ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

দামি ভোট ‘ডামি’ কমিশন

এরশাদুল আলম প্রিন্স, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৩
দামি ভোট ‘ডামি’ কমিশন

ঢাকা: টেকসই গণতন্ত্রের জন্য রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হয়। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে ওইসব প্রতিষ্ঠানকেও সমানতালে শক্তিশালী করতে হয়।

রাষ্ট্রভেদে ওই সব প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকারেও ভিন্নতা থাকে। কোনো দেশ বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেয়। আবার কোনো দেশ আইন বা নির্বাহী বা অন্য কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব দেয়।

বর্তমানে আমরা যাদের শক্তিশালী বা টেকসই গণতন্ত্রের দাবিদার বলে বিবেচনা করি, তারা সবাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করেছে। যেটি আমাদের দেশে এখনও হয়ে ওঠেনি।

মোটা দাগে বললে, আমাদের দেশে দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো সরাসরি রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বাধীন, যেমন সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান।

সংসদ বা আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, ন্যায়পাল, নির্বাচন কমিশন, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশন ইত্যাদি হলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।

আবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, স্থানীয় সরকার, আইন কমিশনসহ এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো শক্তিশালীকরণ ছাড়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা অসম্ভব। এগুলো হলো বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এগুলো পরিচালনার জন্য পৃথক আইন আছে।

সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যখন রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য তাদের সেবা প্রদান করতে তথা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, তখনই গণতন্ত্র একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পরিগ্রহ করে।

দেশের প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত তার মূল বিষয় হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকারি দল চাচ্ছে, তাদের অধীনেই আগামী নির্বাচন করতে। অন্যদিকে বিরোধী দল চাচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব (নির্বাচন পরিচালনা) কে পালন করবে বা কার অধীনে নির্বাচন হবে সেটিই আন্দোলন ও ‍আলোচনার বিষয়।

অতীতের রাজনৈতিক ইতিহাস ও সম-সাময়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিরোধী দলের এ দাবি বা আশঙ্কা অবাস্তব নয়। অর্থাৎ এর ‍বাস্তব ভিত্তি আছে। আবার সরকার গত চার বছরে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে নজির স্থাপন করেছে, সেটিও বিবেচ্য।

বলা বাহুল্য, বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে যে আন্দোলন তা কোনো নিশ্চিত ও বাস্তব ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়, বরং পুরোপুরি আশঙ্কা ও অনুমান নির্ভর। বিরোধী দল ভাবছে, সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিরোধী দল এ দাবি করতেই পারে। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার যদি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয় তবে সেটিওতো সম্ভব। কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা এমনকি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের ওপরও নির্ভর করে না। এটি নির্ভর করে সরকারের সদিচ্ছার ওপর।

আবার সরকার চার বছরের উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনের নজির টেনে সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করার যে যুক্তি দিচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, উপ-নির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন এক কথা নয়। উপ-নির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালা বদল হয় না, জাতীয় নির্বাচনে কেবল ক্ষমতারই পালা বদল হয়। কাজেই, প্রধানমন্ত্রী যেমন দাবি করছেন, গত চার বছরের সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে-এ কথার ওপর বিরোধী দল আস্থা রাখতে পারছে না। সেটিই স্বাভাবিক। কারণ, সরকার গত চার বছরে এ বিষয়ে বিরোধী দল বা জনগণকে আস্থায় রেখে কোনো কাজ করেনি।

কিন্তু কেনো এ আশঙ্কা? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিরোধী দলের কি সুবিধা অথবা সরকারি দলেরই কি অসুবিধা? প্রশ্নটি উল্টোভাবেও করা যেতে পারে। এ প্রশ্নের মাঝেই নিহিত সব উত্তর। দলীয় সরকারের অধীনে প্রশাসন যে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহৃত হয় সেটি সরকার ও বিরোধী দল সবাই জানে। ভয়টি সেখানেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচন কমিশন বড় কথা নয়। আসল কথা হলো- দলীয় সরকারের অধীনে দলীয় ও বশংবদ প্রশাসনযন্ত্র।    

তবে এ ভয় কাটানোর প্রধান উপায় হচ্ছে, একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা- যে কমিশন দলীয় সরকারের অধীনেও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম। দ্বিতীয়ত, সরকার হস্তক্ষেপ বা দলীয়করণ না করলে বর্তমান কমিশন বা প্রশাসনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। তবে সবার আগে দরকার কমিশনের স্বাধীন মন। স্বাধীন মন ও আদর্শ না থাকলে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে কোনোদিনই পার পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি সরকারকে ক্ষমতাবদল তত্ত্বে (গণতন্ত্রে) বিশ্বাস রাখতে হবে।

আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী। পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশের নির্বাচন কমিশন আইন আমি পড়েছি। তুলনামূলক বিচারে আমাদের সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সাক্ষ বহন করে যা পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য আইনানুযায়ী আমাদের কমিশন যথেষ্ট সক্ষম। যদিও বর্তমান আইনেরও কিছু দুর্বলতা রয়েছে, তবে তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য অন্তরায় নয়।

সংবিধানের পাশাপাশি নির্বাচন সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন হচ্ছে, ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। সরকার অতি সম্প্রতি এ আইনটিকে সংশোধন করেছে। যে সংশোধনীগুলো করা হয়েছে, তা পূর্বের হুদা কমিশনের প্রস্তাবিত। তবে সংশোধনীগুলো করা হয়েছে সেটাই বড় কথা।

আইনটি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে। আমাদের দেশে আইন সংশোধন করা হয় সরকারের সুবিধার জন্য। সরকার কোনো বিধান নিজের জন্য অসুবিধাজনক মনে করলে অথবা বিরোধী দলকে একহাত দেখে নেওয়ার জন্য আইন সংশোধন করে। অন্যান্য দেশে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইনগুলো সংশোধন করা হয়ে থাকে পূর্ববর্তী নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। সেই সঙ্গে তারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন অভিজ্ঞতাও কাজে লাগায়।

অথচ আমরা আমাদের দেশের নির্বাচন থেকেই শিক্ষা নিতে পারি না। এ ব্যর্থতা অবশ্য কমিশনের নয়। এখানে সরকারই সবকিছুর নিয়ন্তা। হুদা কমিশন তাদের একটি বড় নির্বাচন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংশোধনীগুলোর প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রস্তাবগুলো ফেলে রাখা হয়েছে।

দেশের বাস্তবতায় নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের নিয়মিত বাহিনী বিভিন্ন কারণেই নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। এর বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ আছে। ফলে এরকম একটি বাস্তবতায় বিরোধী দল সব নির্বাচনের আগেই সেনাবাহিনী নিয়োগ করার দাবি করে। এমনকি তারা জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনী নিয়োজিত করার দাবি করেছে।

সর্বশেষ আমরা দেখেছি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিএনপি সেনাবাহিনী নিয়োগ করার দাবি করেছিল। সরকার সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনও সেনাবাহিনী নিয়োজিত করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে। সরকার সে দাবি অগ্রাহ্য করেছে।

১৯৭৩ সাল থেকে এখানে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্ষেত্র বিশেষে নৌ-বাহিনীও নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, ২০০৮ আরপিও’তে ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ‘বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী’ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে (২০০৯ সালে) প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী কেবল আমাদের দেশে নয়, ঘানা, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও নিয়োগ করে থাকে। আমাদের দেশের মতো দেশে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবিটি বাস্তবসম্মত বিবেচনা করা যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, সেনাবাহিনী নিয়োগ একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। এটি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত একটি ব্যবস্থা বৈ কিছু নয়।

যাই হোক, নাসিক নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ না করা ছিল সরকার কর্তৃক সংবিধানের নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। সে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি হয়নি, সেটি ভিন্ন কথা। তবে আমাদের জন্য দুটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। প্রথমতঃ সরকার চাইলে বা হস্তক্ষেপ না করলে যে কোনো সময় যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। দ্বিতীয়তঃ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কমিশনের সদিচ্ছাই যথেষ্ঠ নয়, সরকারের সদিচ্ছাই বড় কথা।

সংবিধান অনুযায়ী সরকার কমিশনকে সব রকম সহায়তা দিতে বাধ্য। কিন্তু সরকার যদি কমিশনের সে প্রস্তাবে সাড়া না দেয়, তবে কমিশনের কিছুই করার নেই। সংবিধান না মানলেও কমিশনের কিছু করার নেই। কমিশন বড় জোর একটি রিট করতে পারে। রিট করলে কি হতে পারে তাতো জনগণের অজানা নয়।

অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিরোধ বা মামলা হলে আদালত তা নিষ্পত্তি করতে অনেক সময় নিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে আদালত তিন চার বছরও সময় নিয়েছেন। এ রকম নজির আমাদের হাতে অনেক আছে। কাজেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করা জরুরি।

আইন প্রণয়ন করার চেয়ে প্রয়োগ করা বেশি জরুরি। নির্বাচন বিষয়ক যে আইন আছে, তার প্রয়োগিক দিকটি পুরোপুরি নজরদারি করার মতো সক্ষমতা কমিশনের এখনো নেই। সে জনসম্পদ কমিশনের নেই এবং নজরদারি করার মতো পদ্ধতিও কমিশন প্রণয়ন করতে পারেনি।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আইনানুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন সম্পর্কিত বিধানটিরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। নিবন্ধিত হওয়ার জন্য একটি দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়, এক-তৃতীয়াংশ জেলায় কার্যালয়, কমপক্ষে ১০০ উপজেলায় অথবা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। কিন্তু কমিশনের এসব বিষয় যাচাই করার জন্য যথেষ্ট জনবল ও সক্ষমতা নেই। অনেক ক্ষেত্রে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য অনেক দল ওই শর্ত পালন করে। নিবন্ধিত হলেই অনেকে সব গুটিয়ে নেয়। এ ক্ষেত্রে কি হবে সে ব্যাপারে আইনে কিছু বলা নেই ও কমিশনেরও ধারাবাহিকভাবে এসব তদারকি করার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা ও জনবল নেই।

নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য গ্রহণ ও প্রকাশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কমিশন প্রার্থীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। প্রার্থীদের কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ ও জনগণের জন্য তা প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ কাজটি কার্যকরভাবে করার জন্য কমিশনকে গুরুত্বারোপ করতে হবে। এটি একটি বিস্তৃত পরিধির কাজ।    

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নিয়ে কথা হচ্ছে বহুদিন ধরে। এক্ষেত্রে আইনানুযায়ী কমিশনের ভূমিকা থাকলেও বাস্তবে তা পালন করছে না বা করতে পারছে না। এক্ষেত্রে কমিশনকে সচল থাকতে হবে।

তবে সবকিছু ছাড়িয়ে যে কথাটি সবার আগে বিবেচ্য তাহলো, কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা। এটি না হলে কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আদতে গণতান্ত্রিক হতে পারবে না ও গণতন্ত্রও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না। ‘ডামি’ কমিশন দিয়ে জনগনের দামি ভোটের মর্যাদা রক্ষা করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৩
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।