ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

মনোবিকলনের পিঁপড়াবিদ্যা

ফাহমিদুল হক, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪
মনোবিকলনের পিঁপড়াবিদ্যা

সমসাময়িক বাস্তবতাকে তুলে ধরলেও সপরিবারে দেখার মতো সামাজিক ছবি নয় ‘পিঁপড়াবিদ্যা’, অনেকটা পারসোনাল চলচ্চিত্র এটা। সেলিব্রেটির অন্তরঙ্গ ভিডিও ক্লিপ এবং বেকার যুবকের এমএলএম ব্যবসার মাধ্যমে দ্রুত বড়লোক হবার খায়েশ – সমসাময়িক দুই সামাজিক প্রপঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে ‘পিঁপড়াবিদ্যা’র কাহিনী।

আর এই দুই প্রপঞ্চেই লোভী পিঁপড়ার মতো জীবনজুয়ার লেজে পা রেখেছে যুবক মিঠু, যার পরিণতি হয়েছে একরমকম ভয়ঙ্কর – লোভের পিঁপড়াগুলো আক্রমণ করেছে তাকেই,  দুঃসহ এক জীবন উপহার দিয়েছে শেষমেষ।

স্মার্ট-সুন্দরী জনপ্রিয় নায়িকা ও তার বয়ফ্রেন্ডের অন্তরঙ্গ ভিডিওচিত্র একেবারেই কাকতলীয়ভাবে নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ যুবক মিঠুর হাতে এসে পড়ে, তা উদ্ধার করতে নায়িকা রিমা মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই সূত্রে নায়িকা রিমার সঙ্গে মিঠু পরিচিত হয় এবং নিষিদ্ধ-গোপন এক প্রবৃত্তি তাকে পাকা খেলোয়াড় বানিয়ে তোলে। মিঠু ভিডিওচিত্র কপি করে রেখে দিয়েছে এই তথ্য দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে নানান সুবিধা নিতে চায় রিমার কাছ থেকে। ফলে দর্শকের সামনে একটি লিবিডোনাল বিষয় সর্বদা হাজির থেকেছে। পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কেবল মিঠু চরিত্রের মনঃসমীক্ষণ করেন নি, দর্শকের মনস্তত্বের ওপরেও চাপ দিয়েছেন।

‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’-এ ফারুকী লিভ-টুগেদারের মতো, সীমিত হলেও বাস্তবিক, এক প্রপঞ্চকে কাহিনীর অনুষঙ্গ করে দর্শকদের ইতোপূর্বে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। এই চাপ ব্যক্তি দর্শক একরকম করে নিতে সমর্থ হলেও, সামাজিকভাবে বিব্রতকর। তাই বলা যায় চলচ্চিত্র পরিচালক ব্যক্তি-মনস্তত্ত্বের গোপন আকাঙ্ক্ষাকে মোকাবেলা করেছেন এবং দর্শককে একরকম বাধ্য করেছেন সেই মোকাবেলায় সামিল হতে,  ‘পিঁপড়াবিদ্যা’য়। আর সংলাপে কিছু হাস্যরস যুক্ত থাকলেও পুরো চলচ্চিত্রে কোনো আরামদায়ক পরিসর রাখেন নি পরিচালক – কোনো সম্পর্কের নির্মাণ নেই, বরং শঠতা, কদর্যতা ও উদ্বেগ চলচ্চিত্রজুড়ে। যাওবা প্রেম-ভালবাসা-শুভবোধ ছিল, তা গত হয়েছে – মিঠু তার মনুষত্ব হারিয়েছে, রিমার যাবতীয় অর্জন এক ভিডিওচিত্রের প্যান্ডোরার বাক্সে বন্দি, রিমার বয়ফ্রেন্ড হারিয়েছে আস্থা (ফোন হারানোর জন্য সেই দায়ী), মিঠুর যে প্রেম তাও বিগত, অন্যের ঘরনী সে।    
 
পিঁপড়াবিদ্যার কাহিনী সংক্ষেপে এরকম: বেকার মিঠু অনেক পোড় খেয়ে অবশেষে এক এমএলএম কোম্পানিতে চাকরি পায়। অফিসের টাকায় নিজের জন্য একটা মোবাইল ফোন কিনতে গিয়ে এক চোরের কাছ থেকে কম দামে একটি সেট কেনে। জনপ্রিয় নায়িকা রিমা নানানভাবে ট্র্যাক করে মিঠুকে ফোন করে বলে সেটটি ফেরত দিতে। মিঠু রিমার বাসায় গিয়ে সেটটি ফেরত দেয়, কিন্তু কপি করে রেখে দেয় ফোনে থাকা রিমা ও তার বয়ফ্রেন্ডের অন্তরঙ্গ খোলামেলা ভিডিওচিত্র। এই এক ভিডিওচিত্র তাকে পাল্টে দেয়। সে রিমাকে প্রথমে তার কোম্পানির ক্লায়েন্ট বানায়। আর ভিডিওচিত্রের ভয় দেখিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নেয় – যেমন, যে প্রেমিকা তাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে তার মনে ঈর্ষা জাগানোর জন্য, তার বাসায় গিয়ে মিঠুর বর্তমান প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করতে বাধ্য করে, রিমার কক্সবাজারের শুটিঙে রিমার সহযাত্রী হয় এবং এক পর্যায়ে রিমাকে বলে এক ঘণ্টার জন্য স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করতে, এমনকি শয্যায় আসতে বলে। অনিচ্ছুক রিমা বাধ্য হয়ে এই অভিনয় শুরু করলেও, এক পর্যায়ে অস্বীকৃতি জানায়। রিমার বয়ফ্রেন্ডও চেষ্টা করে মিঠুর কাছ থেকে ভিডিওক্লিপটি উদ্ধারের। তারপর এক পর্যায়ে রিমার নিয়োগ করা অস্ত্রধারী মাস্তানরা মিঠুকে কিডন্যাপ করে। পুলিশের হঠাৎ-আগমনে সেযাত্রা মিঠু রক্ষা পেলেও, শুরু হয় তার পলাতক জীবন। সরকার এমএলএম ব্যবসার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে, তার অফিসও বন্ধ হয়ে যায়, বিনিয়োগকারীরা পাওনাদার হয়ে তার বাড়িতে হানা দিতে থাকে। মিঠুকে আর খুঁজে না পেয়ে, ক্লিপ ফাঁস হয়ে ক্যারিয়ার সমাপ্তির সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে রিমার মনোবৈকল্য দেখা দেয়। আর মিঠুর পরিণতি হয় আরও ভয়াবহ – চাকরি নেই, পাওনাদারদের হানা, মৃত্যুভীত পলাতক জীবন – এত চাপ সইতে না পেরে সে ফিরে আসে মায়ের কোলে, কিন্তু তার বিকারের মাত্রা হয় আরও বেশি। সে শৈশবের মতো ভালো হয়ে যেতে চায়, মাকে বলে, বাবাকে বলে, আর শৈশবের মতো স্কুলে যেতে চায় – শেষ দৃশ্যে তাকে স্কুলেড্রেসেও দেখা যায়, ভাবলেশহীন। তার মনোবিকলন কি আসল নাকি নকল, বোনের এই প্রশ্নেও সে থেকে যায় ভাবলেশহীন।

যে বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্রকার গল্প ফেঁদেছেন, তাতে একপ্রকার ফাঁদ ছিল। গল্পটি নিছক মসলাদার যৌনব্যঞ্জনে পরিণত হতে পারতো। কিন্তু তাতে ভারসাম্য এনেছে পরিচালকের পরিমিতিবোধ। যে কমেডিয়ানা জুড়ে দিয়েছেন বেকারত্বময় নিষ্করুণ পরিস্থিতিতে, তাও নিছক ভাঁড়ামিতে পর্যবেশিত হতে পারতো। কিন্তু তা হয় নি শেষপর্যন্ত, কমেডির শরীরে যে বিদ্রূপের ছটা, তাও চলচ্চিত্রের মূল প্রসঙ্গের সঙ্গে মানিয়ে গেছে। মিঠুর স্কুলড্রেস এক চরম বিদ্রূপ, চরিত্রটির পরিণতির জন্য। বেকার মিঠু ও তার সাবেক প্রেমিকার স্বামীর চাকরিচ্যুতির পর, দুজনের মধ্যকার কল্পিত বড়লোকী আলাপও, ক্যারিয়ারে ব্যর্থ উভয়ের প্রতি ঠাট্টা বটে।  

ঢাকা শহরে অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ রিমা – অর্থে, খ্যাতি ও শ্রেণি বিবেচনায়। কিন্তু তার এক দুর্ঘটনাময় দুর্বল পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চায় প্রতিষ্ঠা ও শ্রেণি বিবেচনায় খুবই তাৎপর্যহীন এক যুবক মিঠু, যার আবাস এমনকি মূল শহরের বাইরে, নদীর ওপারে। দুই শ্রেণির দুই মানুষের যখন এক পাটাতনে মিথস্ক্রিয়া করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার ফল যে ভালো হয় নি, তা বলাই বাহুল্য। তবে পরিচালকের মূল আলোকপাতের জায়গা শ্রেণি নয়, মনোজগত। ফলে চলচ্চিত্রের প্রথমার্ধে কাহিনীর একরকম অগ্রগতি থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে তিনি ব্যাপৃত থাকেন মিঠুর কিংবা পুরুষের মনোজগতের হদিসে। ফলে অনেক স্বাপ্নিক-পরাবাস্তব দৃশ্যের আয়োজন আমরা দেখি, অ্যাবসার্ডিটিরও দেখা মেলে।

সমুদ্রতীরে রিমার সঙ্গে মিঠুর কল্পিত অন্তরঙ্গতা আমরা দেখি, সৈকতের সন্ধ্যায় বহু মুখোশের শয়ান দেখি আমরা, যেন মুখোশগুলো সময় ও ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে। বয়ফ্রেন্ড অয়নকে রিমা ডাকে পিঁপড়া, সম্ভবত লোভী পিঁপড়া, যার মিষ্টদ্রব্যে মুখ দেবার বদঅভ্যাস আছে। এ তথ্য মিঠু পেয়েছিল রিমার ফোন থেকেই, সেই পিঁপড়ার লোভ মিঠুকেও পেয়ে বসেছিল। তাই দুঃস্বপ্নে পলাতক মিঠুকে সেই লোভই পিঁপড়া আকারে কয়েকবার আক্রমণ করে। যে পোশাকের দোকানে আত্মগোপনে থাকে, সেখানে ম্যানিকুইনকে পাশে নিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায় মিঠুকে। নারীদেহের প্রতি পুরুষের লোভ, এই ফেটিস্টিক আবেশ প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিচালক প্রতীকায়িত করেন। রিমার সঙ্গে ফোন ফেরত দেবার সূত্রে মিঠুর যে প্রথম দেখা, দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রিমার দিক থেকে অভ্যর্থনার সম্ভাব্য তিনটি সংস্করণ কল্পনায় দেখে মিঠু। মিঠু চরিত্রের মনের খবর এভাবে বিভিন্ন স্বপ্নদৃশ্যের মধ্য দিয়ে পরিচালক আমাদের দেন।

রিমার মানসিক টানাপড়েনকেও গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন পরিচালক। বিকারের মধ্যেই এই দুই চরিত্রের শেষ পরিণতি, যদিও পরিচালক মিঠুর পরিণতিকে দুইটি সম্ভাবনায় খোলা রেখেছেন – সে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, অথবা সম্ভাব্য সকল বিপর্যয় ও আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সে এই ভড়ঙের আশ্রয় নিয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, জাক লাকাঁর মনঃসমক্ষণীয় তাত্ত্বিকতা এই চলচ্চিত্র ভিত্তি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

কিছু সিনেমাটিক ট্রিটমেন্ট ‘পিঁপড়াবিদ্যা'কে সমৃদ্ধ করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মিঠুর আবদারে স্বামী-স্ত্রীর অভিনয়ের সিকোয়েন্সটির কথা। প্রায় অন্ধকার রিমার মুখে ফ্রেমের বাইরে থেকে আসা আলোর লম্বা রেখা, চোখজুড়ে ঘৃণা ও অসাহয়ত্ব, আর পেছন থেকে বিকারে-নির্বিকারে মিঠু এগিয়ে আসছে, কোলে তাদের কন্যারূপী প্রতীকী এক পুতুল – পুতুলটিতে আলো জ্বলে, যান্ত্রিক শব্দ হয়, ক্রমাগত মাথা নাড়ে পুতুলটি। পুতুলটিকে বেডরুমের পাশে এক টেবিলে রাখা হয়, রিমাকে মিঠু শয্যায় ডাকে – ব্যাকগ্রাউন্ডে দরজার ফাঁকে শয্যার সামান্য অংশ দেখা যায় আর ফোরগ্রাউন্ডে পুতুলটি ক্রমাগাত মাথা নাড়াতে থাকে... যা হতে চলেছে তা ঠিক নয়, তা মানা যাচ্ছে না। রিমা অবশ্য শেষপর্যন্ত মিঠুর ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কাছে হার মানে নি, উল্টো মিঠুকে মারধর ও গালিগালাজ করে, এবং ক্লিপ ফাঁস হবার ঝুঁকিকে বরণ করে নেয়। আরেকবার দেখা গেছে রিমার কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে ঘরের একটি ভাস্কর্যের ওপর ফোকাস করার মাধ্যমে, যে টরসোর মুখের প্রকাশভঙ্গিতে সেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা ও বেদনা মূর্ত হয়েছে।              
  
যে দোকানে পলাতক মিঠু রাত কাটায়, সেই দোকানমালিকের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক তা বোঝা যায় নি। দোকানমালিক কীসব প্রসঙ্গ তুলে মিঠুকে বকাঝকা করে তাও স্পষ্ট হয় নি। কিছু কিছু দৃশ্য ঢাকার উপকণ্ঠে খোলামেলা লোকেশনে নিয়ে যাবার কারণগুলোও প্রতিষ্ঠিত হয় নি। হয়তো শুটিঙের সুবিধার জন্য এর আশ্রয় নেয়া হয়েছে। আবার চলচ্চিত্রের প্রথম পর্যায়ে ভিডিওচিত্র নিয়ে দীর্ঘক্ষণের চাপানউতোর দেখে একপর্যায়ে মনে হতে পারে, কাহিনীর ক্যানভাস তবে এত ছোট? তবে এসব সীমাবদ্ধতার বাইরে, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’র বহু বিষয়ই লাগসই হয়েছে। পাত্র-পাত্রী নির্বাচন, সিনেমাটোগ্রাফি, আবহসংগীত, সম্পাদনা, শব্দ – কোনো ক্ষেত্রেই আলাদা করে বলার মতো চমৎকারিত্ব হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু সবকিছুতেই একধরনের সঙ্গতি রয়েছে।

পরিচালকের সুনির্বাচন ও পরিমিতিবোধ এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রটিকে অনেকখানি ত্রুটিমুক্ত করে তুলেছে। তবে একথা বলতেই হবে, চরিত্রানুযায়ী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করতে পরিচালক সফল। ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ কিংবা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে আমরা দেখেছি ছোট-বড় সব চরিত্র প্রচুর কথা বলে। কিন্তু ‘পিঁপড়াবিদ্যা’য় আমরা দেখলাম চরিত্রগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলে অথবা বলে না। মিঠুর বোন চরিত্রটিকে অনেক দৃশ্যে দেখা গেলেও কথা বলতে দেখা গেছে একেবারে শেষ দৃশ্যে, আর মিঠুর বাবাকে কোনো কথা বলতেই দেখা যায় নি। হয়তো এরকম একটি চরিত্রের দরকার ছিল যে মিঠুর অগ্রহণযোগ্য কারবার সব বুঝবে এবং স্তম্ভিত হয়ে থাকবে।    

পরিচালক হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ক্রমশ পরিণত হয়ে উঠছেন, যিনি জানতে পেরেছেন এই সময়ের দর্শকের জন্য কোন ধরনের গল্প বলতে হবে। আর তিনি বুঝেছেন নানান সিনেমাটিক ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে তা বলতে পারতে হবে।

ফাহমিদুল হক: চলচ্চিত্র সমালোচক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।