দেশ ছেড়েছি মাত্র সেদিন। অভিজ্ঞতা থেকে জানি, রাজাকার-আল বদর ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের স্বপক্ষে মত দিলে কিছু মানুষ হামলে উঠেন ’ভারতের দালাল’ হিসেবে।
পারিবারিক মরুব্বীর ব্যবসায়িক একবন্ধু কট্টর জামায়াতী। ঠিকেদারী পেশায় ওনার উন্নতি শনৈ শনৈ হয়েছে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের ‘হাদিয়া’ প্রদানের সুবাদে। ইসলামী ব্যাংকিং ছাড়া উনি টাকা রাখেন না কিন্তু অন্য ব্যবসায়ীদের ধার দেন মোটা মুনাফার সুদে।
একদিন এক আডডায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তিনি বল্লেন, ’তোমাদের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম কিভাবে মারা গেছেন, জানো?’ শহীদ জননীর ক্যান্সারে মৃত্যুর খবরটি জানানোর সাথে সাথে উনি উল্লাসে বোমশেল ছাড়লেন। ‘শুদ্ধ ও পবিত্র ঈমানদার গোলাম আযমের বিরুদ্ধে কুৎসার কারণেই আল্লাহতায়লার গজবে তোমাদের শহীদ জননীর জিহ্বায় ক্যান্সার হয়েছিলো। আল্লাহ উনার প্রিয় নেক বান্দাদের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য কিছুই সহ্য করেন না। ’
অস্ট্রেলিয়া এসে ছাত্রদের এক ক্যাম্পাস আডডায় এক বাংগালি তালেবে এলেম বলে বসলেন, ‘আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কাছে পিরোজপুরে এক লোক মিথ্যে স্বাক্ষী দিয়েছিলো, বাড়ী ফিরতে পারে নি। পথের মধ্যে দম আটকে মারা গেছে। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যারা হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যে স্বাক্ষী দিচ্ছে, তাদেরও শোচনীয় ও মর্মান্তিক মৃত্যু হবে। গ্রেফতারকৃত চার হুজুরের সাথে আল্লাহ’র রুহানী যোগাযোগ আছে। উনাদের পবিত্র দোয়া আর অভিশাপ দুটোই সাথে সাথে কবুল হয়। ’ আডডার অন্য দু’জন বাংগালী ছাত্র মুহূর্তেই নিশ্চুপ। যদি ’হুজুরদের’ বদদোয়া বা অভিশাপ লেগে যায়!
জামায়াতীদের প্রপাগান্ডার আর যাই কিছু থাকুক না থাকুক, স্টাইল আর হরর আছে।
ইমেলঃ [email protected]
বাংলাদেশ সময় ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১১