ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

টার্কি ভোজে মেতেছে আমেরিকা, বাংলাদেশিরা খুঁজছে হালাল

সাবেদ সাথী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১২
টার্কি ভোজে মেতেছে আমেরিকা, বাংলাদেশিরা খুঁজছে হালাল

নিউইংল্যান্ড থেকে: যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকস গিভিং ডে চলছে। ধনী-গরিব সকলেই মেতে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী টার্কি ভোজে।

পারিবারিকভাবে প্রতিটি ঘরেই চলছে টার্কি লাঞ্চ আর টার্কি ডিনার। প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে এই দিনটি সরকারিভাবে উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন চড়াই উৎরাই এর পরে ১৬২১ সালের এক হেমন্তে, আমেরিকার আদি জন গোষ্ঠীর সাথে প্রধানত ইংল্যান্ড থেকে আগত যাজকদের এক শুভ সন্ধিক্ষনে পরস্পরের মধ্যে উৎপাদিত শষ্য এবং পণ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ‘থ্যাংকস গিভিং’ উৎসবের সুত্রপাত ঘটে।
তার ধারাবাহিকতায় ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সেদিনের সেই বন্ধুত্ব এবং শান্তির অমিয়বানী আমেরিকাবাসীদের অন্তরে পরশ বুলিয়ে দিতে রাষ্ট্রীয় ভাবে এই দিনটিকে ‘থ্যাংকস গিভিং হলি ডে’ হিসাবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে প্রতি বছর বন্ধুত্ব এবং সংহতি প্রকাশের এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে স্মরণীয় বরণীয় করে তুলতে নানা আয়োজনে মেতে উঠে সমগ্র উত্তর আমেরিকা। দিনটি আমেরিকায় সরকারি ছুটির দিন।
 
গত এক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর টার্কির বেচাকেনা হয়েছে। একটি বেসরকারি হিসেব মতে এবছর ১শত ৫০ মিলিয়ন টার্কি বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের মানুষ অর্থাৎ যাদের টার্কি কেনার সাধ্য নেই, তারাও টার্কি সংগ্রহ করেছে ফুড শেয়ার নামক একটি সংস্থা থেকে। থ্যাংকস গিভিংয়ে যেন টার্কি না খেলেই নয়। তাই টানা চার দিনের ছুটি পেয়ে সকলেই ছুটছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিকটজনের সাথে দেখা করতে। আকাশ ও সড়ক পথে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়। গত তিন দিন ধরে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন থ্যাকস গিভিংয়ের ছুটিতে। বিশেষ করে আকাশ পথে আভ্যন্তরীণ বিমানের টিকেট বিক্রি হয় দ্বিগুন। এবারে বিমান যাত্রীর সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার ফলে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিশট্রেশন (টিএসএ) নতুন নিয়ম চালু করেছে। এখন থেকে ১২ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোর ও বয়স্কদের বিমানে ভ্রমনকালে সিকিউরিটি চেকিংয়ে জুতা খুলতে হবে না। গত সোমবার এ ঘোষণার কথা শুনে বিমান বন্দর গুলোতে আগত যাত্রীরা কিছুটা খুশি হয়ে উঠেন। এ আইন কতদিন বলবত থাকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও ঘরে বসে নেই। হালাল টার্কির খোঁজে তারাও ছুটছেন স্থানীয় গ্রোসারির দোকানগুলোর। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গ্রোসারি দোকানগুলো হালাল টার্কি সংগ্রহ করে এনেছেন। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভানিয়া, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটসসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি ও মুসলমান মালিকানাধীন গ্রোসারির দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমানে হালাল টার্কি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরে উক্ত দোকানগুলোতে দেদারছে  চলছে হালাল টার্কির বেচাকেনা।

বাংলাদেশ সময় ০৮৩৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১২
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।