ঢাকা: সুইতলা মল্লিকপুর বটগাছ শুধু মাত্র ঝিনাইদহের সম্পদ নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের সম্পদ। ১৯৮২ সালে বিবিসি’র এক তথ্য অনুযায়ী যা এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছ।
ঝিনাইদহের প্রাচীন সম্পদ সুইতলার মল্লিকপুর বটগাছ যা কালিগজ্ঞ উপজেলার বেথুলি গ্রামে অবস্থিত। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এ গাছটিকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গার অভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠছে না।
বটগাছটির বয়স আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০ বছর। প্রাচীন কাল থেকেই এটিকে ঘিরে ব্যবসা ও বাণিজ্যের বিস্তার ঘটতে থাকে। যা এখনও চলমান। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ আসেন বৃহত্তম এ বটগাছটি দেখতে।
এছাড়া সুইতলার বটগাছটি পরিদর্শন করেছেন এক সময় দায়িত্বে থাকা মার্কিন রাষ্টদূত জান ডব্লিউ মজিনা (২০১৪ সালের ১২ মে)। কিন্তু বর্তমানে বৃহত্তম এ বটগাছটিকে যদি যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তবে জায়গাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বটবৃক্ষের পাশে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয় ১৯৯০ সালে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বর্তমানে রেস্ট হাউসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফোন করলে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
পরে কথা হয় কোনটচাঁদপুর বন বিভাগে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে বটগাছটির চারদিকে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। রয়েছে একটি গেটও। এছাড়া দ্রুতই স্টাফদের থাকার জন্য ভবন নির্মাণসহ শিশুদের জন্য নাগরদোলা এবং অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে আশেপাশের জায়গা কিনে এটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবো।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমানে এখানকার পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে।
তবে তারা দাবি করেন যে, এখানে যদি একটি পিকনিক কর্নার স্থাপন করা হয় তবে পযর্টকরা উৎসাহ বোধ করবেন।
এমনকি সরকারের একটি বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে এশিয়া মহাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম এ বটগাছটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
আইএ