ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

যুদ্ধাপরাধনামা: ন্যুরেমবার্গ থেকে শাহবাগ

এরশাদুল আলম প্রিন্স, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৩
যুদ্ধাপরাধনামা: ন্যুরেমবার্গ থেকে শাহবাগ

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-২ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতার ‍বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারের এটি দ্বিতীয় রায়।

এর আগে একই আদালত আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি অভিযোগ এনেছিল। তার মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হয়েছে। আর একটি অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।

আদালত তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশ শিরোধার্য। তবে তার বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষণ করা বা অসন্তোষ প্রকাশ করাও মানবাধিকারের অংশ। সেই বিশ্বাসেই কয়েকটি কথা বলা।

আদালতের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই-আমরা সবাই এ আদেশে হোঁচট খেয়েছি।

আমি অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে ১৩২ পৃষ্টার পুরো রায়টি পড়েছি। উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি আদালত কেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর জন্য মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন। সেই সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কয়েকটি যুদ্ধাপরাধ আদালতের ইতিহাস ও রায়ও পড়েছি। আবুল কালাম আযাদের রায়টিতো পড়েছিই।

একটি কথা মনে রাখা দরকার, কোনো দেশের যুদ্ধাপরাধ আদালতের রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলো কিনা সেটি বোঝার জন্য কেবল মামলার প্রসেডিংস বা রায়ই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি অপরাধের প্রেক্ষাপট, সমসাময়িক ইতিহাস ও রাজনীতি অধ্যয়নও জরুরি। সেটি না হলে কোনো রায়ই সঠিক বলে মনে হবে না। সব রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট মনে হবে। তৈরি হবে এক ভ্রান্তি (Fallacy)।

আজ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিবাদী বা অপরাধীপক্ষ বলেননি তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। বরং সবাই নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করেছেন ও রায় তার বিপক্ষে গেলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। এটাই স্বাভাবিক।

যাই হোক, এসব বিবেচনায় আইনের একজন ছাত্র হিসেবে আমি কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার তেমন কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ খুঁজে পাইনি। অন্তত অন্য কয়েকটি দেশের যুদ্ধাপরাধ আদালতের রায় দেখে সে রকমই মনে হয়েছে। সে কথায় আমি পরে আসবো, তবে তার আগে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর প্রতি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

তার বিরুদ্ধে আনীত প্রথম অভিযোগ মিরপুরের পল্লব হত্যা। অভিযোগটি আইসিটি আইনের ৩(২)(ক) ধারার অধীনে একটি অপরাধ। এ ধারায় তার বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যা, গুম, ধর্ষণসহ নানাধরনের অপরাধ এই ধারার অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সবগুলো অভিযোগই এ ধারায় আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ পল্লব হত্যা মামলায় প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- কবি মেহেরুন্নেছা, তার মা ও দুই ভাইকে হত্যা। এই অপরাধের সংঘটনস্থলও মিরপুর। এ মামলায়ও রাষ্ট্রপক্ষ প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে পারেনি। তবে সাধারণভাবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য প্রত্যক্ষ সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধ আদালতের ক্ষেত্রে একই বিধান প্রযোজ্য।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত তৃতীয় অভিযোগটি হলো আবু তালেব হত্যা। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আবু তালেবের ছেলে ও বন্ধু। যদিও এ ‍মামলার রায়ও অপ্রত্যক্ষ সাক্ষ্য বা ‘Hearsay Evidence’-এর ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগটি ‌আমার দৃষ্টিতে ঘাতর চড় ও ভাওয়ান খান বাড়ি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ। রাষ্ট্রপক্ষ এখানে মোট তিনজন সাক্ষী হাজির করেছেন তাদের মধ্যে একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী ও দুইজন পরোক্ষ সাক্ষী।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাষ্ট্রপক্ষ এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। প্রত্যক্ষ সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনীত এ গুরুতর অভিযোগটি প্রমাণ করতে না পারার ব্যর্থতা প্রসিকিউসনের ওপরই বর্তায়। সামগ্রীকভাবে এটি প্রসিকিউসন ও তদন্তদলের দুর্বলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

রাষ্ট্রপক্ষের এ রায়ের বিরুদ্ধে যদিও আপিল করার সুযোগ নেই তবুও অন্তত এ অভিযোগটির বিরুদ্ধে শর্তসাপেক্ষে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে, এ অভিযোগটি যদি প্রমাণ করা যায়, তাহলে আদালত তার বিরুদ্ধে রায় দিতে পারে। তবে আপিল করলেও সেক্ষেত্রে নতুন কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করার বিধান নেই।

আইনটির আরেকটি দিক হলো, আপিলে শাস্তি কমতে পারে, বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আর মূল আদালত যে অভিযোগ থেকে একজনকে খালাস দিয়েছেন, আপিল আদালত সেই অভিযোগে তাকে নতুন কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই মৃত্যুদণ্ড দেবেন এ আশা করা দুtস্বপ্ন বৈ কিছু নয়। কারণ, বিদ্যমান আইনে যে সাজা হয়েছে, আপিল করলে তার চেয়ে বেশি সাজা হওয়ার সুযোগ নেই। এটিই এ আইনের বিধান।

কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে আলুব্দী গণহত্যা এবং হযরত আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ। এ অভিযোগটি প্রমাণিত। প্রসিকিউসন এখানে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য হাজির করতে পেরেছে। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের একটি হচ্ছে ১৯৭১ সালে আলুব্দী গ্রামে গণহত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণ।

আব্দুলী গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্বাভাবিকভাবেই তার ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলো, ৩৪৪ জনকে প্রত্যক্ষভাবে নির্বিচারে গণহত্যার দায়ে কাদের মোল্লাকে দেওয়া হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সিয়েরা লিওন, যুগোশ্লাভিয়া, ন্যুরেমবার্গ, টোকিও, রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া বা পৃথিবীর অন্যকোনো যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারে এরকম নজির বিরল। আদালত এ রায়ের মাধ্যমে নতুন একটি নজির সৃষ্টি করলেন। যদিও নজির সৃষ্টি করার এখতিয়ার আদালতের আছে। কিন্তু তারপরও মনে প্রশ্ন জাগে কেন এমন হলো।

যাই হোক, খুব সহজ করে বললে, রাষ্ট্রপক্ষ বা প্রসিকিউসন বা তদন্তসংস্থা তাদের দায়িত্ব পালনে আরো সচেষ্ট হলে সর্বজন স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে এ অনাকাঙক্ষীত রায়টি হতো না। কারণ, ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণ করা গেছে। তাদের মধ্যে দুইটি অভিযোগে প্রত্যক্ষ সাক্ষী পেয়েছেন বাকি তিনটি অভিযোগে কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারেননি এটা একটি বড় ব্যর্থতা।

তবে যে অভিযোগগুলো প্রমাণ হয়েছে তার ভিত্তিতে কী তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে? আপিল হলে এ বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করি। কিন্তু একটি কথা মনে রাখা দরকার, আদালত তার নিজ এখতিয়ারাধীনে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের এ এখতিয়ার নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসতে পারেনা। আদালতের এখতিয়ারে দু’টি শাস্তির বিধানই রয়েছে। কোনোটি আদালত বেছে নেবে সেটি একান্ত আদালতের বিবেচ্য বিষয়। আদালত আইনের বাইরে কিছু করেনি। আদালতের পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে তার বিচারিক মন (Judicial Mind) প্রয়োগ করে বিচার করার। আদালত সে কাজটিই করেছেন। তবে আদালত হয়তো এদেশের লক্ষ-কোটি জনতার হৃদয় পড়তে পারেনি। রাজনীতিবিদরাই পড়তে পারেন না আদালত কীভাবে পড়বেন? আর সেটি আদালতের কাজও নয়।     

কাদের মোল্লা কেবল মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা, নৈতিক সমর্থন ও উৎসাহ দানই করেননি তিনি সরাসরি হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশগ্রহণও করেছেন।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ আদালত গঠনের পর থেকেই জনগণের পক্ষ থেকে সরকারকে বারবারই দক্ষ ও যোগ্য প্রসিকিউসন ও তদন্ত টিম গঠনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সে কথায় কর্ণপাত করেনি।

এটি আদালতের ব্যর্থতা নয়, সরকারের ব্যর্থতা। যদিও অনেকে এর পেছনে রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করতে চাই এ রাযের পেছনে কোনো রাজনৈতিক কুটচাল ছিল না।
 
এ রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, এর সঙ্গে জেলহত্যা মামলার রায়ের মিল রয়েছে। কারণ, বিদেশে পলাতক থাকলে তাকে মৃত্যুদণ্ড আর দেশে থাকলে যাবজ্জীবন-এ কেমন বিচার!

এ প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। কারণ, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর চেয়েও গুরুতর।

আইনে রয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা অপরাধের গভীরতা অনুসারে যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর গভীরতা কী আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর চেয়ে কম ছিল? রায়ের বর্ণনা পড়ে সে কথা মনে হয়নি।     

রায়ে নতুন করে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হবে কি হবে না সেটি ভিন্ন প্রশ্ন। আমাদের জন্য যেটি আশার কথা-আমরা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবগাহণ করছি। অবচেতনার অবগুণ্ঠন থেকে চেতনার অবয়ব ধারণ করছি।

তবে আমাদের সমস্ত প্রতিবাদের মধ্যেও মনে রাখা দরকার আন্তর্জাতিক আদালত নিছক একটি আদালতই নয়, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম ও স্বপ্নের ফসল। শহীদ জননীর প্রতীকি আদালত আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহল থেকে এ আদালতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও আমাদের আদালত যে স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা দেখিয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। পৃথিবীর খুব কম আদালতই এরকম বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরেছে।

আমাদের আদালত অপরাধীদের প্রতি যতটা সদয় হয়েছে অন্য কোনো আদালত তা হতে পারেননি।

আমাদের যুদ্ধাপরাধ আদালত যেনো ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথাই বারবার মনে করিয়ে দেন। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল শুরু করার আগে উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার পাওয়ার অধিকার নেই। আমরাও তাই বলি। কিন্তু তারপরও আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও হিটলারের গোপন অস্ত্রের আঘাত তখনও থেমে যায়নি। ব্রিটেনবাসী সেই ক্ষত বহন করছিল দিনের পর দিন। চার্চিলের হৃদয়ে জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে অপরাধীদের উন্মুক্ত স্থানে টেনে এনে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারতে হবে।

ওদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট কেবিনেটের ট্রেজারি সেক্রেটারি হেনরি মরজেনদ্যান জুনিয়র বলেছেন, জনগণ প্রতিশোধ চায়, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া নয়। আজ আমরাও তাই বলি।  

শাহবাগ থেকে আমরা ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের সেই দাবিই করছি। আমরা প্রতিশোধ চাই, তবে সেটা বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। চার্চিল অপরাধীদের বিচারের অধিকার দিতে চাননি। আমরা সেই অধিকার দিয়েছি। ন্যুরেমবার্গ চেয়েছিল ফায়ারিং স্কোয়াডে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে। আমরা চাই ফাঁসি। ন্যুরেমবার্গের প্যালেস অব জাস্টিস আজ আমাদের শাহবাগ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৩
সম্পাদনা: শিমুল সুলতানা, নিউজরুম এডিটর- মতামত জানাতে ইমেইল করুন: [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।