সাম্প্রতিক সুশীল ও নাগরিক সমাজের সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্নার দুটো টেলিফোনালাপ ফাঁস হয়ে গেছে। তিনি ওই গোপন টেলিফোন আলাপের একটিতে বিএনপি নেতা খোকাকে বলেছেন-‘ইউনিভার্সিটিতে মারামারিতে গেলো দুই তিনটা।
অদ্ভূত ব্যাপার হচ্ছে, পুরো টেলিফোনালাপে তিনি টকশোর কথা অনেকবার বলেছেন। এও বলেছেন- টকশোর কথা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, দেশের মানুষজন এখন এই সব কথা গুরুত্ব সহকারে শোনে।
এর চেয়েও বড় ব্যাপার, তিনি আরেকজন নামকরা সাংবাদিকের নামও বলেছেন ওই টেলিফোন আলাপে। তার পুরো কথাবার্তায় মনে হয়েছে- টেলিভিশনে যারা তাদের ডাকা, তারাও বিষয়গুলো কিছু না কিছু জানে। এমনকি কারা টেলিভিশনে যাবে সেটিও নাকি তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এবং তিনি ঠিকও করে দেন!
ফোনালাপের এক পর্যায়ে মান্না বলেন, ‘আমি আরও কয়েকজনকে দিয়ে বলিয়েছি, আরও কয়েকজন বলবে’! অর্থাৎ অন্য অনেকেই যারা সুশীল বা বুদ্ধিজীবী বনে গিয়ে টকশোতে যান তারা তাদের নিজেদের বুদ্ধিতে কথা বলছেন, নাকি এই রকম মান্নাদের বুদ্ধিতে কথা বলছেন এটিও এখন একটি বড় প্রশ্ন।
তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে! মান্না না হয় লাশ চাওয়া সুশীল বুদ্ধিজীবী হয়ে গেলেন ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের টেলিভিশনে যে সব টকশো হয় সেগুলো কিভাবে হয়, কি কারণে হয়, কার ফায়দার জন্য হয়- এ বিচার কে করবে! যারা এই মান্নাদের সুশীল বানাচ্ছেন, বুদ্ধিজীবী বানাচ্ছেন তাদেরও এখন কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সময় হয়নি কি?
আমিনুল ইসলাম: কলামিস্ট ও গবেষক, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫