দেখতে দেখতে দুই বছর হয়ে গেলো। কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণা হলো, একটা ‘ভি’ চিহ্ন আর ভেতরে ভেতরে ফুঁসতে থাকা আজকের প্রজন্ম।
সম্ভব এই কারণে বলছি, কারণ কাদের মোল্লার সেই “ভি” চিহ্ন এখন আর নেই, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পেতে হয়েছে। এই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেছে। পুরো সফলতা এখন পর্যন্ত না এলেও এই আন্দোলনের একটা প্রভাব অবশ্যই পুরো বাংলাদেশের সামাজিক ও কিছুটা হলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতে অন্তত সেই সময়ে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলো, যার রেশ এখনো থাকলেও হয়তো সময়ের প্রেক্ষাপটে কিছুটা ম্রিয়মাণ।
এটি অবশ্য স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। একটি হঠাৎ গড়ে উঠা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব বছরে পর বছর থাকবে এমনটি নয়, তবে এর পরোক্ষ প্রভাব থেকে যায় যুগের পর যুগ। লেগে থাকে মানুষের মুখে মুখে। এই যেমন এই আন্দোলনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে হয়তো লেখা হবে সকল পত্রিকা, সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয়। অর্থাৎ ২০১৩ সালে আমাদের এই প্রজন্ম দেখিয়ে দিয়েছিলো কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হয়।
২০১৫তে এসে দেশের বর্তমান পরিস্থিতে রাজনৈতিক দলগুলো গণন্ত্রের নামে দেশটাকে অনেকটা বার্ন ইউনিটে পরিণত করেছে, যখন তখন পেট্রোল বোমায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে! অথচ দেখে মনে হচ্ছে কারো কিছু করার নেই। আমাদের তরুণ প্রজন্ম কি এভাবেই আমাদের প্রিয় দেশটাকে পাকিস্তানের মতো অকার্যকর দেশ হয়ে যেতে দেখবে! নাকি শাহবাগ আন্দোলনের মতো আরো একটা আন্দোলন গড়ে উঠবে যেখানে এসব অপরাজনীতি রুখে দেয়া হবে। দেখিয়ে দিতে হবে আমরাই পেরেছিলাম, আমরাই পারবো।
এখন দেখার বিষয় কবে জাগবে আমাদের এই প্রজন্ম।
আমিনুল ইসলাম: গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫