বাংলানিউজের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একটি লেখা লিখব ভাবছিলাম। কিন্তু এত বড় নিউজ পোর্টালে আমার মতো সামান্য পাঠকের লেখা কি প্রকাশ করবে- এটি ভাবতে ভাবতে আজ ক’দিন পার হয়ে গেল।
ভালবাসা থেকেই বলতে চাই, বাংলানিউজ এমন একটি অনলাইন পোর্টাল যা শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে কোন সংবাদ থেকে বঞ্চিত করেনি। সবার আগে খরর জানার জন্য আমাকে বাংলানিউজ সাহায্য করে। এতে আমি সবার কাছে নিজেকে ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারি। অন্য দশটি অনলাইন পত্রিকা পড়লেও তৃপ্তি পাওয়া যায় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না বাংলানিউজ পড়ি। কৃতজ্ঞ আমি বাংলানিউজের কাছে।
লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, আজ কোন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, অন্য এলাকায় খুন হয়েছে। সবাই ঘটনা নিয়ে বলাবলি করছে, কেউ কেউ দু:খের নি:শ্বাস ফেলছে, আর বলছে বেশিক্ষণ হয়নি ঘটনা। কিন্তু আমি বাংলানিউজই খুলেই ঘটনাটি জানতে পারি। তাদের সাথে নিউজ শেয়ার করতেই সবাই অবাক হয়ে যায়। তারা বলে, এতো তাড়াতাড়ি তুমি কিভাবে ঘটনা সম্পর্কে জানলে? আমি বলি বাংলানিউজ২৪.কম-এ। তখন তাদের ভেতর আমি বাংলানিউজের প্রতি ভালবাসা টের পাই।
এই ভালবাসাই আজ বাংলানিউজকে দেশের শীর্ষ অনলাইন পোর্টালে পরিণত করেছে। বিশ্বকাপ ফুটবল ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমি বাংলানিউজ থেকে একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছি। আমি অবাক হয়েছিলাম যে, একবার পুরস্কার পেলেও আবার ভাগ্যক্রমে নাম এলে পরবর্তীতে আমাকেই নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কোন প্রতিযোগীকে একবারের বেশি পুরস্কার দেয় না। কিন্তু বাংলানিউজ তাদের সততা, স্বচ্ছতা পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তা আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি।
এই পুরস্কার গ্রহণের সুবাদে শ্রদ্ধেয় এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন, ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী, মামুন ভাই, উজ্জ্বল দাসহ অনেককেই আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, কথা বলেছি, সবাই খুবই আন্তরিক। আমি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে যা পাওয়া দরকার তার থেকে বেশি ভালবাসা পেয়েছি।
শ্রদ্ধেয় এডিটর ইন চিফ মহোদয় তো আমাকে জড়িয়ে ধরলেন, পাশে থেকে ছবি তোলার সুযোগ দিলেন- যা আমার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। আজ শুধু আমি কেন, দেশের কোটি কোটি পাঠকের ভালবাসার আরেক নাম বাংলানিউজ। বাংলানিউজ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে, থাকবে সারা জীবন পাঠকের হৃদয়ে- এই কামনায়।
লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম, [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৫
জেডএম