ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ও বাস্তবতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ও বাস্তবতা

আগামী অর্থ বছরের জন্য দেওয়া ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের পর এর নানাদিক আলোচনার পর্যায়ে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এ বিতর্ক থেকে সমাজের সচেতন মহল বাদ যায়নি।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর বিষয়টি উঠে এসেছে । তবে সমাজের সচেতন নাগরিকদের একটি বড় অংশই সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমার বিষয় স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না।

কারণ স্বল্প আয়ের মানুষ ও অবসর প্রাপ্ত নাগরিকদের বড় অংশই সঞ্চয়পত্রের আয়ের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয় মনে করছে, মুদ্রাবাজারে ভারসাম্য আনতে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো উচিত। বর্তমানে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার কমে ৩-৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর মেয়াদি আমানতের হার ৪.৫ থেকে ৬.৭৫ শতাংশ। তবে কোন কোন ব্যাংকের সঞ্চয় প্রকল্পে এ হার ৭ শতাংশও রয়েছে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার  ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। শেয়ার বাজারে ঝুঁকি বিরাজমান থাকায় এ খাতে খুব একটা বেশী বিনিয়োগ বাড়ছে না।

ব্যাংকের সুদের হার কমে যাওয়ায় মানুষ নিরাপদ হিসেবে সঞ্চয়পত্র কেনার দিকেই আগ্রহী। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সাড়ে ৯ থেকে ১১ শতাংশ হওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগ শতভাগ নিরাপদ। এ খাতে বিনিয়োগ থেকে আয় দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিরাপদে জীবন-যাপন করছেন। এখন সুদের হার কমে যাওয়ার খবরে তারাই বেশী চিন্তিত। তবে এখাতে সুদের হার বেশী হওয়ায় অনেক উচ্চবিত্ত ও সুবিধা ভোগী শ্রেণী সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। এজন্য সুদের হার না কমিয়ে সুবিধা ভোগীর সংখ্যা কমালে ফল আরও ভালো আসবে।

দেশের মোট জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। এই অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের জীবনকে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তা দিতেই সরকারের সঞ্চয় স্কিম। সরকার এর ইস্যু করা সঞ্চয় প্রকল্প বেচা-কেনা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর। সাধারণত সমাজের সুবিধা বঞ্চিত, অবসরপ্রাপ্তদের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। জনগণের মাঝে সঞ্চয়ের মনোবৃত্তি গড়ে তোলাও সঞ্চয়পত্রের আরেকটি উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে সরাসরি ঋণ নেয় সরকার। বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য অভ্যন্তরীণ উৎসের অন্যতম এই সঞ্চপত্র।

সঞ্চয়পত্র সেকেন্ডারি মার্কেটে বেচা-কেনা হয়না, বিধায় এর ফল পেতে ক্রেতা সাধারণকে পূর্ণ মেয়াদ তথা পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কোন ক্রেতা মেয়াদ পূর্তির আগে সমর্পন করলে কম সুদ পাবেন। সঞ্চয়পত্রগুলি বিভিন্ন মেয়াদের হয়, সময়ের উপর নির্ভর করে সুদের তারতম্য হয়। চাকরিজীবীদের সুবিধা কর প্রদানের সময় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ দেখাতে পারলে কিছুটা কর রেয়াতের সুবিধা পাওয়া যায়। বিনিয়োগ দেখাতে না পারলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বেশ টাকা কর হিসেবে দিতে হয়। পেনশনভোগী, বয়স্ক লোক, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে সরকারের এসব সঞ্চয় স্কিম খুবই জনপ্রিয়।

তবে সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের কিছু অসুবিধাও আছে, তাৎক্ষণিক টাকার প্রয়োজন হলে তা ভাঙালে সুদের হার অনেক কমে যায়। আর অন্য অসুবিধা হলো, মূল্যস্ফীতির হার যদি বেড়ে যায় তবে সুদের হার সমন্বয় করার সুযোগ থাকে না। বিধায় মূল্যস্ফীতির হার যদি প্রদেয় সুদের হারের কাছাকাছি হয়ে যায় তাহলে বিনিয়োগকারীর লাভের অংশ খুব একটা থাকবে না।

বর্তমান অবস্থায় আশংকা হলো, যদি সুদের হার কমানো হয় তা হলে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হারের ব্যবধান খুব একটি থাকবে না। এতে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় দিয়ে তাদের জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে যাবে।

বাস্তবতা হলো, অনেক অবসরভোগী চাকরিজীবী প্রাপ্ত পেনশনের অধিকাংশ টাকাই এ খাতে লাভের আশায় বিনিয়োগ করে থাকেন। তাইতো সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরা মুখ বুঁজে না থেকে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন।

কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের বক্তব্য এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমানো হবে। এর সঙ্গে আমাদের মতো অবসর প্রাপ্ত মানুষের জীবনযাপনের সম্পর্ক আছে, তাই বিষয়টির প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। পেনশনভোগী মানুষ সাধারণত সঞ্চয়পত্রের উপর নির্ভর করেন। কারণ, এখানে ব্যাংকের চেয়ে বেশী অর্থ পাওয়া যায়। এখন সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর যে কথা বলা হলো, তা যদি সত্যি সত্যিই করা হয়, তাহলে আমাদের মতো বিপুল সংখ্যক মানুষ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বেন। অবসরপ্রাপ্ত মানুষের তো আয়ের আর কোন পথ নেই, সঞ্চয়পত্রই তাঁদের মূল অবলম্বন। তাহলে এই মানুষের আয়ে হাত দেওয়া কেন?

আজকে যারা অবসর জীবন যাপন করছেন, তাঁরা একসময় রাষ্ট্রকে সেবা দিয়েছেন। এখন তাঁদের বয়স হয়েছে, তাঁরা তো আর কাজ করতে পারেন না। তাঁরা রাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তাই সরকারের উচিত এমন ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে তাঁদের আয় না কমে। আমাদের দেশে সামাজিক নিরাপত্তা নেই বললেই চলে, এখানে বৃদ্ধ বয়সে সঞ্চয়পত্রই ভরসা। তাই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানো ঠিক হবে না। আমার মতো যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ হয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মনোযোগ আকর্ষণ করছি”।

এই পুরো বক্তব্যটিই কথা সাহিত্যিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের। তাঁর আবেদনটি খুবই মানবিক যা বিবেচনার দাবি রাখে। আমার পরিচিত অনেকেই অবসর জীবনে সঞ্চয়পত্রের উপর অনেকটা নির্ভরশীল। সঞ্চয়পত্রের সুদ কমে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসায় তারাও এর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। তবে পরিচিতদের মধ্যে কেউ কেউ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না করে ইসলামী ব্যাংকগুলোতে বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন। ব্যাংকের প্রফিট কমে যাওয়ায় তাঁদের অবস্থাও সুখকর নয়। যদিও প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর তুলনায় ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবসা লাভজনক।

২০১৬ সালে সাধারণ ব্যাংকিংয়ে প্রকৃত মুনাফার হার ছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ। সেখানে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে মুনাফা ছিল ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকিংয়ে খেলাপি ঋণের হারও অনেক কম। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের নিয়ন্ত্রণে দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রায় ২০ শতাংশ।

ব্যক্তিজীবনে আমি খুব একটা সঞ্চয়মুখী নই। তাই সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ এখনো হয়নি। আমার অবস্থা হলো- প্রতি মাসে বেতন থেকে যা আয় তাই ব্যয়। টাকা খরচের মজাই আলাদা। নিজেকে একটু ‘বড়লোক’ ভাবা যায়। তবে মধ্যবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে মাঝে মধ্যে কিছুটা সঞ্চয়ের ইচ্ছে জাগে। সে ভাবনা থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ বাস্তবায়নের পর আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে মাসিক জমার ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদি হিসাব খোলা হয়। যার লভ্যাংশের হার ছিল ১২%। যা এখন কমে ৭% এ নেমে এসেছে। তবে এ নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই, এজন্য যে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রতি বছর বাড়ছে।

২০২৪ সালের দিকে দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে। দেশের অর্থনীতির সূচকের সবকটি উপাদানই ভালোর দিকে আছে। তাই প্রফিটের অংশ কিছুটা কমে গেলেও আমার জীবন যাত্রার মানের ক্ষেত্রে এর প্রভাব খুব একটা পড়বে না। তবে আরো একটা বড় কারণ হলো, চাকরিরত অবস্থায় মাস শেষে মাসিক বেতনই তো চাকরিজীবীদের মূল ভরসা। যা আমার বেলায়ও প্রযোজ্য। কিন্তু অবসরভোগী ব্যক্তিদের সঞ্চয়পত্র ও সব ধরণের আমানতের সুদের/প্রফিটের হার কমে যাওয়া দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের দিকে ততোটা মনোনিবেশ না করে এর নীতিমালা পরিবর্তনের দিকে নজর দেয়া দরকার। বলা যায়, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ। সংশোধনগুলো করা হলে রাষ্ট্র ও প্রকৃত সুবিধাভোগীরা উপকৃত হবেন। তবে নিম্নবিত্ত মানুষ যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। মূলত সামাজিক এ আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকার নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, বয়স্ক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এ প্রকল্প চালু করে। কিন্তু নীতিমালার সুযোগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভোগ করছে । এ কারণেই নীতিমালা পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে, পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চপত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ, পেনশনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মে এর পর থেকে এ হার কার্যকর আছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের হার কিছুটা বেশী ছিল। বর্তমানে ব্যাংকের আমানতের সুদের হার ৩-৪ শতাংশ।

বর্তমান বাস্তবতায় দেখা যায়, ব্যাংক আমানতের সুদের হার ও সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ফলে অনেকে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। ফলে সরকারের লক্ষমাত্রার চেয়েও সঞ্চয়পত্রে অনেক বেশী ঋণ হচ্ছে । ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। অর্থ বছরের ১০ মাস যেতে না যেতেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। অর্থ বছরের শেষ মাস জুনে সবচেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এ মাসে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, সঞ্চয়পত্রের এতো সুদ (গড়ে ১১ শতাংশ) আর থাকছে না, ব্যাংকের সুদের (৭ শতাংশ) চেয়ে ২ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন হার নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান বাস্তবতায় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কতটা কমে তা দেখার বিষয়। তবে নীতিমালা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এর প্রকৃত সুবিধাভোগী শ্রেণী চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, বয়স্ক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঞ্চয়পত্র থেকে বিনিয়োগের বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা প্রয়োজন। এই দিকটি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। তাছাড়া নারী, প্রতিবন্ধী ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিবার সঞ্চয়পত্রে আকর্ষণীয় মুনাফা হারে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ রাখা প্রয়োজন।

সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির: অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।