ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

নির্বাচিত সরকারের চেয়েও বেশি গ্রহণযোগ্য এই সরকার

লুৎফর রহমান হিমেল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৫
নির্বাচিত সরকারের চেয়েও বেশি গ্রহণযোগ্য এই সরকার ...

‘জুলাই বিপ্লব’ নামে পরিচিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অত্যুজ্জ্বল দেদীপ্যমান এক অধ্যায়। এ দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধের পর গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় যত গণআন্দোলন হয়েছে, জুলাই বিপ্লব তার মধ্যে অন্যতম এবং অনন্য হয়েই থাকবে।

২০২৪ সালের ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক তরুণতাজা প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের এক দুঃশাসককে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এই ছাত্র-জনতাই শেষ পর্যন্ত নোবেলজয়ী বিশ্বব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্রান্তিকালে দেশের হাল ধরার জন্য অনুরোধ করেছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেছেন। প্রথম দিকে যৎকিঞ্চিত এলোমেলো মনে হলেও এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার চলছে দুর্বার গতিতে বিজয় নিশান উঁচিয়ে। এ কারণে চারদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের জয়জয়কার এখন।

গত সাত মাসে ইতিবাচক অনেক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পুরো রোজার মাসে ড. ইউনূসের সরকার দ্রব্যমূল্য জনগণের স্বস্তির সীমারেখায় রেখেছিল। স্বাধীনতার পর এমন বাজার নিয়ন্ত্রিত রোজার মাস আর দেখেনি এ দেশের মানুষ! রোজা শেষে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের আরেক স্বস্তির উপলক্ষ ছিল যানবাহন। বরাবরই আমরা দেখি ঈদে ঘরমুখো মানুষের যানবাহন নিয়ে ভোগান্তি। পত্রিকার পাতা ঠাঁসা থাকে যানজট আর দুর্ঘটনার নানা খবরে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এবার আর এমন দৃশ্য দেখা যায়নি! সরকারের নানামুখী তৎরতায় সড়কেও ছিল শৃঙ্খলা! এমনকি ট্রেনগুলোও সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে স্টেশন।  

এই যখন দেশের ভেতরের অবস্থা, ঘর সামলানোর পাশাপাশি ড. ইউনূসের সরকার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। দেশের পতাকা অধ্যাপক ইউনূস সুউচ্চে তুলে ধরছেন। আন্তর্জাতিক বৈঠক-সেমিনারে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় চোখে চোখ রেখে কথা বলে চলেছেন তিনি। চীন সফর করে তিনি নিয়ে এসেছেন ডালিভরা সাফল্য। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনে তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরেই করেছেন বাজিমাত। দুই দেশের মধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছেন এবং দেশটির সঙ্গে সম্পর্কও তিনি ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে গেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের আরেকটি দিক ছিল চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করার বিষয়টি। জিনপিং বাংলাদেশের ড. ইউনূস সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন, যা প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সরকারকে উৎসাহ জোগাবে নিশ্চিত। অথচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত বছরের জুলাই মাসে চীন সফর করেছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরে অনেকটাই খালি হাতে ফিরেছিলেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস যখন চীন সফর করলেন তখন ঢাকা-বেইজিং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপিত হচ্ছিল। ঐতিহাসিক এমন যুগসন্ধিক্ষণে প্রধান উপদেষ্টার ওই সফরের মধ্য দিয়ে আগামী দিনগুলোতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া কেমন হবে সেটিরও একটি ইঙ্গিত মিলেছে। যে কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এ সফরকে ‘সফল ও ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করছেন।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন সফরে বড় একটি দিক ছিল বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে চলা নদীগুলোর প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা। দেশের সেসব নদী বিশেষ করে তিস্তা থেকে শুরু করে বুড়িগঙ্গার জন্যও চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। এর মাধ্যমে হয়তো ড. ইউনূস দেশের নদীগুলোর জন্য সুদিন বয়ে আনবেন। চীনের সহায়তায় তিস্তা ও ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর দূষণমুক্তির এক মহাপরিকল্পনা করছেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। নদীমাতৃক বাংলাদেশের জন্য এটি হবে বিরাট আশার আলো। এমন উদ্যোগ অতীতের আর কোনো সরকার নেয়নি। শত শত বিস্তৃত নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।

তার এ সফরে নদী ব্যবস্থাপনা ছাড়াও বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। এরই মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের জান্তা সরকার রাজি হয়েছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে প্রায় আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে। তার আগে-পরে বিভিন্ন সময় আরও অনেক রোহিঙ্গা এদেশে এসেছে। আশ্রিত এ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে এর আগে শেখ হাসিনার সরকার উদ্যোগ নিলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক চীনের। মিয়ানমারে চীনের বহু প্রকল্প রয়েছে। রাখাইনের সিত্তে বা আকিয়াব বন্দরে চীন সরাসরি সম্পৃক্ত।  সেক্ষেত্রে চীনকে রাজি করানো গেলে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটের একটা সমাধান সম্ভব।  

চীন ছাড়াও প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেকটা কাটিয়ে উঠছে ড. ইউনূসের সরকার। গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়া এবং সেখানে তাকে আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে নানা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। শেখ হাসিনা যদি তখন ভারতে না গিয়ে অন্য কোনো দেশে যেতেন, তাহলে হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো।  

সম্ভবত এই মুহূর্তে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। উভয় দেশের মধ্যে ভিসা আদান-প্রদানও কার্যত বন্ধ। এরকম বাস্তবতায় থাইল্যান্ডের রাজধানীর ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি সাইডলাইন বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক, কার্যকরী ও ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়েও কথা হয়েছে। বিশেষ করে তিনি যে ভারতে বসে অনেক ধরনের উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আলাপ হয়েছে সীমান্ত হত্যা নিয়ে। দুই দেশের মধ্যে যে পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, নতুন করে এই চুক্তি করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এাড়া তিস্তার পানিবণ্টন নিয়েও হয়েছে আলোচনা।

শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও তলানিতে গিয়ে ঠেকে। খ্রিষ্টীয় নতুন বছর শুরুর ২৬ দিন পরে গত ২৭ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তখন প্রশ্ন উঠেছিল, দিল্লি থেকে ঢাকায় একটি শুভেচ্ছাবার্তা আসতে ২৭ দিন সময় লাগলো কেন? কূটনৈতিক চ্যানেলে এ ধরনের শুভেচ্ছাবার্তা মুহূর্তেই চলে আসার কথা। মোদীর এই শুভেচ্ছাবার্তা আসার চারদিন আগে জানুয়ারির ২৩ তারিখ সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছিলেন, দিল্লির সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব তৈরি হওয়ার বিষয়টি তাকে অনেক কষ্ট দেয়। তবে এরপরে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ঠিকই ঈদের কয়েক দিন আগেই পাঠিয়েছেন মোদী।

কয়েকদিন আগেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন, এমন প্রশ্নে সবাই নেতিবাচক উত্তর দিলেও ব্যাংককে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের নেতার বৈঠকের পর রাতারাতি সেই উত্তর বদলে ইতিবাচক হয়ে গেছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন তৈরি হয় সেটি কাটতে শুরু করেছে। এমনকি গত বছরের আগস্টে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র বন্যা দেখা দিলে সেটার জন্য সরকারের দুয়েকজন উপদেষ্টাও ভারতকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আগস্টের পর থেকে দুদেশের সীমান্তে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পায়। এখনো বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য যোগাযোগ সচল থাকলেও উভয় দেশে মানুষের ব্যক্তিগত যাতায়াত প্রায় বন্ধ। এমনকি বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতের চেন্নাইসহ বিভিন্ন জায়গায় জটিল ও পুরাতন রোগের চিকিৎসার জন্য যেতেন; যাদের চিকিৎসার ফলোআপের জন্য ভারতে যাওয়া খুব প্রয়োজন—তাদের অনেকেও ভিসা জটিলতার কারণে ভারতে যেতে পারছেন না বলে শোনা যায়। এখন এসব সমস্যারও সমাধান খুঁজছে দুই দেশ। আর এসব সম্ভব হচ্ছে ড. ইউনূসের দূরদর্শী কূটনীতির কারণেই। ড. ইউনূস শুধু ভারতকেই না, গোটা বিশ্বকেই বাংলাদেশের পাশে এনে দাঁড় করানোর মিশনে নেমেছেন। তিনি এ দেশকে অন্য এক উচ্চতায় দাঁড় করাতে চান। দেশের মানুষজনও এখন বুঝতে শুরু করেছে যে, নির্বাচনের মাধ্যমেই শুধু যোগ্য নেতা বের হয়ে আসেন না, গণঅভ্যুত্থানেও মহাননেতা বের হয়ে আসেন। ড. ইউনূস হয়ে উঠতে পারেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। যে কারণে এ দেশের ছাত্র-জনতা তাকে ক্ষমতার শীর্ষ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

কিন্তু ভয়ের কথা হলো, অধ্যাপক ইউনূস কতদিন প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসে থাকবেন, সেটি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না। কারণ তিনি অহেতুক আলোচনা পছন্দ করেন না। প্রচার-অপপ্রচার থেকেও দূরে থাকেন। তাকে নিয়ে বিরূপ আলোচনা তুললে তিনি যে গদি ছেড়ে উঠে সোজা হাঁটা দেবেন তা একরকম নিশ্চিত। এটিই সবচেয়ে বড় ভয়। প্রধান প্রধান খাতের সংস্কারের আগে তার প্রস্থান দেশে নজিরবিহীন অরাজকতার সৃষ্টি করবে।  

এ মুহূর্তে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থনে আছে গোটা দেশের মানুষ। একটি নির্বাচিত সরকারের প্রতি সমর্থন থাকে মোট জনসংখ্যার একটি খণ্ডাংশের। কিন্তু ড. ইউনূসের প্রতি এখন সমর্থন আছে পুরো জাতির। ফলে তিনি এ মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং তার সরকারও বেশি গ্রহণযোগ্য। ড. ইউনূসের এই জনপ্রিয়তার মাত্রা টের পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সম্পর্কিত যে কোনো সংবাদের কমেন্ট সেকশনে। সেখানে সিংহভাগ কমেন্টকারী ড. ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর বা দশ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান।  

কেউ কেউ তো বলছেন, আমৃত্যু তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদে থাকুন। তারা সংস্কারের আগে কোনোভাবেই নির্বাচনের পক্ষেও নয়। তাদের যুক্তি, ভোটের মাধ্যমেই যে শুধু সরকার নির্বাচিত হয়, এই ধারণা ভুল। জনগণের ম্যান্ডেটই বড় মানদণ্ড। সেই মানদণ্ডে সৃষ্টি হয়েছে এই সরকার। গণঅভ্যুত্থানই গণতন্ত্র। গণঅভ্যুত্থানের চেয়ে বড় কোনো গণতন্ত্র নেই। অতীতের সরকারগুলো সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনে জিতে এলেও কথা রাখেনি। যে কারণে গত ৫৪ বছরে এ দেশের মানুষ কল্যাণমুখী যোগ্য কোনো সরকার বা প্রশাসক পায়নি।  

ভোট হয় যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত করার জন্য। আমরা হয়তো যোগ্য সেই ব্যক্তি পেয়ে গেছি। সেই ব্যক্তিই হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরাও তাই বলা শুরু করেছেন, আমরা আগামী পাঁচ বা দশ বছর ভোট দিতে চাই না। আমরা চাই প্রফেসর ইউনূসকে। সংস্কারের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তার হাতেই থাকুক দেশ।  

লেখক: সম্পাদক, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।  
ইমেইল : [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।