্কুল ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত এবং মান সম্পন্ন বাস সার্ভিস বাড়াতে হবে।

যানজট নিরসনে বিকেন্দ্রীকরণের ধারণাটি হতে পারে বেশ কার্যকর। ঢাকাকে কেন্দ্র করে সবকিছু পরিচালিত হয় বলেই সবাই ঢাকামুখি। মুখ অন্যদিকে ফেরাতে হবে। রফতানি আয়ের ৬৫ শতাংশ এর উৎস গার্মেন্টস শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার সবার আগে। সব গার্মেন্টস কারখানা ঢাকায়। ঢাকায় একটি নতুন গার্মেন্টস কারখানা প্রতিষ্ঠার অর্থ হচ্ছে নতুন কয়েকশ লোকের অবধারিত বসবাস। এই তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। এটিকে নিয়ে দরকার বিস্তর পরিকল্পনা। গড়ে তোলা যেতে পারে একটি আলাদা ‘তৈরি পোশাক শিল্প এলাকা’। এবং অবশ্যই সেটি ঢাকার বাইরে। একই ভাবে ট্যানারি শিল্পকেও ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সিটি কর্পেরেশনগুলোর যথাযথ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে মানুষ হাতের কাছেই সবকিছু পেলে আর ঢাকায় আসবে কেন? এরপরও যাদের কাজ ঢাকায়, তাদের জন্য ঢাকায় আসা সহজ করতে হবে। যেন বাড়িতে থেকেই ঢাকায় এসে অফিস করা যায়। ইতিমধ্যেই অবশ্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন হয়েছে। দরকার ম্যাগনেটিক ট্রেন ব্যবস্থা। এখন গাড়িতে মিরপুর থেকে মতিঝিল যেতে যত সময় লাগে, তার চেয়েও কম সময়ে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে অফিস করা যাবে।

ঢাকায় বসবাসের আরেক বিড়ম্বনার নাম পরিবেশ বিপর্যয়। বুড়িগঙ্গার পানি দেখে কেউ ভুল করেও বলতে পারবে না- পানির অপর নাম জীবন। এই বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে না পারলে ঢাকা বাঁচবে না। পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা, বর্জ্য অপসারণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আধুনিক কর্মপন্থা ব্যবহার করতে হবে। ওয়াসার পানি নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কমিউনিস্ট নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম কিছুদিন আগে একটি কলামে চমৎকারভাবে ওয়াসার পানির চিত্র তুলে ধরেছেন। ওনার নিজের বাসার লাইনে পানি থাকে না। যা একটু আসে তা কাঁদা-মাখা। দুর্গন্ধতো আছেই। এরই মধ্যে অবশ্য শোনা গেছে, ওয়াসা পানির দাম বাড়াবে! ঢাকা শহরে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার এখনো নিষিদ্ধ করা যায় নি। হাজার হাজার গাড়ি আর তার কোটি কোটি হর্ন, যার অধিকাংশই অপ্রয়োজনীয়, নগরবাসীকে বিরক্তির শেষ পর্যায়ে নিয়ে যায়। এই হাইড্রোলিক হর্ন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মাথাব্যাথা, স্নায়ুবিক সমস্যাসহ নানা রোগের জন্য দায়ি। ঢাকা শহরের বাতাসে সিসার অভাব নেই। মানুষের শব্দ ধারণের সহনীয় মাত্রা ৪৫ ডেসিবল হলেও ঢাকায় শব্দ দূষণের মাত্রা ১০০ ডেসিবলেরও বেশি। এটি নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেই।

বৈশ্বিক উষ্ণতার অন্যতম শিকার আমাদের বাংলাদেশ। গরমে অতিষ্ট মানুষ। লোডশেডিং সেটাকে করে তোলে অসহনীয়। গরম থেকে বাঁচার আশায় নগরবাসী বাধ্য হয়ে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। বৃষ্টি হলে যদি দু’দ- শান্তি পাওয়া যায়! বৃষ্টি হয়। আমরাও শান্তির সাগরে হাবুডুবু খাই। মোটামুটি বিশ মিনিটের একটি বৃষ্টি ঢাকা শহরকে ‘সাগরে’ পরিণত করতে যথেষ্ট। প্রতি বর্ষাতেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ নদীর দেশ। আমরা জল কে ভালেঅবাসি বলেই হয়ত এর কোনো সমাধান হয় না!

সংক্ষেপে এই হলো ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী, আমাদের প্রাণের শহর। Far Eastern Economic Review-এর মতে ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৫০ লাখ! তখন বোধ করি ঢাকা অকার্যকর, মুমূর্ষু নাকি মৃত -  এই নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন হবে না; ৪১৫ বছর বয়সী এই শহরটি নিজেই হয়ে উঠবে এক ‘জীবন্ত’ মৃত্যুপুরী।

অতএব, ঢাকা কে বাঁচান। এখনই।

লেখক প্রভাষক, কমিউনিকেশন এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট, ইউডা
[email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১২
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।