ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

ভালোবাসা দিবসে ওদের জন্য রইলো শুধুই ঘৃণা

প্রশান্ত মজুমদার, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩
ভালোবাসা দিবসে ওদের জন্য রইলো শুধুই ঘৃণা

ঢাকা: এবারে পয়লা ফাল্গুনেও ঘৃণার আগুনে পুড়িয়ে মারবো সব রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীকে। পুড়িয়ে মারবো জামায়াতে ইসলামী আর শিবিরকে।

এবারের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ উৎসর্গ করলাম মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সব মুক্তিযোদ্ধা ও শাহবাগে সমবেত তরুণ-তরুণীদের প্রতি। তাদের জন্যই রইলো অগ্রিম সবটুকু ভালোবাসা। আর সব রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, জামায়েত ইসলামী ও শিবিরের জন্য রইলো শুধু-ই ঘৃণা আর ঘৃণা।

উপরোক্ত কথাগুলো লিখে আমার ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম ৯ ফেব্রুয়ারি। আর সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই আমার লেখার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন হলো, কেন পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইন’স ডে-এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণবিস্ফোরণের মতো দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া তরুণ প্রজন্মের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আনলাম। এবার সে বিষয়ে আমার বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।

ফাল্গুন আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের কাছে এ দিনটি মন ও হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা একটি দিন। ফাগুনের আগুন কার না মনে আগুন ধরায়! বিশেষ করে, তরুণ-তরুণীদের। আর কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে চলমান আন্দোলনের শুরুটা করেছে তরুণ প্রজন্ম। তারুণ্যের জোয়ারে যেভাবে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে; একইভাবে এবারের পয়লা ফাল্গুনে তরুণ-তরুণীদের বুকে থাকা আগুনের স্ফূলিঙ্গ বিস্ফোরিত হোক প্রেমিক মনের পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। আর সেই চেতনায় পুড়ে মরবে সব রাজকার, শিবির ও জামায়াতে ইসলামী! আমি মনে করি, পহেলা ফাল্গুনের সংস্কৃতির সঙ্গে তারুণ্যের নবজাগরণের যোগসূত্র, চলমান যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবির আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে। কবির ভাষায় বলতে চাই, “এখন প্রেম করার সময় নয়, ঘর বাঁধার সময় নয়। সময় এখন রাজপথের ময়দান থেকে চিরকালের জন্য প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার, রাজাকার-শিবির-জামায়াতে ইসলামীকে দেশ থেকে তাড়ানোর। এখন প্রেম করবার সময় নয়!” মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ চলমান আন্দোলনকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী কেউ-ই মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী কোনো দল বা গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে সাহস না দেখায়; বা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করার সাহস না পায়।
 
এবারে আসি ভালোবাসা দিবস প্রসঙ্গে। এবারের বাংলাদেশে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি অন্যভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস মানেই তরুণ-তরুণীদের একটি রোমাঞ্চকর স্মরণীয় বাসন্তী দিন। আর এবারের এই ভালোবাসা দিবসটিকে যদি উৎসর্গ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, তাতে সব তরুণ-তরুণীই হবে অধিক সম্মানিত ও গৌরাবান্বিত। তাই আসুন এবারে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সবটুকু ভালোবাসা বিলিয়ে দেই মুক্তিযোদ্ধাদের। আর রাজকার, জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরকে দেই শুধুই ঘৃণা আর ঘৃণা।

তারুণ্যের নেতৃত্বে চলমান শাহবাগের গণজাগরণের জয় হোক। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ হোক রাজাকার, জামায়াতে ইসলামী ও শিবির-মুক্ত। সবার মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩
আরআর, জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।