ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

রেলের শহর রাজবাড়ী ও তাকে নিয়ে কিছু কথা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
রেলের শহর রাজবাড়ী ও তাকে নিয়ে কিছু কথা রেলের শহর রাজবাড়ী

রাজার নামে রাজবাড়ী। দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী জেলার সাথে ঢাকা জেলার রেল যোগাযোগের দাবি অনেক দিনের। যতটুকু শুনেছিলাম, ব্রিটিশ সরকারই এ সংক্রান্ত কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পদ্মা, কালীগঙ্গা এবং ধলেশ্বরীর মতো প্রমত্তা নদীগুলোর উপর ব্রিজ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণেই হয়তো তারা এই রেল লাইন বসানোর পরিকল্পনা হতে সরে আসে।

সেই থেকে আজ অবধি ঢাকা এবং মানিকগঞ্জ জেলার সাথে রাজবাড়ী জেলার সরাসরি রেল যোগাযোগ কয়া হয়নি। বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার সাথে পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব জেলায় রেল যোগাযোগ আছে।

প্রতিদিন রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গাসহ অনেক জেলার মানুষ ট্রেনযোগে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত এসে তারপর লঞ্চ/ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। তারপর বাস ধরে মানিকগঞ্জ এবং ঢাকা জেলায় আসেন। আবার যারা ঢাকা/মানিকগঞ্জ থেকে যান, তারা ওই পাড়ে গিয়ে ট্রেন ধরেন। যদিও বর্তমানে নানা অজুহাতে ট্রেনের সংখ্যা অনেক কমানো হয়েছে। আগের মতো ঐতিহাসিক গোয়ালন্দ বাজার স্টেশনের জৌলুস নেই কিন্তু এই স্টেশনে ট্রেনযাত্রীরও অভাব নেই। বর্তমানে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনার দিকে যথাক্রমে আন্তঃনগর মধুমতি, নকশিকাঁথা ও পোড়াদহ শাটল ট্রেন ছেড়ে যায়। গোয়ালন্দ থানার আওতাধীন দৌলতদিয়াতে ফেরি ও লঞ্চ সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে চালু হয় কালুখালী-ভাটীয়াপাড়া রেলপথ। এরপরে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসের ২১ তারিখে চালু হয় পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর সেকশন।  

এরই মধ্যে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর জন্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটকে বেছে নেয়া হয়েছে, যেখানে রেলসহ সড়কসেতু নির্মাণ করা হবে। যদিও আলাদাভাবে রেল মন্ত্রণালয় গঠিত হবার পরে আলাদা রেল ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ঢাকা মহানগরী বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থায় চলে গেছে যে, এখন ঢাকা শহর থেকে সরাসরি রেল লাইন টেনে নেবার কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে জয়দেবপুর জংশন থেকে একটা লাইন টেনে নিয়ে সাভার, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, পাটুরিয়া হয়ে দ্বিতীয় পদ্মাসেতুকে গোয়ালন্দ ঘাটের সাথে যুক্ত করা যায়। এতে করে ঢাকা-রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া-পোড়াদহ জংশন-খুলনা ও ঢাকা-রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া-পোড়াদহ জংশন হয়ে রাজশাহীর পথ অনেক কমে যাবে। পাশাপাশি অনেক সহজতর হবে।

এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে পার্বতীপুর জংশন-গোয়ালন্দ ঘাট/ফরিদপুর(ভায়া পাঁচুরিয়া জংশন)রুটে অথবা খুলনা- গোয়ালন্দ ঘাট রুটে নতুন এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা একান্ত প্রয়োজন। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া অঞ্চলে চট্টগ্রাম বা ময়মনসিংহ অঞ্চলের মতন একগাদা ট্রেন নেই। স্বল্প দূরত্বের লোকাল/মেইল ট্রেনের সংখ্যাও নগণ্য। রাজবাড়ী লোকোশেড যুগের পর যুগ ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। চালু করার কোনো উদ্যোগ নেই। রেল লাইন, স্টেশন ও জংশন এলাকা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রাজবাড়ী/পাংশা বা জগতীর মতো স্টেশনগুলো সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। পোড়াদহ জংশন থেকে গোয়ালন্দ ঘাট মেইন লাইনের সংস্কার করলেও রাজবাড়ী থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত রেল লাইনের অবস্থা এখনও খুবই খারাপ,যার দ্রুত করা প্রয়োজন। ৫১১/৫১২, আন্তঃনগর তিতুমীরসহ কয়েক জোড়া ট্রেন অনেক আগে থেকেই এই সেকশন থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে যা আজ অবধি চালু হয়নি।  

বর্তমানে ব্রডগেজ রেলওয়ের কোনো লোকোমোটিভ সংকট নেই। বরং অনেক লোকোমোটিভই অলস পড়ে আছে। অথচ  এই রুটে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোয় ৬৫ সিরিজ তো দূরে থাক, ৬৪ সিরিজ দিয়েও চালাতে দেয়া হয় না। কেন দেয়া হয় না তা জানা নেই। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে, প্রতিদিন চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে মধুমতি ট্রেন তার অর্ধেকেরও কম দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষেত্রে (রাজশাহী-ঈশ্বরদী জংশন) ৬৫ সিরিজের লোকোমোটিভ পায় কিন্তু বাকি পথে ৬০ বা ৬১ সিরিজ দিয়ে চালানো হয়।  

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেসের পাশাপাশি কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া ও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেন তিনটিতেই ৬০ অথবা ৬১ সিরিজের লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয় যা নিতান্তই পরিহাস ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। এর মধ্যে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনদ্বয় আন্তঃনগর হিসেবে চলতো যা বিগত ১৫ আগস্ট ২০১৭ ইং তারিখ থেকে মেইল হিসেবে চলা শুরু করেছে।

আন্তঃনগর হিসেবে রেখে এই রুট দুটিতে নূতন কোনো লোকাল বা মেইল চালানো কি যেতো না? রেলের কথা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় লোকবল, লোকোমোটিভ অথবা কোচ না থাকায় তারা এই রুটে অন্য ট্রেন দিতে পারছে না। আবার যাত্রী কম হওয়ায় রেলের লস হচ্ছে বিধায় তার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হচ্ছে, আয়-ব্যয় মুখ্য নয়, বরং রেলের সেবাটাই মুখ্য। তাহলে এই লোকসানের অজুহাতে রেলের দ্বি-মুখী আচরণ কেন? 

আমরা জানি, এক সময়ের জনপ্রিয় সেকশনটাকে কী করে তিলে তিলে শেষ করে দেয়া হয়েছিল। এর জ্বলন্ত উদাহরণ পোড়াদহ জংশন-গোয়ালন্দ ঘাট সেকশন। তাই বর্তমান সময়ে রেলবান্ধব সরকার ও রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি আমাদের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া অঞ্চলের রেলওয়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।  

আমার পক্ষ থেকে এই অবহেলিত সেকশনের জন্য কিছু সুপারিশ পেশ করছি:
১। অবিলম্বে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট-রাজশাহী পর্যন্ত প্রতিদিন ৬৪ বা ৬৫ সিরিজের লোকোমোটিভ বরাদ্দ করা উচিত। বর্তমানে পদ্মাসেতুর জন্যে পাথরবাহী এবং পাওয়ার প্লান্টে তেল পরিবহনের জন্যে ৬৪ বা ৬৫ সিরিজের লোকোমোটিভ দেয়া হলেও যাত্রীবাহী ট্রেনে তা নিয়মিত দেয়া হয় না। এখন যেহেতু কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া ও ফরিদপুর এক্সপ্রেস মেইল হয়েছে, সেহেতু মধুমতিতে অন্তত ৬৪ সিরিজের লোকোমোটিভ পুরো যাত্রাপথেই দেয়া উচিত। রাজবাড়ী লোকোশেড পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত ৬০ বা ৬১ সিরিজের লোকোমোটিভকে ৭৫৬ মধুমতিতে ডেড লোকোমোটিভ হিসেবে রাজবাড়ী আনা-নেয়ার কাজ করানো হোক। ঐ লোকোমোটিভের যখন কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া, ফরিদপুর ও শাটল ট্রেনে কাজ শেষে তেল ফুরিয়ে যাবে, তখন পুনরায় তেল নিতে ৭৫৫ মধুমতির সাথে ডেড হিসেবে চালিয়ে ঈশ্বরদী পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে। ৫০৬ এর সাথে ৭৬৩ চিত্রা এবং ৫০৮ এর সাথে ৭৬১ সাগরদাড়ি এক্সপ্রেসের কানেক্টিং দেয়া জরুরি। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক বদল না হলে অন্তত লোড ১০/২০ সহ একটি শোভন চেয়ার কোচ যুক্ত করা দাবি জানাচ্ছি।

২। পরিত্যক্ত রাজবাড়ী লোকোশেডটি পুনরায় চালু করা হোক। কেননা আগামীতে এই সেকশন বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে ও রেলওয়ের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেকশন হিসেবে গড়ে উঠবে। এছাড়া ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ফরিদপুরে বা ভবিষ্যৎ ভাঙ্গা জংশনে একটি পূর্ণাঙ্গ টার্ন টেবিল বা ট্রায়াঙ্গুলার লাইন করে রাখা যেতে পারে।  

৩। রাজবাড়ী-গোয়ালন্দ ঘাট অংশসহ সম্পূর্ণ পোড়াদহ-গোয়ালন্দ ঘাট সেকশনের রেল লাইনের পুনঃসংস্কার করা দরকার (যেমনঃ কাঠের স্লিপার বদল করে স্টিলের স্লিপার বসানো, পর্যাপ্ত পাথর প্যাকিং করা ইত্যাদি কাজ করা)। এখনও এই সেকশনের জগতি থেকে কুস্টিয়া কোর্ট এবং দবির মোল্লা রেলগেট থেকে গড়াই রেলসেতু পর্যন্ত কাঠের স্লিপার দেয়া এই ডিজিটাল যুগে বেমানান! এই সেকশনের স্টিলের স্লিপারগুলোতে মরিচা ধরে গেছে। অনেক স্থানে পর্যাপ্ত পাথরও নেই। এমতবস্থায় এই সেকশনের পুনঃসংস্কারের আবেদন জানাচ্ছি।  

৪। আমাদের এই সেকশনের জন্যে নূতন কোচের স্বপ্ন দেখা অনেকটা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই না। তাই আমরা নূতন লাল-সবুজ কোচ বা সাদা কোচ চাচ্ছি না। বরং এই নূতন কোচ নিয়ে অন্যান্য চলমান ট্রেনের রেক পরিবর্তন করার পর যেসকল নীল-হলুদ কোচ বেচে যাবে, সেসব দিয়ে পার্বতীপুর/সৈয়দপুর-ফরিদপুর(ভায়া কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী) পর্যন্ত নূতন এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা যেতে পারে। কেননা এই সেকশনের সাথে উত্তরবঙ্গের সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই! তা না হলে ঈশ্বরদী-গোয়ালন্দ ঘাট/ ফরিদপুর পর্যন্ত একটি কমিউটার বা মেইল ট্রেন অন্তত চালু করা যেতে পারে। এছাড়া সকালের দিকে আরো এক জোড়া শাটল ট্রেন পোড়াদহ-গোয়ালন্দ ঘাট রুটে চালু করা যেতে পারে।  

৫। বিকালের দিকে কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ভাটিয়াপাড়া ঘাট থেকে ছেড়ে রাজবাড়ীতে আসার পর তা গোয়ালন্দ ঘাটের দিকে না চালিয়ে ফরিদপুরের দিকে চালালে রেলের আয় বাড়বে। কেননা বিকালে রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুর বা ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত প্রচুর অফিস ফেরত মানুষ এবং ব্যবসায়ী বাসে করে আসা-যাওয়া করে থাকেন।  

৬। বলা বাহুল্য যে, রাজবাড়ী থেকে উত্তরবঙ্গ তথা পার্বতীপুর এবং দক্ষিণবঙ্গ তথা খুলনা রুটে আন্তঃনগর ট্রেনের চাহিদা আছে। যদি ফদিরপুর থেকে পার্বতীপুর বা ফরিদপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর, কমিউটার বা মেইল ট্রেন দেয়া হতো তাহলে এই এলাকার মানুষের অনেক উপকার হতো। আশা করি, বাংলাদেশ রেলওয়ে এটি ভেবে দেখবে।  

৭। বেসরকারী ট্রেনগুলো যথা ১৫/১৬, ২৩/২৪, ২৫/২৬, ৩১/৩২ ও ৫১৩/৫০৬/৫০৫/৫০৮/৫০৭ শাটল ট্রেনের লোড বাড়িয়ে অন্তত ৮/১৬ করা উচিত।

৮। রেলওয়ে স্টেশনগুলোসহ ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি করা রেলওয়ে স্থাপনা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন স্থানের সৃষ্ট বধ্যভূমিগুলি সংস্কার করা প্রয়োজন। রাজবাড়ী-জগতি, পাংশা, কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশনের ঐতিহ্য ধরে রেখে স্টেশনের রি-মডেলিং করা প্রয়োজন। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের ওভারারব্রিজটির সংস্কার করা প্রয়োজন। না হলে রেলের শহর রাজবাড়ী তার জৌলুস হারাবে! 

৯। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, গোয়ালন্দ-পোড়াদহ জংশন সেকশনের সেমাফোর সিগন্যালগুলো অকেজোই বলা চলে। তাই এই সেকশনের জন্যে অন্তত নন-ইন্টারলকড সিগন্যাল সিস্টেম চালু করা যেতে পারে যা পাচুরিয়া জংশন-ফরিদপুর এবং কালুখালী জংশন-ভাটিয়াপাড়া ঘাট শাখা সেকশনে বিদ্যমান।  

১০। রেলের জায়গা উদ্ধারে দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না এবং বলা চলে প্রায়ই তা লোক-দেখানোর পর্যায়ে চলে গেছে। তাই কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। বিনা টিকিটের যাত্রীদের জন্যে দফায় দফায় ব্লক চেক পরিচালনা করা উচিত।

#লেখক: প্রণয় কুমার, রেলফ্যান ও সৌখিন রেলফটোগ্রাফার
ইমেইল: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।