ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

জিয়ারত ছাড়া হাসিনা-খালেদারা গ্রামে যান না

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১১
জিয়ারত ছাড়া হাসিনা-খালেদারা গ্রামে যান না

গত কয়েকদিন ধরে দেশের প্রধান দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর বিরোধীদলের নেত্রীর পরষ্পরের বিরুদ্ধে বাক্যবান, কথাবার্তার মূল সুরটি যেন পরষ্পরকে ‘খাইয়া ফালামু মাইরা ফালামু’ গোছের। এর সারসংক্ষেপ দাঁড়ায় সামনে আরেকটি অনিবার্য সংঘাতের দিকে যাচ্ছে দেশ।

দেশের অগ্রগতির জন্য জরুরি দরকার সমঝোতা, শান্তি। মানুষের কথা শোনা-বোঝা। যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার চেষ্টাই দায়িত্বশীল রাজনীতি না। কিন্তু দূর্ভাগ্য দেশের মানুষের প্রতি সে বার্তাটি আমাদের দুই নেত্রীর তরফে নেই!

পাটগ্রামের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন রোডমার্চের গাড়ির নম্বর তিনি সংগ্রহ করেছেন। এসব গাড়ি এগুলোর মালিকরা কিভাবে কিনেছেন তা তিনি বের করবেন। এর আগে শহীদ মিনারে প্রতিবাদী নাগরিক আন্দোলনের ব্যাপারে একই হুমকি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তাদের কে কোথায় থাকে, বাড়ি কিভাবে কিনেছে, ইত্যাদি! এরমানে দাঁড়ায় দেশের কেউ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গেলেই সরকার তাদের  সম্পদ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়-হবে। নইলে নয়। মানে দাঁড়ায় সরকার সমর্থকরা আজান দিয়ে দুর্নীতি করার লাইসেন্স পাবে! কেউ তাদের কিছু বলবেনা! দুর্নীতির বিষয়ে দেশের হর্সেস মাউথ তথা প্রধানমন্ত্রীরমুখ দিয়ে যে বার্তাটি এল, তা ঠিক হলনা।
 
সাম্প্রতিক রোড মার্চে খালেদা জিয়া বক্তৃতার মূল দুটি বিষয় টার্গেট করেছেন। তাহলো দেশের তরুণ-যুবসমাজ আর দুর্নীতি। তরুন-যুবসমাজের ভোটে আওয়ামী এবার ক্ষমতায় এসেছে তা যেন এতদিন পরে তিনি এবং তার উপদেষ্টারা বুঝেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এরমাঝে ‘প্রিয় তরুন প্রজন্ম’ শিরোনামের একটি আবেগি লেখাও লিখেছেন। সিলেট রোডমার্চে খালেদা জিয়া বলেছেন আগামিতে ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতা তিনি দেশের যুব সমাজকে ছেড়ে দেবেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে ঈমানি জোরটা এত দুর্বল-নড়বড়ে যে যুব সমাজ মানে তারেক রহমান কিনা এ প্রশ্নটি আসার পর খালেদা জিয়া বা বিএনপির কোন নেতা সাহস করে সাফ কথাটি বলতে পারছেন না। কারণ দেশের মানুষের কাছে তারেক রহমান কে, ‘তিনি ক্ষমতা পাইলে কি করেন’ তা ঢের জানা আছে। সিলেট রোড মার্চ সফল করার দায়িত্ব সেখানকার যুবনেতা ইলিয়াস আলীকে দেয়া হয়েছিল। পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ইলিয়াস আলীর সাংগঠনিক দক্ষতার গুনগান। রোডমার্চের নেতাকর্মীদের থাকা খাওয়ার জন্য কতটি হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করা হয়েছিল সে বৃত্তান্ত।
 
কিন্তু সেই সমুদয় সাফল্যে ছাই দিয়েছেন সেখানকার বিএনপিরই সাবেক এক এমপি সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া! মিডিয়াকে ইন্টারভ্যু দিয়ে তিনি রোডমার্চকে কেন্দ্র করে ইলিয়াস আলীর চাঁদাবাজির তদন্ত দাবি করেছেন। জানতে চেয়েছেন কোন বৈধ আয় ছাড়া বনানীতে কি করে পাঁচতলা বাড়ি করেছেন বিএনপির এই যুবনেতা!
 
লেচু মিয়া দাবি করেছেন খালেদা জিয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইলিয়াস আলী ২০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন! কিন্তু ইলিয়াস আলী তা অস্বীকার করেছেন। এরমানে দাঁড়ায় লেচু মিয়ার কাছ থেকে টাকাগুলো নিয়েছে ইলিয়াস আলীর মতো দেখতে কেউ অথবা ভূতে! বিএনপির তরফে পুরো বিষয়টি চেপে যাওয়া হয়েছে। কারন তারা এবং সবাই জানেন কোটি টাকার রোড মার্চ সফল করতে টাকা কারো না কারো থেকেতো টাকা নিতে হয়েছে। বিএনপি সংগঠনটিওতো আর স্বেচ্ছাশ্রমের রামকৃষ্ণ মিশন না। এখানে কেউ সওয়াব কামাতে আসেননা। ধান্ধায় আসেন।

সিলেট রোডমার্চে বলা আগামির তরুন নেতাটি সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রোডমার্চে কথাটি থেকে খানিকটা সরে এসে খালেদা জিয়া বলেছেন, তরুনদের ট্রেনিং দিয়ে নেতৃত্বের উপযোগী করে এরপর তাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হবে। সিলেট-চাঁপাই উভয় রোড মার্চে খালেদা জিয়ার বড় আওয়াজ ছিল দুর্তির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি এই আমলেও হচ্ছে এটি দিনের আলোরমতো সত্য। কিন্তু খালেদা জিয়া সপরিবারে গায়ে গতরে দুর্নীতির গন্ধযুক্ত অবস্থায় হঠাৎ এ ইস্যুতে বেশি গরম হয়ে ওঠার কারন কী? এসব নিয়ে বেশি বেশি গরম দেখালে কী সরকার ভয় পেয়ে গিয়ে তার ছেলেদের দুর্নীতির বিচারে ক্ষান্তি দেবে সে আশায়? তিনি যে এখনি সরকারকে ফেলে দিতে চাইছেন তা কী সরকার নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে ছেলেদের দুর্নীতির বিচার শেষ করে ফেলবে এ ভয় তাকে পেয়ে বসেছে? না এসব চোরেরমার বড় গলা? খালেদা জিয়া নিজের আমলের দুর্নীতি স্বীকার করেননা বলে প্রশ্নগুলো সামনে আসছে।
 
কারণ দুর্নীতির বিরাট-বিশাল সব অভিযোগ তার শাসনামলের বিরুদ্ধে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঘোষনা দিয়ে তিনি নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন।   বিদেশের ব্যাংকে ছেলেদের নামে থাকা টাকা জব্দ অবস্থায় আছে। এই জব্দের সঙ্গে আবার আমেরিকা-সিঙ্গাপুরের মতো দেশ জড়িত। গত নির্বাচনপরাজয়ের পর চুপচাপ বিলুপ্ত করেছেন তার সাবেক আমলের দুর্নীতির হেডকোয়ার্টার-কন্ট্রোলরূম হাওয়া ভবন। মুখে তিনি কখনো ছেলেদের দুর্নীতি স্বীকার করেননি বা এসব আমাদের নেতারা করেননা। একবার শুধু বলেছিলেন আমার ছেলেরা দুর্নীতি বা অন্যায় করেনি। শহীদ জিয়ার ছেলেরা দুর্নীতি করতে পারেনা।
 
জিয়া বা তার ভাই-বোন পরিবারের কারো বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক দুর্নীতির কোন অভিযোগ নেই, এটি শতভাগ সত্য। তেমন সত্য সব দুর্নীতিই অভিযোগ খালেদা জিয়ার পরিবারের নামে। তার ভাই, ছেলেরা, তার ও ছেলের বন্ধুরা, ভাগ্নেরা, সব ‘আমরা আমরাই আর কী!’ সে কারনে সাঈদ ইস্কান্দারদের ব্যবসা আর হাওয়া ভবন বিলুপ্তি নিয়ে কিছু বলেননা খালেদা জিয়া। ব্যবসা-সম্পদ রক্ষায় তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ফালু আপাতত দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তা নিয়ে কিছু বলেননা। পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে জোর আওয়াজ তুলেছেন খালেদা জিয়া। বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় না গেলে পদ্মা সেতু হবেনা। আর হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলা শুরু করেছেন পদ্মাসেতুর দুর্নীতির অভিযোগ খালেদা জিয়ার আমলের যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে! অভিযোগটি সত্যি সত্যি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে হয়ে থাকলে কান টানলে মাথা আসার মতো খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর নামও চলে আসবে। কারন সাবেক আমলে আনঅফিসিয়েলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেখতেন কোকো। আর এর সুযোগে নাজমুল হুদা বিলাতে সহ কোথায় কোথায় কী কী গড়েছেন, লন্ডনের কোন বিএনপি নেতা টাকা মেরে দিয়েছিলেন, কিন্তু দাবি করে জোর গলায় কিছু বলতে পারেননি, নিরবে হজম করেছেন,  তা তিনি এবং ওয়াকিফহালরা জানেন।
 
আর এখন প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করতে তার এমন হঠাৎ বক্তব্য আবুল মন্ত্রীর পিঠ বাঁচানোর জন্য কিনা! না হয়ে থাকলে এতদিন কেন নাজমুল হুদার গায়ে ফুলের টোকাটিও দেয়া হয়নি। এটি কী সালমান এফ রহমানের সঙ্গে চাচা-ভাতিজার সম্পর্কের কারনে? সালমান রহমানের সঙ্গে সম্পর্কের কারনে বিএনপির আর কার কার গায়ে ফুলের টোকাটি পড়ছেনা, তারেক-কোকো ছাড়া বিএনপির সাবেক দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিচার নিয়ে সরকার কেন আগ্রহী না, শেয়ার কেলেংকারির অভিযোগ সত্ত্বেও সালমান এফ রহমান কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, এসব দেশের মানুষের সামনে পরিষ্কার করে বলতে হবে।
 
রোডমার্চের নওগাঁ, চাঁপাইনবাগঞ্জের জনসভায় বিএনপির চাইতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত-শিবিরের শক্তি প্রদর্শনের মহড়ার খবর পত্রিকায় এসেছে। আর সে জোশেই কী বেগম জিয়া বলে ফেলেছেন নিজামি-মুজাহিদরা স্বাধীনতা বিরোধী না? এমন বেসামাল বক্তব্য, যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রীকেবহর সঙ্গী করে বক্তৃতা দিইয়ে দেশের মানুষকে কী বার্তা দিতে চাইছেন বেগম জিয়া?

নিজামি-মুজাহিদরা সারাজীবন দাবি করল তারা আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। তাদের একাত্তরের সংগ্রাম পত্রিকার পাতায় পাতায় এর দালিলিক প্রমান আছে তারা কোন পক্ষে ছিল, আর বেগম জিয়া নিজামিদের ভাষার ‘একাত্তরের দুষ্কৃতিকারী জিয়ার স্ত্রী’(মুক্তিযোদ্ধাদের তারা  দুষ্কৃতিকারী বলত) দেশের মানুষকে শেখাতে চাইছেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তার স্বরচিত ইতিহাস? কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে কী এমন বলা সম্ভব? বা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এমন পাগলামোর বক্তব্য আগে কী কখনো বলেছেন। এখন এমন একজন ভারসাম্যহীন বক্তব্যের কারও ভবিষ্যতে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া উচিত কী?

দেশের মানুষের জীবনে একশ সমস্যা। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও উচ্চ দ্রব্যমূল্যসহ নানান কারনে সরকারের ওপর দেশের মানুষ সন্তুষ্ট না। সরকার দেশের মানুষের কথা শুনছেনা। রোডমার্চে যে মানুষের ঢল তা খালেদা জিয়া পথে বেরিয়ে প্রমান পেয়েছেন। কিন্তু টার্গেট যদি হয় ছেলেদের রক্ষা, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা, সরকার মেয়াদ শেষ করতে পারলে এদের বিচার করে ফেলবে, এই যদি হয় সরকারকে ফেলে দেবার মূল টার্গেট, যা খালেদা জিয়া এরমাঝে তার বক্তৃতাগুলোতে স্পষ্ট করে ফেলেছেন, তাহলে তিনি আবার ভুল করে ভুলপথেই যাচ্ছেন।
 
দুর্নীতি বিরুদ্ধে সাচ্চা থাকলে ছেলে হয়েছে বলে কী তিনি দুর্নীতির বিচারে বাধা দিতে পারেন? কারন তাদের দুর্নীতিরতো দালিলিক প্রমান আছে। খালেদা জিয়া যদি তার বিশাল ফ্রী ব্যারিষ্টারদের দ্বারা কোর্টে প্রমান করতে পারেন সিঙ্গাপুরের ব্যাংকের টাকাগুলো তার  ছেলেদের না, তাহলে তিনি মামলায় জিতবেন। কারন সত্য সত্যই। গায়ের জোরে কেউ মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দিতে পারেনা। শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার ‘খাইয়া ফালামু মাইরা ফালামু’ নীতির যদি টার্গেট হয় যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা তাহলে দেশের শহীদ পরিবারগুলো, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পক্ষের তরুন প্রজন্ম তাকে ছেড়ে, এমন নিশ্চিত ভাবারইবা কারন কী? এখন উল্টো তিনি এই বিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে কাদেরকে উস্কাচ্ছেন? মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত-শিবিরের ক্যডারদের? এমন যদি মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়, শুধু তাকে না, এখন এই বিচার নিয়ে সরকার যদি আর কোন গাফিলতি বিলম্ব করে শহীদ পরিবারগুলো, তরুন প্রজন্ম তাদেরও ছাড়বেনা।

খালেদা জিয়াকে আরেকটি কথা, দিনতো বদলাচ্ছে, রোডমার্চের খরচ, এসব খরচের উৎস, হরতালের চাইতে এটি সাশ্রয়ী কীনা, এসব হিসাবনিকাশের বিষয় জনগনের সামনে একটু সাফ সাফ বলা যায়না? তাহলেতো কেউ আর এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনা। বিএনপিতো আর পার্লামেন্টে যাবেননা, এটি সবাই জানে। এত কম সংখ্যক এমপি নিয়ে পার্লামেন্টে যাওয়াটা খালেদা জিয়ার ইজ্জতের ব্যাপার। হাসিনা-খালেদা বাংলাদেশের দুই নেত্রীর জন্মই  হয়েছে পার্লামেন্টের সংসদনেত্রীর আসনে বসার জন্য। পার্লামেন্টে যখন  যাচ্ছেনিনা, তা ঘোষনা দিয়ে একটু পার্লামেন্টের বেতন-ভাতা, বিদেশ ট্যুর এসব নেয়া বন্ধ করা, এতদিন যা নিয়েছেন তা ফেরত দেয়া যায়না? এসবতো দুর্নীতি তাই না? দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দেশের মানুষজন যারা একটা সৎ বিকল্প চায় আপনারাতো তা না, তাই নয় কী। সর্বশেষ মফঃস্বল থেকে ঢাকায় রোডমার্চের ঘোষনায় খালেদা জিয়াকে অনেকে মাওবাদী বিল্পবী মনে করতে পারেন। কিন্তু দেশের বিপ্লবীদের ঠিকানাতো গুলশান-বনানী-বারিধারা না। সেই বিল্পবীদের নির্মল সেনকে অর্থাভাবে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হয়। ভোট চাওয়া আর উদ্বোধন জিয়ারত ছাড়া হাসিনা-খালেদারা কখনও গ্রামে যান না।
 
ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময় ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।