যাই হোক, ঘুম থেকে উঠে দেখি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আমাকে লিখেছে- ম্যাডাম, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে শিক্ষার্থী গ্রামে থাকে। বর্তমানে তারা গ্রামেই অবস্থান করছে।
আর একজন লিখেছেন, ‘অশিক্ষিত ব্যক্তিরাও টাকা গুনতে পারেন এবং মুঠোফোনের নাম্বার ডায়াল করতে পারেন। তার মানে কিন্তু ধরে নেওয়া যাবে না যে, উনি প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত। সেইভাবে বাংলাদেশে কতজনের হাতে মোবাইল আছে, সেটা এই অনলাইন শিক্ষার ব্যাপারে বিবেচ্য নয়। বরং বিবেচ্য হলো কতজন আসলেই এই প্রযুক্তি এই কাজে ব্যবহার করতে সক্ষম। ফ্রি ডেটাপ্যাক কেবল আরেকটা ‘ডিজুস ঢেউ’ তৈরি করতে পারবে। যারা শিক্ষা দেবেন তারাই বা কতটুকু এই কাজে দক্ষ? আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তাদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ দরকার। তারা হোয়াইট বোর্ডের দিকে ক্যামেরা তাক করে পড়াচ্ছেন আর এদিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে চ্যাটে মগ্ন। সুতরাং চ্যালেঞ্জটা কেবল প্রযুক্তিরই নয় বরং পদ্ধতিরও। আমার যেহেতু প্রসেস রিইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে তাই বলতে পারি, প্রযুক্তির চেয়ে প্রয়োজন হলো দক্ষ পদ্ধতি। আমাদের জিনে ঢুকিয়ে দেওয়া আছে, ক্লাসে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে পড়া। সেই জিনিসকে রাতারাতি ভার্চুয়াল করে ফেললে একটা বিশাল মানসিক প্রস্তুতি দরকার দুপক্ষেরই। এই ব্যাপারটা কি কোন প্ল্যানে আছে? সম্ভবত না। কেবল বলে দেয়া হয়েছে, অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করুন। এতো সহজে সবকিছু হলে পৃথিবীর সবাই প্রযুক্তিবিদই হতো। ’
এই মতামতের সঙ্গে একমত পোষণ করি। কারণ হুট করেই একটি পদ্ধতিতে প্রবেশ করা যায় না। তাছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জ্ঞান থাকা জরুরি।
এআইটি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত আইটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বন্ধুর সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে সে বলল, বাংলাদেশের ফোর জি নেটওয়ার্ক সব জেলায় নেই। সেও বেশ কয়েকদিন অনলাইনে পাঠদান করেছে। শিক্ষার্থীরা শতভাগ উপস্থিত থাকতে পারে না। তবে লেকচার রেকর্ড করে রাখা যায়। যারা ক্লাস করতে পারবে না, পরে তারা ডাউনলোড করে নিতে পারবে। লকডাউনে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাতে ছয় দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে একটি ক্লাসকে দুটি বিভাগে বিভক্ত করে পাঠদান করা যেতে পারে। তাছাড়া তাত্ত্বিক ক্লাসগুলো অনলাইনে পাঠদান করা সম্ভব হলেও ব্যবহারিক ক্লাস অনলাইনে পাঠদান করা সম্ভব নয়। ”
সেদিন এক সহকর্মী বললেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধই থাকে, যখন খুলবে তখন সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সময় দিতে পারি। প্রতিটি ভবনে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করতে পারি। যেসব শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে, তাদের হলের সিট বাতিল করে গণরুমের সংকটের অবসান ঘটাতে পারি। তারপরও সংকটের সমাধান না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম, বড় বড় ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। এভাবে বন্ধ থাকা তো কোনো সমাধান নয়। ’ তার এই সুচিন্তিত মতামত আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ করোনা ভাইরাস এত সহজে আমাদের ত্যাগ করবে না। নতুন করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবার সময় এখনই। সেই সঙ্গে দরকার মানসিকতার পরিবর্তন।
২৯.০৫.২০২০ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ অনলাইন ক্লাস শুরু না করার পেছনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্বিক অবস্থা বড় বাধা। আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে ডিজিটাইলেজশন, বিশেষ করে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ডিজিটাইজেশন প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা আমাদের মাইন্ডসেটটা কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। আমরা কি বলব আমাদের অনলাইনে সমস্যা, সেহেতু আমরা অনলাইনে যাব না? তাহলে আমাদের এই শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে কতগুলো দিন, কতগুলো মাস ঝরে যেতে দেব? সারা বিশ্বে স্টুডেন্ট লোনের ব্যবস্থা আছে, আমাদের এখানে সেটা নিয়ে এখনও চিন্তা করব না, তা তো হয় না। আজকে যদি আমরা বলি, আমি অনলাইনে পড়াতে পারি না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আজকে যদি বলি, আমার এক্সেস নেই, কতদিনের মধ্যে এক্সেস দেওয়া যায়, কেন এক্সেস নেই, কোথায় সমস্যা, কীভাবে আমরা সেই সমস্যা সমাধান করতে পারি। ’ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যটি আমার মনে ভীষণভাবে দাগ কেটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ এমন একটি প্রসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার আয়োজন করার জন্য।
গণমাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শোনার পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোহাব্বত খান স্যারের কাছে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে স্যার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে। তবে অনলাইনে পাঠদানটাই ভালো হবে। এরপর জানতে চাই, স্যার আপনি যদি অবসরে না যেতেন, আপনাকে যদি অনলাইনে পাঠদান করার কথা বলা হতো আপনি কি পাঠদান করতেন? স্যার জানালেন, অবশ্যই নিতাম, পুরো বিশ্ব যে পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের সেভাবে এগোতে হবে। স্যার জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস রুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রয়োজনে এখন তারা নতুন করে ভার্চুয়াল ক্লাস রুম তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। ’ স্যারের এই বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে, একজন প্রবীণ শিক্ষক, তিনিও তথ্যপ্রযুক্তির জোয়ারে শামিল হতে চাচ্ছেন। সত্যিই এখন ভার্চুয়াল ক্লাস প্রতিষ্ঠা করার সময় এসেছে। তবে শিক্ষা শুধু উচ্চশিক্ষা নয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সকল পর্যায়ের কার্যক্রম করোনা ভাইরাস স্থবির করে রেখেছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাসের সুযোগ পেলেও সবাই পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে একটি অসমতা তৈরি হচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে অনুযায়ী (১) সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে সচেষ্ট হইবেন। (২) মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধা দান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা করিবেন। ’ এই অনুচ্ছেদের আলোকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলার আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল জলিল ভূইয়ার কাছে লকডাউনে তার বিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনলাইন ক্লাস অবশ্যই একটি ভালো উপায়। কিন্তু এর সুবিধা ভোগ করার সামর্থ্য সব শিক্ষার্থীর নেই। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত দক্ষতা নেই, নেই আধুনিক মানসিকতাও’।
এরপরও আশা জাগায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে সারাদেশের বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর থেকে ৪৬৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৭টি কম্পিউটার, ১টি প্রজেক্টর, ১টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার এবং ছয়মাসের জন্য ফ্রি ইন্টারনেটসহ প্রতিষ্ঠা করেছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। সেই সঙ্গে প্রতিটি ল্যাবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং তিনজন শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উদ্যোগে আইসিটি ইন এডুকেশন লিটারেসি অ্যান্ড ট্রাবলশুটিং প্রশিক্ষণে ৪১টি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের মাধ্যমে। আরও ৫,০০০ ল্যাব স্থাপনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় সারাদেশে প্রায় ৩৫,০০০ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম এবং ১২৯টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা স্তরে ও তথ্য প্রযুক্তি প্রসারে এরকম যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
অফিস আদালত সবকিছু চলছে, বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষা কার্যক্রম। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুইটি ভাগে বিভক্ত। শিক্ষার্থী এবং অফিস। ক্লাস বন্ধ আছে, বন্ধ হয়ে আছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। অথচ সময়ের পর সময় চলে যাচ্ছে। যেসকল সহকর্মী বিদেশে আছেন তার মধ্যে কেউ কেউ মাঝে মাঝেই জানতে চান, অফিস খোলা হবে কবে? কারণ তাদের ছুটি বর্ধিত করাসহ নানারকমের বিষয় দপ্তরের সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া যে সকল সহকর্মী দেশে আছেন তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতিসহ অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে আছে। বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দক্ষ হাতে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। তিনি অনলাইনে মন্ত্রীপরিষদ সভা করেছেন। দেশের সকল জেলার খবর অনলাইনের মাধ্যমে নিয়েছেন। যা বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্রপ্রধান করেননি। অধীর আগ্রহে বিনয়ের সাথে অপেক্ষায় আছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনলাইন সভা আহবান করবেন। আমাদের সব সমস্যা, সীমাবদ্ধতা এবং স্বপ্নের কথা শুনবেন। এই লেখার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করি, যদি শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ছয় মাস বন্ধ থাকে। সামনের ছয় মাস পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বিনা পয়সায় ব্যবহার করার জন্য সুযোগ করে দিন। উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল করার জন্য এর চেয়ে বড় প্রণোদনা আর কী হতে পারে। আপনার হাত ধরেই ২০০৬ সালের ২১ মে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়কে। সেই মহাসড়কের দ্বার আরও অবারিত করে দিন।
স্বপ্ন দেখি, করোনামুক্ত বিশ্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একটি আইডি পাসওয়ার্ড থাকবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নম্বর, পুরো কোর্সের পরিকল্পনা এবং লেকচার প্রেজেন্টশন বছরের শুরুতেই পেয়ে যাবে। সময়মত ফলাফল প্রকাশ হবে। মেধাবীরা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হবে। ‘সেশনজট’ নামক শব্দটি অভিধান থেকে মুছে যাবে। শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। দেশের সব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ থেকে শুরু করে সব বিষয় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। মেধাবী তরুণেরা দেশের বাইরে পাড়ি জমাবে না। দেশের ভেতরেই তাদের শানিত মেধা দিয়ে দেশকে আলোকিত করবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩০ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মে দিবস উপলক্ষে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার একটি অংশ দিয়ে শেষ করব লেখাটি। তিনি বলেছিলেন, ‘সমৃদ্ধির পথে কোনো সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই’। এই বক্তব্যটির চুলচেরা বিশ্লেষণের সময় এখনই।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
লোকপ্রশাসন বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়