ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

‘তুমি আসলে আমরা সুকণ্ঠ হতাম’

এস. এম. মাসুম বিল্লাহ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
‘তুমি আসলে আমরা সুকণ্ঠ হতাম’

ঢাকা: ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত নোট থেকে নেয়া একটা ইংরেজি উদ্ধৃতি দেয়া আছে। উদ্ধৃতিটির বাংলা অনুবাদে এর অর্থের গভীরতার প্রতি সুবিচার হয়েছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়নি।

তাই সেটি নিজ অনুবাদে এখানে উদ্ধার করলাম। আগ্রহীরা মূল পাঠ্য দেখে ভেদ-বিচার করতে পারেন।

৩০ মে ১৯৭৩ বঙ্গবন্ধু তাঁর ডায়রিতে লেখেন: "একজন মানুষ হিসেবে মানবজাতির সব উদ্বেগ আমাকে আচ্ছন্ন করে। একজন বাঙালী হিসেবে বাঙালী সংশ্লিষ্ট সবকিছু আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়। এই বিনম্র সম্পৃক্তি জন্ম নেয় ও লালিত হয় ভালবাসা থেকে--সে এক অবিনশ্বর ভালবাসা--যা আমার রাজনীতি এবং একান্ত অস্তিত্বকে তাত্পর্যপূর্ণ করে তোলে"।

এই নোট থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও জীবনদর্শন ঠিকরে বেরিয়ে আসে। নিউজ উইক [৫ এপ্রিল, ১৯৭১] 'রাজনীতির কবি' বলে অতিরিক্ত কিছু বলেনি। কথা হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অন্যদের থেকে আলাদা কোন দিক দিয়ে?

অ. শহীদ অধ্যাপক আনোয়ার পাশা তার 'রাইফেল রোটি আওরাত' উপন্যাসে (১৯৭১) লেখেন: "বঙ্গবন্ধু কোনো নাম নয়--তা যেন বাঙালীর আত্মমর্যাদার প্রতীক"। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে অধ্যাপক পাশা ওই কথাটি লিখেছিলেন। কিন্তু লর্ড ফেনার ব্রকওয়ের উক্তি থেকে ধার করে এই কথার প্রকৃত মানে বুঝা যায়। লর্ড ফেনার মনে করতেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দু'বার স্বাধীন করেছেন: ১. দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা উন্মুখ জাতিতে পরিণত করে; এবং ২. বিজয়ের তিন মাসের মধ্যে মিসেস ইন্দিরা গান্ধীকে অনুরোধ করে ভারতীয় সৈন্যদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে যদি পাকিস্তান কারাগারে হত্যা করা হতো এবং তিনি আর বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারতেন, তবে বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্যের উপস্থিতির মেয়াদ ও ধরন ভিন্ন হতো।

বিভিন্ন দৃষ্টান্ত থেকে দেখা যায়, সাহায্যের পর মিত্র-সেনাবাহিনী আর দখল ছাড়তে চায়না [যেমন: দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত-এ মার্কিন সৈন্যের ক্রমাগত অবস্থান]। এক পর্যায়ে এরকম বাহিনীর ক্রমাগত অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ বলে গণ্য হয় [আমেরিকা-নিকারাগুয়া মামলা, ১৯৮৬]। কিছু ক্ষেত্রে দেশের সার্বভৌমত্বেও ভাগ বসে[নামিবিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯৭১]। আমাদের ওই অভিজ্ঞতার মধ্যে  যেতে হয়নি। এ বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর সাফল্য একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম।

আ. আর এক দিক দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত রূপদানকারী। তিনি যদি রবীন্দ্রনাথের গানকে বাংলাদেশ সংবিধানে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সমাসীন না করতেন এবং এবং মিসেস ইন্দিরা গান্ধীকে বলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ৪ মে ১৯৭২ কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরত এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না দিতেন, তাহলে আমাদের 'বাঙালী জাতিস্বত্ত্বা'র আত্মোপলব্ধি অপূর্ণ থেকে যেতো। স্বীকার্য, যে জাতির ভান্ডারে নজরুল-রবীন্দ্রনাথ আছে, সে জাতির সাংস্কৃতিক-সত্ত্বার বিনাশ নেই। পঞ্চম সংশোধনী মামলায় [৬৩ ডিএলআর, (২০১১)৫৬৫] নজরুল-রবীন্দ্রনাথকে বাঙালী সংস্কৃতির 'সেক্যুলার আইকন' হিসেবে উল্লেখ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। 'চল চল চল'  আর  'আমার সোনার বাঙলা' ছাড়া দেশাত্মবোধ কল্পনা করা কঠিন।

মার্কিন দার্শনিক মার্থা ন্যুসবম তাঁর "পলিটিক্যাল ইমোশন" (২০১৩) বইয়ে লেখেন: "একটা গরীব দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাঙলা’ গানটি বিশাল মানবতাবাদের বার্তাবাহক এবং সেদেশের সৌন্দর্য ও গর্বের ধারক "। আর এই গানের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার একটা প্রথম দিককার সাক্ষ্য দিচ্ছেন শিল্পী সনজীদা খাতুন এভাবে [বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মারকগ্রন্থ, ২০০৭]: "১৯৫৬ সালের এক সন্ধ্যায় কার্জন হলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনপ্রতিনিধিদের জন্যে একটা  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলো। সেই সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইবার জন্যে আমি আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। কে একজন এসে বলল যে শেখ মুজিবর রহমানের ইচ্ছা মঞ্চে যেন 'আমার সোনার বাঙলা' গানটি গাওয়া হয়। পাঁচ স্তবকের পুরা গানখানি আমি সেদিন গেয়েছিলাম। এ গান গাওয়ানোর পেছনে যে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ছিলো, সে কথা বুঝতে পারিনি তখন। ঢের পরে উপলব্ধি করেছি, বিশেষ করে পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে "সোনার বাংলার" জন্য বাঙালীর ভালবাসার কথা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মুজিব। অত আগেই বাঙলা আর বাঙালীর ভাবনা তাঁর মাথায় ছিলো"। অন্যদিকে, নজরুলের 'চল চল চল' গানটি রণসংগীত হিসেবে ১৩ জানুয়ারী ১৯৭২ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে বেছে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ই.  বীরাঙ্গনাদের পিতৃ-পরিচয় প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু আবার আমাদের ক্ষমাহীন নিচুতাকে ছাড়িয়ে যান। পাকিস্তানি সেনারা বাঙালী নারীর সম্ভ্রম শুধু কামনা চরিতার্থ করার জন্যে ছিনিয়ে নেয়নি। দেশের ভূখণ্ডের উপর যুদ্ধ ছড়ানোর মতো বাঙালী নারীর শরীরের উপর তারা যুদ্ধের বিভীষিকা ছড়াতে চেয়েছে। মিশ্র প্রজন্ম তৈরি করে বাঙালি জাতিসত্ত্বার গৌরব তারা তছনছ করতে চেয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধকালীন 'রেপ' শুধু যৌনতার বিষয় ছিল না, তা ছিলো যুদ্ধ জয়ের অন্যতম ‘সিস্টেমেটিক কৌশল’ এবং বাঙালী নারীর ‘সতীত্বের শুদ্ধতার’ ধারণাকে গুড়িয়ে দেয়া [জিওফ্রে ডেভিস, ১৯৭১-৭২]। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে অনেক বীরাঙ্গনা ও তাদের সন্তানদের পরিচয় দিতে আমাদের তথাকথিত সমাজ অস্বীকৃতি জানায়। বঙ্গবন্ধু পরম মমতায় তাদের কাছে ডেকে নেন: "বলে দিও, ওদের বাবার নাম শেখ মুজিবুর রহমান আর ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২" [২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২]।

ঈ. ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ কালরাত্রির পরে বঙ্গবন্ধুকে দেশবাসীর আর কিছুই দেবার নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, ত্যাগ ও তিতিক্ষা, জীবনস্মৃতি ও ঐতিহাসিক স্থান যা বাংলার জাতিস্বত্তার সাথে মিশে আছে, সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যা দিতে পারেন, তা বাঙ্গালীকে আর কেউ কোনদিন দিতে পারবেন না [এম. আমীর-উল ইসলাম, ২০০৭]।

তাই সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বঙ্গবন্ধুকে নমস্য জ্ঞান করেন, ভারতের ১৫০ কোটি মানুষই  যেন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে সমীহ জানান। অথচ এই মানুষকে হত্যার পর চলেছে ইতিহাস বিকৃতির মচ্ছব। বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন উচ্চাভিলাষী, একনায়ক। নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হলো প্রকৃত বঙ্গবন্ধুকে চিনতে পারা, যেমনটি শেক্সপীয়র-এর জুলিয়াস সীজার নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে আন্টোনি রোমানদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। সীজাররে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তার বন্ধু আন্টোনি রোমানদের উদ্দেশ্যে বলেন: সীজারকে তোমাদের উচ্চাভিলাষী মনে হলো? ব্রুটাস, মান্যবর মানুষ, তিনি সীজারকে উচ্চাভিলাষী বলছেন, অথচ গরীব যখন কেঁদেছে, তিনিও (সীজার) কেঁদেছেন, উচ্চাভিলাষ তো এমন নরম ব্যাপার নয়; এই সেদিন আমি যখন তাঁকে তিন তিন বার মুকুট পরালাম, তিনি প্রত্যেকবার তা প্রত্যাখ্যান করলেন, তোমরা কি দেখো নাই?[স্মরণ করুন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর বক্তৃতা: “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, আমি এদেশের মানুষের অধিকার চাই]"।

আন্টোনি বলে চলেন: "তোমরা তোমাদের সীজারকে কি একদিন কোনো কারণ ছাড়াই ভালবেসেছিলে? কিসে তোমাদের আজ শোক প্রকাশ করতে বাঁধা দিচ্ছে? জেনে রাখো, তিনি তার শেষ উইলে রোমানদের জন্যে তার সবকিছু দান করে গেছেন; আমাকে ক্ষমা করবেন; আমার প্রাণ সীজারের কফিনের সাথে পড়ে আছে, ওখান থেকে সেটি ফিরে না আশা অবধি আমি চুপ করলাম"।

সীজারের মতোই বঙ্গবন্ধুও রেখে গেছেন তার আদর্শ, রাষ্ট্রিক-চেতনা আর সোনার বাঙলা গড়ার স্বপ্ন। নতুন প্রজন্মের আন্টোনিদের দায়িত্ব হলো বাঙালীদের মনে করিয়া দেয়া, কেন তারা একদিন বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছিলো। কেন তারা তাঁকে ভালোবেসে 'বঙ্গবন্ধু' বলে ডেকেছিলো। যে ভালোবাসাকে পুঁজি করে তিনি ফাঁসি কাষ্ঠে হাসতে হাসতে প্রাণ দিতে চেয়েছিলেন, যে ‘অক্ষয় ভালবাসার’ কথা তিনি তার নোটে লিখে রেখে গেছেন, তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাতায় পাতায় বিধৃত করে গেছেন। ‘সোনার মানুষ’ দিয়ে একটি মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পন্ন রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা করে গেছেন। নিজের জীবন-যৌবন ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিলীন করে নয় বছর জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করে গেছেন। হতবাক হতে হয়, আজকের যে তরুণদের ভাবার কথা 'বিপ্লবী স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই মুজিব', তারা কেমন করে অন্যের চোখের জল ঝরায়?

উ. অথচ মানুষের দুঃখে তিনিই নিজের চোখের জল ফেলতেন। সন্তান সমতুল্য দেশের গরীব মানুষের কথা বাবার মত মাথা গুঁজে ভাবতেন। পাকিস্তানের জেল থেকে এসে ঢাকার মাটিতে লক্ষ মানুষের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কেঁদেছিলেন। শিল্পী শাহাবুদ্দিন এক সাক্ষাত্কারে এই বিষয়ে বলেন: “আবদার মেটাতে না পারা বাবার মতো এই ভাবনার ধরণ আর জনসম্মুখে এমন অশ্রুপাত জাতির জনককে অন্য সব রাজনৈতিক নেতা থেকে আলাদা করেছে”। এই 'দরদ' একটা  সামাজিক আবেগসম্পন্ন গুণ। দার্শনিক রুশো যার নাম দেন 'নাগরিক ধর্ম' যা 'অল্ট্রুইস্টিক মোটিভেশন' তৈরি করতে পারে। মার্থা ন্যুসবম একে বলেন, 'প্যাট্রিয়টিক ইমোশন' যার চাষ স্থিতিশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরীতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধু চরিত্রের এই দিকটি পড়তে পারেনি।

বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ রেসকোর্সে রবি ঠাকুরকে হাজির করেন: "কবি গুরু তুমি বলেছিলে, সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করোনি। কবি গুরু, তোমার কথা আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, আমার বাঙালী আজ মানুষ হয়েছে। " অথচ বাঙালীর 'মানুষ' হওয়ার গর্বে গর্বিত বাংলার জুলিয়াস সীজার শেখ মুজিব ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটে নিজ বাড়ির সিঁড়িতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। তার সাথে জাতির ভাগ্যও কি লুটিয়ে পড়েনি সেদিন ? শেক্সপীয়ার বলেন এভাবে: "....Great Caesar fell/O what a fall was there, my countrymen!/Then I, and you, and all of us fell down/Whilst bloody treason flourished over us".

আর মহাদেব সাহা তাঁর ‘আমি কি বলতে পেরেছিলাম’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর পড়ে যাওয়ার বর্ণনা দেন এভাবে: আমি তো জানি তোমাকে একগুচ্ছ গোলাপ ও স্বর্ণচাঁপা  অনায়াসে হত্যা করতে পারতো /তবু তোমার বুকেই গুলির পর গুলি চালালো ওরা/তুমি কি তাই টলতে টলতে বাংলার ভবিষ্যতকে বুকে জড়িয়ে সিঁড়ির উপর পড়ে গিয়েছিলে?"]

ঊ. এখন চারিদিকে মনুষ্যত্বের প্রতি মর্যাদাবোধের অভাব আমাদের সমাজকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। যে চেতনা নিয়ে বাঙালী জাতি একটা রাষ্ট্র বিনির্মাণ করেছিলো, তার দেখা মেলা ভার। আবার যদি বঙ্গবন্ধু ফিরে আসতেন! আবার যদি শোনা যেতো, তিনি আছেন! যদি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর এই কথা সত্যি হতো: "তুমি আসলে আমরা সুকণ্ঠ হতাম !"। আমরা যে 'সহিষ্ণু প্রতীক্ষায়' আছি! তাঁর  নাম নিয়ে আমরা ইতিহাসের দরজা খুলবো। কারণ, ইতিহাসতো বঙ্গবন্ধুকে বানায়নি, বঙ্গবন্ধুই  ইতিহাস বিনির্মাণ করেছেন। ইতিহাসের দীর্ঘ সড়ক ধরে হেঁটে গেলেই বাঁকে বাঁকে তাকে দেখা যায়।  

এস. এম. মাসুম বিল্লাহ: পিএইচডি শিক্ষার্থী, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন। ই-মেইল: [email protected].

বাংলাদশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।