সময় ভীষণ খারাপ। পৃথিবী ভালো নেই।
ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে যাওয়ায় ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আমাদের প্রাণ প্রিয় হেরেম শরীফ, মদীনা মুনাওয়ারায়ও নিষেধাজ্ঞা। আমরা মসজিদে যেতে পারছি না। জুমা পড়তে পারছি না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আমাদের জন্যই। কেবল আমাদের এই ভয়ানক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে।
কিন্তু তবুও আমরা সচতেন নই। একটি বার কি ভাবা উচিত ছিল না আমরা নিজেদের কারণে কেন অন্যের বিপর্যয় ডেকে আনছি। আমাদের কি ডাক্তারদের প্রতি একটুও মায়া হয় না? আমাদের কারণে তারা ভুগছে। তাদের আকুতিগুলো কি আমাদের কানে যায় না?
চিকিৎসকরা বলছেন, ‘আমরা আপনার জন্য বাইরে আছি, আপনারা আমাদের জন্য ঘরে থাকুন। ’
আমরা মুসলমানরা চিরকালই একটু উদাসীন! এই উদাসীনতার জন্যই আমরা আমাদের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি হারিয়েছি। যেটুকু আছে সেটুকুও যাচ্ছে যাচ্ছে করছে। আমরা নিজেদের ইজ্জত নিজেরাই নষ্ট করছি। কাকে দোষ দেবো?
বিশিষ্ট আলেম মাওলানা যুবায়ের আহমাদ আনসারী খোদার ডাকে সাড়া দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। ওনার জানাযায় অংশ নিয়েছেন লাখো মানুষ। এমন নাজুক পরিস্থিতিতেও আমরা নিজেদের বিবেকের দারস্থ না হয়ে জযবাকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আর যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মানুষ উন্মাদ হয়ে গেছে। হওয়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বলা হচ্ছে ঘরে থাকার জন্য। ভালোবাসা ভালোবাসার জায়গায়। তাতে কেউ বাধা তো দিচ্ছে না। তবুও কেন এত উপচে পড়া ভিড়। মানুষের মুখ তো আর বন্ধ করা যাবে না! আল্লাহ না করুন যদি এর জন্য আমাদের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, তখন কী হবে? মুসলিমরা তো বিচক্ষণ জাতি ছিল। আমরা তো মডেল। মডেলই যদি ভুল করে তবে! এমন মূর্খতা আমাদের শোভা পায় না।
জানাযা ফরজে কেফয়া। আমাদের যে পরিস্থিতিতে ফরজ নামাজই সচেতন আলেমরা ঘরে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে জানাজ? বাঙালি মুসলমানদের ইসলাম বিদ্বেষীদের কথা মাথায় রেখে হলেও সচেতন হওয়া দরকার। এখনো সময় আছে, চলুন সচেতন হই। ঘরে থাকি। নিরাপদে থাকি। সবাইকে ভালো রাখি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
এইচএডি/