ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

বিশ্বায়নের অতীত!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
বিশ্বায়নের অতীত! বিশ্বায়ন। ছবি: প্রতীকী

কান পাতলেই বিশ্বব্যাপী এখন ‘বিশ্বায়ন’ শব্দটি শোনা যাচ্ছে। নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে পুরো বিশ্বকে একই সুতায় বেঁধে ফেলার। আধুনিক বিশ্বায়ন নতুন বিষয় হলেও বিভিন্নভাবে বিশ্বায়ন ধারা চলে আসছে সুদূর অতীত থেকে। অতীত আর বর্তমানের বিশ্বায়নের তুলনাও কিন্তু কম চাঞ্চল্যকর নয়। বিশ্বায়নের অতীত ইতিহাসও বেশ চমকপ্রদ।

যদিও আজকের দিনে বিশ্বায়ন শব্দটি ভাবলেই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ছবি। ভেসে ওঠে কিছু আন্তর্জাতিক হোমরা-চোমরা, মাল্টিন্যাশনাল আমলা ও নব্য-সাম্রাজ্যবাদের ছবিও।

সেই সঙ্গে বিশ্বায়ন বিরোধী কৃষক, এনজিও প্রতিবাদ। পক্ষে আর বিপক্ষে বিশ্বায়ন নিয়ে চলছে নানা দেশে ও সংস্থায় তুমুল কারবার।

অথচ বর্তমান কালের প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বায়নের বহু আগে থেকেই কিন্তু বিশ্বায়ন চলছে হাজার বছর ধরে। ট্রেডার, প্রিচার, অ্যাডভেঞ্চারার, ওয়ারিয়রদের অবদানের সেই অপ্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রথাগত বিশ্বায়ন মিশে আছে সভ্যতার সঙ্গে একই সমান্তরালে। বহু বিষয়, নাম, ধাম, চিন্তা, চেতনা, দর্শন, প্রযুক্তি, কৌশল, রোগ-ব্যাধি এভাবেই ছড়িয়ে গেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, দেশ থেকে দেশে, বিশ্বময়।

অতএব নতুন নামে ও সংজ্ঞায় উপস্থাপিত হলেও বিশ্বায়ন নতুন বিষয় নয়। যদিও হাল আমলে বিশ্বায়ন আবার নতুনভাবে ও তীব্র বেগে এসে হাজির হয়েছে। একটি ইলেকট্রনিক আর্কাইভ আছে আমেরিকায়, যাতে প্রায় ৮,০০০ সংবাদপত্র, পত্রিকা ও রিপোর্টির ডেটাবেস পাওয়া যায়। এই তথ্য-ভান্ডারে ২০০১ সালে গ্লোবালাইজেশন বা বিশ্বায়ন  শব্দটি পাওয়া গিয়েছিল ৫৭,২৩৫ বার। এখন পাওয়া যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ বার।

নাম এবং সংজ্ঞাগত কারণে ঠিক আজকের প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্বায়ন বলে সঠিকভাবে চিহ্নিত ও শনাক্ত করা না গেলেও অতীতে ট্রেডার, প্রিচার, অ্যাডভেঞ্চারার এবং ওয়ারিয়ররা ছড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বায়ন। ধর্ম,  ঔপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদের সূত্রে অনাদীকালের বিশ্বায়নের সূত্রে অতীত থেকে আজ পর্যন্ত আবদ্ধ তাবৎ পৃথিবী। কিছু তাজা ও চমকপ্রদ উদাহরণ দিলে বিষয়টি বোঝা সহজ হবে।

বিশ্বায়ন।  ছবি: প্রতীকী জাপানি কোম্পানি Canon -এর নাম কে না জানে! ক্যামেরা, ফটোকপিয়ার ও কম্পিউটার প্রিন্টার-এর জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পরিচিত কোম্পানি Canon. আদি কোম্পানিটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৩৩ সালে, রেঞ্জ-ফাইন্ডার ক্যামেরা তৈরি করার জন্য। তখন কোম্পানিটির নাম ছিল Precision Optical Instruments Laboratory. ১৯৩৭ সালে কোম্পানিটির নাম বদলে হয়ে গেল Canon. এর পেছনে লুকিয়ে আছে একটি মজার ইতিহাস। সে ইতিহাসও এক ধরনের বিশ্বায়নের প্রমাণবহ।
 
আমরা জানি, ভারত থেকে কালক্রমে অন্যত্র বৌদ্ধধর্ম ছড়িয়ে পড়ে। চীন-জাপানেও চলে যায় বৌদ্ধধর্ম এবং প্রতাপের সঙ্গে টিকেও থাকে। বৌদ্ধধর্মের বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের নাম চীনা ভাষায় রূপান্তরিত হয়ে দাঁড়ায় Guanyin. সেখান থেকে আরও রূপান্তরিত হয়ে জাপানি ভাষায় নামটি হয় Kwanon. এবং ১৯৩৪ সালে  Precision Optical Instruments Laboratory এর প্রস্তুত ক্যামেরার ট্রেডমার্ক-এ ব্যবহৃত হয় বোধিসত্ত্ব Kwanon -এর প্রতিচ্ছবি। এই প্রতিচ্ছবিটি ক্রেতাদের কাছে এতই পরিচিত হয়ে গিয়েছিল যে কোম্পানির নামটি পর্যন্ত বদল করে রাখা হয় Canon.

এমন দৃষ্টান্ত আরও আছে। এক দেশের বিষয় বহু দূরের অন্য দেশে সগৌরবে শুধু টিকেই নেই, বরং দাপটের সঙ্গে নতুন দেশটিতে স্বীয় অস্তিত্ব জানান দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কত কিছুই এভাবে ভাসতে ভাসতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাচ্ছে কিংবা আসছে।

ইথিওপিয়ায় পাওয়া Coffee jura কলম্বিয়া-ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার নানা দেশ ঘুরে কীভাবে পৌঁছে গেল পৃথিবীর সকল দেশের প্রায়-প্রতিটি ঘরে, পেয়ালায়-পেয়ালায়!

মঙ্গোলিয়ায় প্রাপ্ত ঘোড়ার লেজের চুল ব্যবহার করে বেহালা বাজাতে শিখে ফেললো ইউরোপের লোক!

আরব দেশের গণিতজ্ঞ ছিলেন al-Khawarizmi. তাঁর নাম থেকে পাওয়া গেল algorithm শব্দটি!

Kimchi ছাড়া কোরিয়ান খাবারের কথা ভাবাই যায় না। অথচ দক্ষিণ আমেরিকার কলোম্বিয়ায় লঙ্কা আবিষ্কার হওয়ার পূর্বে Kimchi এর অস্তিত্বই জানা যায় না!

জার্মানির একটি প্রায়-বিস্মৃত ছোট্ট শহরের নাম থেকে পাওয়া মার্কিন মুদ্রা Dollar -এর কথা সবাই জানে, কিন্তু সেই শহরটির কথা বিশ্বের মানুষ তো বটেই, অনেক জার্মানও জানে না!

ট্রেডাররা কীভাবে বিশ্বায়ন ছড়িয়ে দিয়েছে, সে এক মজার কাহিনী। কটন বা তুলার কথাই ধরা যাক। তুলা আবিষ্কার হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকায়। আজকের বিশ্ব বাজারের ৯০% ভাগ তুলার যোগানদারও দক্ষিণ আমেরিকাই। কিন্তু কলম্বিয়াতে পাওয়া যাওয়ার আগে এই তুলার কথা বিশ্বের বাজারে ছিল অজ্ঞাত। তুলা বলতে মানুষ জানত ভারত ও মিসরের কাপড়কে। ভারতে উৎপাদিত বস্ত্রের পরিবর্তে আমদানি হতে লাগল সোনা, রুপা ও মণিমাণিক্য। ১৭০০ সালে বিশ্বের মোট কাপড়ের ৩০% ভাগ ভারতে উৎপাদিত হত। শিল্প বিপ্লবের পর প্রচুর কাঁচামালের দরকার হল ইউরোপের কাপড়ের কলগুলোর জন্য। ঔপনিবেশিক বণিকরা তখন খুঁজে বের করল দক্ষিণ আমেরিকার গোপনে লুকিয়ে থাকা তুলা। ছড়িয়ে দিল তুলাকে ভারতে, চীনে, মিসরে এবং সারা বিশ্বে। তুলার বিশ্বায়ন সন্তর্পণে সংঘটিত হয়ে গেল।

বিশ্বায়ন ছড়িয়েছিলেন প্রিচাররাও। বিশেষত বৌদ্ধ ধর্ম ও পরবর্তীকালে খ্রিস্ট ধর্ম ও ইসলাম ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ধর্মযাজকেরা বিশ্বব্যাপী জাগিয়ে তুলেছিলেন সাংস্কৃতিক লেনদেন। ভারত ও চীনের তৎকালীন আদান-প্রদানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘সিল্ক রোড’। এই ‘রেশমি সড়ক’ নামের পথটি একটি মাত্র পথ ছিল না। একাধিক পথের বিন্যাসে সৃষ্ট পথের নামই ‘সিল্ক রোড’। উত্তর দিকের পথটি সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছিল ইউরোপ ও চীনের মধ্যে। দক্ষিণ দিকের পথটিও তাই। যেতো ভারত হয়ে এবং খানিকটা সমুদ্র পথে মধ্যপ্রাচ্য বা আফ্রিকা ঘুরে সেই ইউরোপেই। এই ‘সিল্ক রোড’ দিয়ে শুধু যে চীন থেকে সিল্ক আসত, তা নয়। ভারতীয় ধর্মযাজকরা যেতেন চীনে। যেমন গিয়েছিলেন ধর্মরক্ষ, কশ্যপ, মাতঙ্গ ও বোধিরুচি। বোধিরুচির অনুবাদ করা Lotus Sutra  এবং উরধসড়হফ Diamond Sutra অনেক পরে সুদূর চীনের এক উপান্ত থেকে আবিষ্কার করেছিলেন অরেল স্টাইন নামক এক ইউরোপীয় পণ্ডিত। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রাজদরবার থেকে বাংলা ভাষার আদিরূপ চর্যাপদ আবিষ্কারের মতো।

বোধিরুচি চীন গিয়েছিলেন ৫০৮ সালে। বিশ্বের সর্বপ্রথম ছাপা বইয়ের নাম জানতে চাইলে অনেকেই Gutenberg Bible -এর কথা বলবেন। আধুনিক মুদ্রণ অর্থে উত্তরটা ঠিক। কিন্তু ৮৬৮ সালে ছাপা Diamond Sutra -এর একটি সংস্করণ পাওয়া গেলে মুদ্রিত আদি পুস্তকের নাম নিয়ে বির্তক শুরু হয়। এখনও সংরক্ষিত কাগজে ছাপা বইয়ের মধ্যে এটাই কিন্তু সর্বপ্রাচীন এবং সর্বপ্রথম মুদ্রিত বই। আবার এই ‘সিল্ক রোড’ ধরেই আসতেন Xuanzang -এর মতো বিশ্বখ্যাত ভূ-পরিব্রাজকরা। প্রাচীনকালের একটা সময়ে চীনের রাজধানী ছিল Xian বা Changan. আজকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়াতে যাচ্ছেন পৃথিবীর নানা দেশের বহু মানুষ। Terracotta Army দেখতে তারা Xian বা Changan-ও গিয়ে থাকেন। কিন্তু আজকাল ক’জন জানেন যে, এই Xian  বাv Changan থেকেই শুরু হতো বিখ্যাত ‘সিল্ক রোড’! এবং Xian বা Changan -ই হল বিখ্যাত পরিব্রাজক Xuanzang -এর আবাসভূমি! ভালো করে তালাশ করলে Xian  বাv Changan-Gi Big Wild Goose Pagoda-য় দেখা যাওয়া যাবে Xuanzang -এর একটি অতি সুন্দর প্রতিমূর্তি।

প্রিচারদের পরে অ্যাডভেঞ্চারারদের ভূমিকাও কম নয় বিশ্বায়নকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে। এই সব স্রোতেই প্রতিপন্ন হয় একটি চিরন্তন সত্য, আর তা হল, অভিবাসনের ধারায় বিশ্বের মানবকূল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে এসেছে। সঙ্গে করে এনেছে নিজস্ব নানা বিশ্বাস আর সংস্কৃতি এবং গ্রহণ করেছে নতুন পরিবেশ ও পরিস্থিতির বহু কিছু। রোমাঞ্চ বা ভ্রমণ বা অভিযাত্রার টানে এই পথচলা মানব বংশে আজ পর্যর্ন্ত চলছেই। ইতিহাস এ ব্যপারে জানিয়েছে তার অমোঘ সিদ্ধান্তটি: With transportation becoming easier and cheaper and with the growing gap between poor and rich countries, the historical drive of migration is unstoppable. তার মানে দাঁড়াচ্ছে এই যে, পৃথিবীর ইতিহাস সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্বের ইতিহাস এবং আরও ব্যাপক অর্থে শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস ধরে নিলেও মানতে হবে যে, মানব অভিগমনের ইতিবৃত্তও পৃথিবীর ইতিহাসের একটি মৌলিক সত্য।

বিশ্বায়নে ওয়ারিয়রদের ভূমিকার কথা আলোচনাকালে অবশ্যই সামনে এসে দাঁড়াবে উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ এবং আধিপত্যবাদ প্রসঙ্গ। সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদের ফলে পূর্বে অপরিচিত নানাবিধ আদর্শ, মতবাদ, তত্ত্ব, এমনকি, বিচিত্র সব পণ্যসামগ্রী এসে গেছে আমাদের ভোগ্যপণ্যের তালিকায়। আমরা কেন! রাজন্যরাও বাদ যান নি সেই উপভোগের ধারা থেকে। ভারতের মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর একটি পর্তুগিজ জাহাজ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন আনারস নামের একটি ফল। দৃশ্যত কণ্টকযুক্ত ফলটি সম্রাটের কাছে অত্যন্ত উপভোগ্য হয়েছিল। তিনি আশা করেন, এই ফল যেন সব সময় হাতের কাছে পান। সে চেষ্টাও চলল পর্তুগিজদের সাহায্যে এবং তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন যখন দেখা গেল যে আগ্রার বাদশাহী বাগানে দিব্যি বেড়ে উঠছে আনারসের গাছ। আনারস যে ভারতে ঔপনিবেশিক-সাম্রাজ্যবাদকে পথ দেখিয়েছিল, এই তথ্য কী সবাই জানে!

বিশ্বায়ন।  ছবি: প্রতীকী অপ্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রথাগত বিশ্বায়নের অবাঞ্ছিত ফলস্বরূপ পৃথিবী পেয়েছে দাস ব্যবসা এবং পৃথিবীর মানুষ আক্রান্ত হয়েছে নানা রকম ব্যাধির মারাত্মক ছোবলে। ইউরোপিয়ানদের আগমনের ফলে দক্ষিণ আমেরিকার বিপুল সংখ্যক আদিবাসী ইন্ডিয়ান মারা গিয়েছিলেন স্মল পক্স, ইনফ্লুয়েনজা ও ডিপথেরিয়ার কারণে। এ ধরনের নবাগত ব্যাধির বিরুদ্ধে কোনও ইমিউনিটি ছিল না আদিম মানুষগুলোর। রোম সাম্রাজ্যকে আক্রমণ করেছিল ‘ব্যুবনিক প্লেগ’, যা সম্ভবত রোমান সৈন্যরা শরীরে বহন করে নিয়ে এসেছিল আফ্রিকা বা এশিয়ার কোন অঞ্চল থেকে। এই ব্যাধির মহামারীতেই বিশাল  রোম সাম্রাজ্যের নান্দনিক ও নিরাপদ রাজধানীর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নাগরিক মারা গিয়েছিলেন।

রোমান সাম্রাজ্যের এহেন মানবিক বিপর্যয়ের ৬০০ বছর পরে চীন থেকে এসেছিল ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামের আরেক মারণব্যাধি। এতে মারা গিয়েছিলেন ইউরোপের নানা দেশের ৬০ শতাংশ জনসাধারণ। নতুন ধরণের এই চীনা রোগটিকে সহ্য করার মত ক্ষমতা ইউরোপীয়দের ছিল না।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, সেই ১৯১৮ সালে মহাসমরের কারণে বিশ্বের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল ফ্লু প্যানডেমিক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধও সৈন্যদের মাধ্যমে বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে দিল সিফিলিস,  গনোরিয়া। বিশ্বায়নের নেতিবাচক প্রভাব বন্ধ করা যায় নি। পৃথিবীর মানুষের উপর আঘাত হেনেছে এভিয়ান ফ্লু, সার্স, এইডস এবং কম্পিউটারের নানা ভাইরাস। এর পরেও কি বন্ধ রয়েছে বিশ্বায়নের ফলে এক দেশে ছড়িয়ে যাওয়া রোগের নানা দেশে আক্রমণ! না হয় নি। খোদ সোয়াইন ফ্লু এসে হাজির হয়েছে আমাদের দোর গোড়ায়।

বিশ্বায়নের তথাকথিত ভালো দিকগুলো পরখ করার আগেই উন্নয়নকামী পৃথিবীর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিশ্বায়নের ফ্লু, ভাইরাস, জ্বরে। কখনও কোকাকোলা আর মাইকেল জ্যাকসনের উত্তাপে। এ-ও তো বিশ্বায়নের আরেক রূপ! মুদ্রার আরেকটি দিক!! অতীতের বিশ্বায়নের বর্ণবহুল, বহুমাত্রিক চিত্র!!!

ড. মাহফুজ পারভেজ: কবি-গল্পকার-গবেষক। অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘন্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।