ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

করোনা: সাম্প্রতিক ও পরবর্তী সময়ে অপরাধের গতি-প্রকৃতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
করোনা: সাম্প্রতিক ও পরবর্তী সময়ে অপরাধের গতি-প্রকৃতি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কালে বিশ্বে ভিন্ন আঙ্গিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপরাধপ্রবণতা। মহামারির কারণে সারাবিশ্বে অধিকাংশ দেশেই লকডাউনে ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে কোটি কোটি মানুষ। 

অপরাধবিজ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে এই পরিস্থিতে এবং পরবর্তী সময়ে অপরাধের গতি-প্রকৃতি কেমন হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা আমাদের দেশ ও বিশ্বের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, অপরাধবিজ্ঞানে অপরাধকে  নিম্নোক্তভাগে মোটা দাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সহিংস অপরাধ (হত্যাকাণ্ড, আঘাত, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা) ২. সম্পদ ও জানমাল সম্পর্কিত অপরাধ (চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই) ৩. সংঘবদ্ধ অপরাধ (মাদক চোরাচালান, সাইবার ক্রাইম) ৪. দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধ ৫. জনসাধারণের নিরপত্তা বিঘ্ন বিষয়ক অপরাধ (মাদক গ্রহণ, জুয়া, ঘৃণা উদ্রেককারী অপরাধ)।  

সামগ্রিকভাবে অপরাধ কমেছে
লকডাউন শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত দেশসমূহে অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। স্পেন সুইডেনসহ ইউরোপের বাকি দেশগুলোতেও অপরাধের সংখ্যা কমেছে। সাধারণ চুরি থেকে শুরু করে অপরাধের ধরনেও পরিবর্তন এনেছে অপরাধীরা। দৈনিক যুগান্তর (২৮ মার্চ ২০২০) এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমাদের দেশের ৬৪০টি থানায় প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৪০ হাজার অপরাধ রেকর্ড হয়। এ হিসাবে দিনে গড়ে প্রায় চারশ’ অপরাধ রেকর্ড হয়। কিন্তু এ পরিসংখ্যানের চিত্র পাল্টে গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। অপরাধের সংখ্যা সামগ্রিকভাবে কমেছে এই মাসে। পাশাপাশি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে গত কয়েকদিনে অপরাধের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। সরকারি ছুটি থাকায় অনেকে গ্রামে চলে গেছে। করোনা আক্রান্ত বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম পর্যালোচনা করেও দেখা গেছে অপরাধের পরিমান সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যাগতভাবে কমেছে।

সহিংস (হত্যাকাণ্ড) অপরাধ কমেছে
আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদপত্রিকা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ অনুসারে আমেরিকার সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত শহর নিউইয়র্কে চলতি বছরের মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখের মধ্য সহিংস অপরাধের হার ১৬% কমেছে। একইভাবে শিকাগোতেও অপরাধের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, শিকাগো শহরে শুধু মার্চ মাসের ২১ মার্চ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড আগের মাসের চেয়ে ২৯% হ্রাস পেয়েছে। সহিংস অপরাধের পরিমান কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে অপরাধবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, মানুষ যখন তাদের নিজ বাড়িতে বেশি অবস্থান করবে সেখানে তার সহিংস অপরাধ করার সুযোগ কমে যাবে। এক্ষেত্রে অপরাধের অপারচুনিটি তত্ত্ব অনুযায়ী, একজন সম্ভাব্য অপরাধী তখনই অপরাধ করবে যখন সে বেশি সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে আসবে এবং অপরাধ করার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে।  

মাদক গ্রহণ ও চোরাচালান হ্রাস পাচ্ছে
লকডাউনের সময় বেশিরভাগ পানশালা বন্ধ থাকার কারণে ইউরোপ ও আমেরিকায় ইতিমধ্যে মাদক সংশিষ্ট অপরাধ কমেছে। অতিরিক্ত মদ্যপান করে সহিংস অপরাধ, মাদক গ্রহণ করে নিয়মবহির্ভূত গাড়ি চালানো, আইন ভঙ্গ করার মত অপরাধ এখন অনেক কমে এসেছে। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত দেশসমূহে লকডাউনের সময় মাদক চোরাচালান কমে যাবে। রাস্তা-ঘাট ও যানবাহন বন্ধ থাকায় মাদক চোরাচালানের সুযোগ অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে এই হার আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সাইবার অপরাধ বাড়ছে
জনগণের মধ্যে করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে নিম্নমানের মাস্কসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নকল পণ্য অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতারণার ফাঁদ পেতে অর্থ আদায়েও তৎপর হয়ে উঠেছে একটি মহল। ইউরোপোল শীর্ষক ইউরোপীয় পুলিশ সংস্থা জানিয়েছে, মার্চের শুরুতে বিশ্বজুড়ে বড় পরিসরে অভিযান চালিয়ে ৩৪ হাজার নকল সার্জিক্যাল মাস্ক জব্দ করেছে পুলিশ (দৈনিক কালের কন্ঠ, ২ এপ্রিল)। অপরদিকে ব্যাংকক পোস্ট ২৮ মার্চ বলেছে, করোনার পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অনলাইন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছে বেশি মূল্যে নিম্নমানের সুরক্ষা জিনসপত্র বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করছে। ইউরোপোলের পরিচালক ক্যাথেরিক ডে বোলে বলেন, অপরাধীরা স্রেফ একটা ব্যাপারে উৎসাহী- কিভাবে আরো বেশি অর্থের মালিক হওয়া যায়। এ জন্য তারা বৈশ্বিক মহামারিকে কাজে লাগিয়ে তাদের অপরাধের ধরন পরিবর্তন করছে। পাশাপাশি, এই পরিস্থিতিতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরির ক্ষেত্রে ই-মেইলের ব্যবহার বাড়তে পারে। ই-মেইল ব্যবস্থায় সক্রিয় হয়ে ওঠা অপরাধীদের ব্যাপারে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি বলেছে, যারা অনলাইনে চিকিৎসা পণ্য কেনাকাটা করছে, তারাই অপরাধীদের মূল লক্ষ্য। জার্মানিও সাইবার অপরাধীদের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।

পারিবারিক ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি
বিশ্বের অনেক দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলছে। সাধারণ মানুষের অবাধ বিচরণ সংকুচিত করা হয়েছে। ঘরবন্দী জীবন নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে জাতিসংঘ ও নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো। লকডাউন যে নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনছে, এর প্রমাণ পরিসংখ্যানে। যুক্তরাজ্যে সরকারি হটলাইনে নির্যাতনের শিকার নারীদের ফোন ৬৫ ভাগ বেড়েছে (দৈনিক প্রথম আলো, ৩১ মার্চ)। ইউকের বিখ্যাত সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, লকডাউনের কারণে ইংল্যান্ডে নারী নির্যাতন, শিশু নিপীড়ন ও পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে (দ্য গার্ডিউয়ান, ২৮ মার্চ)। অপরদিকে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্তোফে কাস্তাঁয়ের জানিয়েছেন, লকডাউনের পর ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশনে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগের হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে।  

জাতিসংঘ বলেছে, তুলনামূলকভাবে দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় ঘরে যারা নিপীড়নের শিকার হন, তাদের ক্ষেত্রেও পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে পারে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কারণ ব্যাখ্যায় অপরাধবিজ্ঞানীয় নারীবাদী তত্ত্ব অনুসারে, পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষেরা নারীদের ওপর সর্বদা ক্ষমতা প্রদর্শন ও কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চায়। লকডাউনের সময় পুরুষের বাইরের পেশা ও অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগ কম থাকায় গৃহে নারীদের প্রতি কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারে।

ঘৃণা উদ্রেককারী (হেট ক্রাইম) অপরাধ বাড়ছে 
করোনায় আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবার প্রচণ্ডভাবে ঘৃণা উদ্রেককারী (হেট ক্রাইম) অপরাধের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশেই করোনা রোগীদের বা তাদের পরিবারের সদস্যদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে, বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সামাজিকভাবে বয়কট করা হচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার, করোনা সন্দেহে কোনো রোগী হাসপাতালে গেলে তাকে চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হচ্ছে না, মৃত্যুর পর মৃতদেহ যথাযথ সম্মানে দাফন করারও মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্ত ঘটনা স্পষ্টত মানবধিকার লঙ্ঘনের শামিল।  

এ প্রসঙ্গে অপরাধবিজ্ঞানে আরভিং গফম্যান, ১৯৬৩ সালে উনার লেখা বিখ্যাত ‘স্টিগমা: নোটস অন দ্য ম্যানেজমেন্ট অব স্প্যয়েলড আইডেন্টিটিতে’ বইয়ে ব্যাখ্যা করেছেন যে, সমাজে বিভিন্ন অপরাধী, ভিন্ন জাতিসত্ত্বা ও বর্ণের জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু, সমকামী-উভকামী ও ট্রান্সজেন্ডার গোষ্ঠী, যৌনকর্মীদের “সাংকেতিক (সিম্বুলিক) স্টিগমার” মাধ্যমে স্টেরিওটাইপভাবে দেখা হয় এবং বিরুপ আচরণ করা হয়।  

উল্লেখ্য, এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে যে, এইডস রোগীদের সমাজে স্টিগমাটাইজেশনের শিকার হতে হয়। একইভাবে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও সামাজিক বৈষ্যমের শিকার হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখানে বিখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর কাঠামোগত স্টিগমার ধারণাও কাজ করছে। ফুকো বলেছেন, স্টিগমা শুধু সমাজ বা গোষ্ঠীর মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে তা নয়, বরং সরকার ও রাষ্ট্র নিজেও এই ধরনের রোগীদের ওপর “স্টিগমা” আরোপ করে। উদাহরণ- ঠাণ্ডা-কাশি বা করোনায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকৃতি জানানো, করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা না থাকা, করোনা সন্দেহে প্রবাসীদের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুপ আচরণ, এ সমস্ত বৈষম্যই কাঠামোগত স্টিগমার অর্ন্তগত।  

সম্পত্তি ও জানমাল সম্পর্কিত (চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি) অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অপরাধীরা সম্পত্তি ও জানমাল সম্পর্কিত (চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি) অপরাধ সংঘটনের কৌশল পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর এসেছে যে, পকেটমার, ছিনতাইকারী ও মলম-পার্টির সদস্যরা এখন মাস্ক-বিক্রেতা সেজে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে অথবা বসতবাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার-মোবাইলসেট, টিভিসেটসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে অধিকাংশ মানুষ লকডাউনে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়াই ডাকাতি বাড়তে পারে।  

সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ প্রসঙ্গে, ১৯৭০ সালে অপরাধবিজ্ঞানী কোহেন এবং ফেলসনের প্রদত্ত রুটিন এক্টিভিটি তত্ত্ব অনুসারে, একজন সুযোগপ্রাপ্ত অপরাধী তখনই অপরাধ করবে যখন তিনি দেখবেন উক্ত অপরাধ সংঘটেন স্থানে সুযোগ্য পাহারাদার নেই এবং অপরাধের লক্ষবস্তু অরক্ষিত রয়েছে। লকডাউনের সময় রাস্তায় কম মানুষ থাকায় এবং শপিং মলসহ বিভিন্ন দোকান বন্ধ থাকায় অপরাধীরা এ পন্থা অবলম্বন করে ছিনতাই ও চুরির মত অপরাধ করতে পারে। এছাড়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের সরকার অপরাধীদের সাজা মওকুফ করে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে সমাজে পুঃনঅপরাধীর (রেসিডিভিস্ট) সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

অপরদিকে, দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক খাতে ৩০-৪০ লাখ নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন এবং উল্লেখযোগ্য পরিমান মানুষ দিন-মজুরিসহ বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। এরা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ এবং ‘দিন এনে দিন খান’। এই পরিস্থিতিতে, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে তারা কর্মহীন হয়ে অর্থাভাবে নানা অপরাধ-অপকর্মে জড়িয়ে পরতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের করোনা আক্রান্তের জন্য ‘পিক টাইম’-এর পর এ অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। কারণ, নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনধারণ তখন কষ্টকর হয়ে পড়বে। যদি করোনা আরও ব্যাপকভাবে ছড়ায়, তাদের আয় না থাকে, তাহলে অপরাধ বাড়বে। করোনা পরবর্তী সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে চরম মন্দা অবস্থা চলতে পারে এবং তার প্রভাবে হাজার হাজার মানুষকে তাদের পেশা থেকে ছাঁটাই করা হতে পারে। কর্মহীনতায় হতাশা থেকে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকে যায়।  

এই প্রসঙ্গে অপরাধবিজ্ঞানী উইলিয়াম আড্রিয়ান বঙ্গার তার অর্থনৈতিক তত্ত্বে বলেছেন, পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে যখন দারিদ্রতা, দুর্যোগ, অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক সংকট ও বেকারত্ব অবস্থা বিরাজ করে তখন মানুষ কর্মহীন হয়ে অর্থের অভাবে জীবনধারণের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে।  

উপরোক্ত বিষয়সমূহকে মাথায় রেখেই সরকার, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী জনগণের লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত থাকায় যেন অপরাধ দমন ও প্রতিরোধের দিকটা শিথিল না হয়ে যায়।  

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।