ঢাকা: প্রায় ২০ দিন ধরে চলা টানা অবরোধে হঠাৎ জানা গেলো- খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়েছে। এ সংবাদে দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যম, সাধারণ মানুষ সবার মাঝে এক রকম টেনশন কাজ করছিলো।
এই রকম একটা পরিস্থিতে সন্ধ্যায় যখন খবর এলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা হিসেবে সমবেদনা জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তখন সবার মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কাজ করছিলো। সঙ্গে ছিলো আশার একটা জায়গা; এইবার যদি দুই নেত্রী নিজেদের মাঝে দেখা করে কিছুটা নরম হন।
সেক্ষেত্রে দেশের এই ক্রান্তিকালে, যখন প্রতি দিন পেট্রোল বোমার আঘাতে কেউ না কেউ পুড়ে মরছে, সেখান থেকে যদি কোন উত্তরণের পথ পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী ঠিকই সমবেদনা জানানোর জন্য খালেদার গুলশান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হলো- খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব না। প্রধানমন্ত্রীকে সেখান থেকে ফিরে যেতে হয়েছে।
বিষয় হচ্ছে, প্রধামন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো- তিনি একজন মা হিসেবে দেখা করতে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়া তো একজন মা হিসেবে তার সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। সেটি না করে অবস্থা দৃষ্টে মনে হলো- বিএনপি এর মাঝেও রাজনীতি মিলিয়ে ফেলেছে। আর বিএনপি যদি রাজনীতিই মিশিয়ে থাকে তাহলে সেখানেও তো তারা সংলাপের কথা বলে আসছে।
তো, প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা না করে, কথা না বলে খালেদা জিয়া কি করে সংলাপ করবেন সেটা কেবল বিএনপিই ভালো বলতে পারবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখার ঘটনার জন্ম দিয়ে খালেদা জিয়া নিজে ঘুমালেন নাকি পুরো জাতির ভবিষ্যৎকে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন, এটিই হচ্ছে এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন।
আমিনুল ইসলাম: গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫