ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

ভারতকে মনে রাখতে হবে ‘প্রতিবেশী বদলানো যায় না’

সিরাজুল ইসলাম  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
ভারতকে মনে রাখতে হবে ‘প্রতিবেশী বদলানো যায় না’

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক কখনোই স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয়নি। কখনো শত্রুতার গুমোট পরিবেশ বিরাজ করেছে, কখনো বন্ধুত্বের আড়ালে দিল্লির স্বার্থ ষোলো আনার জায়গায় আঠারো আনা আদায় করে নেওয়ার কূটকৌশল চলেছে।

তারা আমাদেরকে নানা সময় চাপে রাখার জন্য, আমাদের ভৌগোলিক সীমারেখা নিয়ে অপতৎরপরতা চালিয়েছে, আমাদের ভৌগোলিক অখণ্ডত্বকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে নানামুখী চক্রান্ত করেছে। এই চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য কথিত শান্তি বাহিনী গঠন করে পাহাড়কে মারাত্মকভাবে অশান্ত করে তুলেছে, বহু প্রাণ ঝরে গেছে। কখনো কখনো এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে, কখনো কখনো আমাদের জাতীয় নেতৃত্বকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দেওয়ার জন্য সরাসরি ভূমিকা রেখেছে বলেও অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে- বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ভারতের সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতা থাকে, নিকট অতীতে ওয়ান-ইলেভেনের সময় এই দেশের রাজনীতির বাঁক মারাত্মকভাবে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা একেবারে পরিষ্কার। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত এবং তারপরে স্বৈরশাসক এরশাদের ক্ষমতা দখলের ঘটনায় ভারত জড়িত ছিল- বিষয়টি আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগের পর যুগ প্রকাশ্যে আলোচিত হয়ে আসছে।  

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই আমাদের বাংলাদেশকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলার জন্য ভারত সর্বপ্রথম পরীক্ষামূলক ফারাক্কা বাঁধ চালু করে এবং তা আর কখনো বন্ধ হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ভারতীয় বাহিনী নিয়ে গেছে এটা ইতিহাসের পার্ট। আমাদের জুট মিলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ভারত নিয়ে গেছে এটাও আলোচিত ও চর্চিত বিষয়। ফারাক্কা বাঁধের পর অভিন্ন ৫৪টা নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির ন্যায্য অধিকার থেকে ভাটির দেশ বাংলাদেশকে বঞ্চিত করছে। উজানে ভারতের বাঁধ নির্মাণ এবং একতরফা ও অন্যায়ভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের বিরাট অংশ এখন মরুভূমি প্রায়। ভারত নিরাপত্তার অজুহাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে অথচ সীমান্তে প্রতিনিয়ত তারা বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে, কখনো কখনো জোর জবরদস্তি করে আমাদের সীমান্তে তারা ঢুকে পড়ছে, ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে, নদীতে মাছ ধরতে দিচ্ছে না, সীমান্তের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে- ইত্যকার নানা অপকর্মে জড়িত।

সীমান্তে ভারতের আরো কিছু অপতৎপরতা রয়েছে যা আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং জাতিসত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি ও চ্যালেঞ্জ। তা হচ্ছে- ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য বাংলাদেশের প্রবেশ করানো হয়। এসব মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের মারাত্মক ছোবলে ক্ষতবিক্ষত আমাদের তরুণ সমাজের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ। সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ভারতের এই ভূমিকা মারাত্মকভাবে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে।  

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অঙ্গনে ভারত যে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে, তা কূটনীতির সমস্ত শিষ্টাচার অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের জাতীয় নির্বাচনে কোন দল অংশ নেবে, কোন দল অংশ নেবে না; সংসদে কোন দলের ভূমিকা কী হবে, কোন ব্যক্তি নির্বাচন করবেন, কোন ব্যক্তি নির্বাচন করবেন না -এরকম অনেক কিছুই ভারত ঠিক করে দিয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে কিভাবে এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে হয় এবং তাদেরকে বিরোধীদলে বসানো যায় তার বন্দোবস্তও করতে দেখা গেছে ভারতকে। নির্বাচনের আগে এরশাদকে অসুস্থ দেখিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন এরশাদ এবং প্রার্থীদেরকে নমিনেশন জমা দিতে নিষেধ করেছেন কিন্তু দেখা গেছে কোনো প্রচার-প্রপাগান্ডা না থাকার পরও হাসপাতালে ভর্তি এরশাদের জাতীয় পার্টির লোকজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন; জাতীয় পার্টির এমপিরা শপথ নিয়েছেন এবং মন্ত্রী হয়েছেন।

বিএনপিকে কিভাবে ক্ষমতার বলয় থেকে বহু ক্রোশ দূরে রাখা যায় তার সমস্ত ফন্দি-ফিকির ও কূটকৌশল ভারতে তৈরি করা হয়েছে। কিভাবে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায় তার সব চেষ্টা-প্রচেষ্টা তারা করেছে। এই দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ভারতে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং ভারত তাকে আইনি প্রক্রিয়ার নামে দীর্ঘ সময় ধরে আটক রেখেছে। গত প্রায় ১৬ বছর ধরে যে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছিল এই ভূখণ্ডে, তার প্রধান দায় ভারতের -সে কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। হাসিনা, শেখ পরিবার এবং আওয়ামী লীগের সাথে রাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক করেছে, তারা বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক করেনি। হাসিনাকে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার জন্য সমস্ত রসদ যুগিয়েছে ভারত, সব ধরনের সমর্থন দিয়েছে। এতে হাসিনা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেয়েছে, বিনিময়ে ভারত নিয়েছে অজস্র সুবিধা।  

যুগের পর যুগ ধরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লাভের পাল্লা ভারতের দিকে রয়েছে। প্রচণ্ড রকমের বাণিজ্যিক ভারসাম্য তৈরি করে ভারত নানা কৌশল আর আইনের দোহাই দিয়ে এই অবস্থা জারি রেখেছে, তার নিকটতম প্রতিবেশি বাংলাদেশকে একেবারেই সুবিধা দেয়নি। ভারতের ওপর আমাদেরকে নির্ভরশীল করে তোলার জন্য প্রতিটি সেক্টরে তারা হস্তক্ষেপ করেছে, আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং আমাদেরকে সাবলম্বী হতে বাধা দিয়েছে। চূড়ান্তভাবে তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য একেবারেই অনুগত সরকার হিসেবে এই দেশের জনগণের ওপর হাসিনা পরিবারকে চাপিয়ে দিয়েছে। জনগণ যাতে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য নানা কায়দায় এই দেশেরই সাধারণ মানুষকে কখনো জঙ্গি বানিয়ে, কখনো সন্ত্রাসী বানিয়ে ঘর ছাড়া করেছে, প্রতি মুহূর্তে দৌড়ের ওপর রেখেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত রক্ষে পায়নি হাসিনা পরিবার। জুলাইয়ের প্রচণ্ড অভ্যুত্থানে খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে তারা, হাসিনাসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা সব পালিয়েছে। কিন্তু থেমে থাকেনি ভারতের ষড়যন্ত্র, বন্ধ হয়নি তাদের কুটকৌশল।

হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে হাসিনাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে। লুটেরা ফ্যাসিবাদীদের যেখানে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করা উচিত, সেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হয়েও ভারত তাদেরকে লালন পালন করে চলেছে। এর একটাই কারণ, আর তা হচ্ছে এই দেশকে শুষে খাওয়ার জন্য এদেরকে ভারতের প্রয়োজন। এরা ছাড়া এই দেশে ভারতের স্বার্থ বড়ই অনিশ্চিত। হাসিনার ভাষায় আওয়ামী লীগ বা শেখ পরিবার ভারতকে যা দিয়েছে, ভারত তা কখনো ভুলতে পারবে না। হলফ করে বলা যায়, এমন কথা হাসিনা ও তার দল ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউ বলতে পারবে না। ফলে, এই যে অপরিসীম সুযোগ সুবিধা, এই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভারত হাতছাড়া করতে চায় না। এছাড়া, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির যে গুণগত পরিবর্তন হয়ে যাবে যা ভারতের অনুকূলে থাকবে না-  ভারত তা খুব ভালো করেই জানে এবং এজন্যই তারা আওয়ামী লীগকে তথা শেখ পরিবারকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে তৎপর। এর অংশ হিসেবে হাসিনার পতনের পরপরই সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। সেটা হচ্ছে ‘সংখ্যালঘু কার্ড’। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে- এরকম অভিযোগ তারা হাসিনার পতনের পরপরই উত্থাপন করেছে এবং সেটি সুদূর আমেরিকা পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে।  

ভারত আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করার জন্য পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা বন্ধ করেছে। এদেশের লোকজন অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যেত, তাদের সেই সুবিধা বাতিল করে ভিসা বন্ধ রেখেছে। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি ভারত। আমাদের পার্বত্য অঞ্চলকে আবার অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে তারা, সংখ্যালঘু নির্যাতনের নানামুখী ভিত্তিহীন অভিযোগ সামনে আনছে এবং প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। একই সাথে তারা অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সম্প্রতি যে বিনিয়োগ সম্মেলন হয়ে গেল, ঠিক সেই সময়েই তারা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায়- বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ খুব একটা সুবিধাজনক নয় কারণ, তারা পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরশীল, ভারত এই সুবিধা বাতিল করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পণ্য রপ্তানি করা কঠিন হয়ে পড়বে।  

বিনিয়োগ সম্মেলন চলার মধ্যেই এদেশে আরো একটি ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলি পণ্য বয়কটের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় বাটা এবং কেএফসি-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের যে ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে ভারতীয় চরদের উসকানি ও মেকানিজম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত লুটপাটের ঘটনায় যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের অনেকেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বলে জানা গেছে। এরা সবাই ভারতের সমর্থন ও মদদপুষ্ট।

শুধু তাই না, গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈশা দুহাইলান ও মডেল কন্যা মেঘনা-আলমকে ঘিরে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তার পেছনেও প্রতিবেশী এই দেশটির হাত রয়েছে বলে অনেকে জোরালোভাবে বলছেন। তাদের মতামত হচ্ছে- যেহেতু সৌদি আরবে বাংলাদেশের ৪০ লাখ নাগরিক রয়েছেন এবং তারা বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এই দেশের অর্থনীতিকে ধরে রাখতে সাহায্য করছেন, সে কারণে ভারত চাইছে মেঘনা-আলমের মতো মেয়েদেরকে ব্যবহার করে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে। এ কাজে তারা সফল হলে সৌদি আরব বাংলাদেশকে চেপে ধরবে, বাংলাদেশের শ্রমিকদেরকে বহিষ্কার করবে এবং বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে পড়বে, এতে ইউনূস সরকারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেকায়দা অবস্থার মধ্যে পড়বে।  

ভারতে সম্প্রতি ওয়াকফ আইন বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দেশটিতে- তা কিভাবে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তারও কূটকৌশল চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই উত্তেজনা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে এই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি এমনকি নির্যাতনের ঘটনাও ঘটতে পারে- এমন আশা ভারতের। যদি এমনটি হয় তাহলে ভারত তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেটি দেখাতে পারবে। এর ফায়দা তারা ষোলোআনা তুলতে চায়।

এই সমস্ত কূটকৌশল বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে গিয়ে ভারতেরও কম ক্ষতি হয় না। তাদের মনে রাখা উচিত, প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। তাদের এও মনে রাখা উচিত- ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রতিবেশী নয়, বাংলাদেশও ভারতের প্রতিবেশী। তাদেরকে মনে রাখতে হবে- প্রতিবেশী বদল করা যায় না। ভারতকে মনে রাখতে হবে- প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার মধ্যেই কল্যাণ এবং শান্তি। তা না হলে অশান্তির দাবানলে তাদেরকেও পুড়তে হবে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।