লক্ষ্মীপুর: মফস্বলে থাকি। সাংবাদিকতায় আগ্রহ থাকায় সব ধরণের সংবাদ মাধ্যমের খবরই কম-বেশি রাখার চেষ্টা করতাম।
২০১০ সালের শেষ দিককার কথা। খোঁজ পেলাম সবে যাত্রা শুরু করা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজের। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গেল। তখন থেকেই শুধু পড়ার জন্যই নয়, শেখার জন্যও বাংলানিউজ পড়তাম নিয়মিত।
স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও তথ্যবহুল হওয়ায় বাংলানিউজের প্রতি আস্থার একটা জায়গা তৈরি হয়। সেই থেকেই বাংলানিউজ আমার শিক্ষক।
শুরুতে তেমন কোনো লক্ষ্য না থাকলেও, সৌভাগ্যবশত ২৫ অক্টোবর ২০১৩ থেকেই বাংলানিউজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাই। এখন আমি লক্ষ্মীপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট। বাংলানিউজে কাজ শুরু করতে পারাটা ছিল অনেক আনন্দের। আমার প্রথম নিউজ আপ হওয়ার অনুভূতিও ছিল দারুণ।
বাংলানিউজের মতো সদা সক্রিয় পোর্টালে পারব কি পারব না, হবে কি হবে না এমন নানান প্রশ্ন সামনে রেখে কাজ শুরু করি। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরই ভয় ও সংকোচ উধাও। সংবাদের প্রয়োজনেই নিজের অজান্তেই বাংলানিউজের সঙ্গে মানিয়ে নিই নিজেকে।
কাজ শুরুর পর দ্রুতই বুঝতে পারি এখানে সবাই বন্ধুর মতো। এমন উপলদ্ধি থেকেই নিজেকে আরো বেশি উপযোগী করে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত।
বাংলানিউজ থেকে নিয়েছি অনেক। দেওয়ার চেষ্টাও তাই শতভাগ। সারাদিনতো বটেই, রাত যতোই গভীর হোক, জরুরি কোনো তথ্য পাওয়া মাত্রই তা বাংলানিউজের হাত দিয়ে জানিয়েছি সারাদেশ, বিশ্বকে। চেষ্টা করেছি সবার আগে সব খবর দিতে।
আমার জেলা লক্ষ্মীপুরের অনেক সাংবাদিক বাংলানিউজের ওপর নির্ভরশীল। প্রায়ই অনেকে দৈনিকে আগের দিনে আমার দেওয়া সংবাদই প্রকাশ হতে দেখি। এজন্য তারা কৃতজ্ঞতা না জানালেও নিজের মধ্যে এক ধরণের ভাললাগা কাজ করে। প্রকাশ না করলেও দেখে সত্যিই ভালো লাগে।
মাস তিনেক আগের কথা। প্রথম সারির একটি টেলিভিশন চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নির্যাতিত এক শিশু গৃহকর্মীর খবর সংগ্রহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেন। দীর্ঘ সময় নানাভাবে তিনি ভিডিও ফুটেজ নিলেন। নিজকে প্রকাশে বুম হাতেও নানা পোজে ফুটেজ নিলেন। এরপর ফেরার সময় অপর এক সংবাদকর্মী জানতে চাইলেন, ভাই নোট তো নিলেন না। তিনি অকপটে উত্তর দিলেন, নিউজ বাংলানিউজে আছে।
লক্ষ্মীপুরে বাংলানিউজের জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে পাঠক। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এর এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।
উপকূলীয় জেলা হলেও এখানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বার-বার খবরের শিরোনাম হয়ে উঠে। এখানে পথ চলা খুব সহজ নয়। বেশ কিছু কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। বাঁধাও এসেছে। তবুও বাংলানিউজের হাত ধরে এগিয়েছি, এগিয়ে চলছি।
তবে যার হাত ধরে বাংলানিউজে এসেছি তার অবদান স্বীকার না করলেই নয়। এখনো পূর্বসুরী কাজল কায়েসের নিত্য সহযোগীতা ও পরামর্শে ঋণী আমি।
বাংলানিউজের পাঁচ বছর পূর্ণ হলো, ষষ্ঠ বছরে পা রাখলো দেশসেরা এ অনলাইন পোর্টাল। আজকের এই শুভ দিনে বাংলানিউজের কাণ্ডারী এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সেইসঙ্গে বাংলানিউজের যাদের কাছ থেকে শিখছি তাদের প্রতি অপরিসীম কৃতজ্ঞতা।
যারা বিভিন্ন সময়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতিও। আগামীর পথ চলতে তাদের এমনি করে পাশে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
এসআর