পৃথিবীতে প্রতিশোধ গ্রহণের মাধ্যমে তুমি যতটা অর্জন করতে পারবে, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্জন করবে ক্ষমা প্রদর্শনের মাধ্যমে।
-নেলসন ম্যান্ডেলা
দেখিয়ে দিল মার্কিন মিডিয়া।
তিনি বলছেন হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না। নির্বাচনে হয়েছে কারচুপি। বালকের মতো কথা। আমেরিকার মতো দেশে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। ট্রাম্পের প্রশাসনই এ কাজে তাকে সহায়তা দেবে না। সমর্থকদের উত্তেজনা আর মিছিল-সমাবেশে কিছু যায় আসে না। আমেরিকার গণতন্ত্র নিজস্ব নিয়মেই চলে। জোর করে ভোট নেওয়া, দেওয়া কোনোটাই করা যায় না। আর চাইলেও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে থাকা যাবে না। ইতিহাস তাই বলে।
ট্রাম্প একজন জুয়াড়ি। ক্যাসিনো ক্লাবের মালিক ছিলেন। জুয়ার বোর্ডে গুটি ফেলতে ফেলতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। কিন্তু শেষটা ভালো হচ্ছে না। বাজেভাবে বিদায় নিতে হচ্ছে। ভোট পেয়েছেন আগের চেয়ে বেশি। তবু রক্ষা হলো না। পুরনো সঙ্গীরা ছাড়তে শুরু করেছেন। নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন পদত্যাগের।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর নাম আমেরিকা। মন না চাইলেও হোয়াইট হাউসের চাবি ফিরিয়ে দিতে হয়। কিছুই করার থাকে না। বলার থাকে না। নাটকীয় কথা সাময়িক বলা যায়। দীর্ঘ সময় নয়। প্রতিপক্ষ জো বাইডেন থেকে শিখতে পারেন ট্রাম্প। মানুষের জীবনে শেখার কোনো শেষ নেই। আত্মজীবনীতে জো বাইডেন লিখেছেন, ‘কে তোমাকে কতবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল সেটা বড় কথা নয়, কত দ্রুত তুমি উঠে দাঁড়াতে পারলে, মানুষ হিসেবে সেটাই হবে তোমার সাফল্যের পরিচয়। ’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলা জো বাইডেন বাবার কাছ থেকে এমন শিক্ষাই পেয়েছেন ছোটবেলায়। নিজের সম্পর্কে বাইডেন আরও বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন কখনই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলেনি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে আমি যা চেয়েছি, তা কীভাবে যেন হয়ে গেছে, একটা অদৃশ্য হাত তা ঘটিয়ে দিয়েছে। ’
দুঃখ-কষ্টে বেড়ে ওঠেন বাইডেন। সারাটা জীবন লড়েছেন। ৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন দেখেই আজকের অবস্থানে। প্রিয়জনের মৃত্যু বারবার তাকে তছনছ করেছে। কিন্তু থামিয়ে রাখতে পারেনি। কষ্টের পাহাড় ডিঙিয়েছেন। বেদনার নীল জলে সাঁতার কেটেছেন। বড় হোঁচট খেয়েছেন ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর। স্ত্রী নেইলিয়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শিশু সন্তানকে নিয়ে বের হয়েছিলেন ক্রিসমাসের কেক কিনতে। পথে একটি লরি ধাক্কা দেয় গাড়িকে। মারা যান নেইলিয়া ও শিশু সন্তান নেওমি। আহত হয়ে রক্ষা পায় দুই ছেলে বো ও হান্টার। জো বাইডেন তখন মাত্র সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। পুরনোটা বদলে নতুন বাড়িতে ওঠার কথা ছিল। সে মুহূর্তে দুর্ঘটনা তছনছ করে দেয় বাইডেনকে। স্মৃতিকথায় বাইডেন লিখেছেন, ‘আমি কথা বলতে পারতাম না। বুকের ভেতরে অনুভব করতাম বিশাল শূন্যতা। মনে হতো একটা কালের গহ্বর আমাকে ভেতরে টেনে নিচ্ছে। ’ তারপর এক ধরনের আধ্যাত্মিকতা ভর করে বাইডেনের মনে। সবকিছু ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা আসত মাথায়। ভেবেছেন আর রাজনীতি করবেন না। কিছুই ভালো লাগত না। বিষাদে ছেয়ে যায় মন। কীভাবে সামাল দেবেন বুঝতে পারতেন না। ঘাত-প্রতিঘাতে বেড়ে ওঠেন বাইডেন। স্কুলে পড়ার সময় কথা বলার সময় তোতলামি হতো। বন্ধুরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করত। শিক্ষকরাও বাদ যেতেন না। রাগে-ক্ষোভে-লজ্জায় ভাবতেন কী করে এ তোতলামি কাটাবেন। একজন বুদ্ধি দিল জোরে জোরে কবিতা আবৃত্তি করতে। এতেই কেটে যাবে সবকিছু। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুরু করলেন কবিতা আবৃত্তি। জয় করলেন সবকিছু। ধীরে ধীরে ভালোভাবে কথা বলতে, বক্তৃতা দিতে শিখলেন। বাইডেনের পরের ইতিহাস আরও কঠিন। আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন। আদালতে লড়তেন সাধারণ মানুষের অধিকারের প্রশ্নে। রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ভালো করতে শুরু করেন। এগিয়ে চলতে থাকেন সামনে।
সিনেটর হয়ে থেমে থাকলেন না। আরও বড় স্বপ্ন তাড়া করে বেড়াল। প্রস্তুতি নিলেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার। ১৯৮৭ সালে প্রথম ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার। কিন্তু হঠাৎ সরে দাঁড়ান। চমকে ওঠেন সবাই। কারণ ছাত্রজীবনের ছোট্ট একটি খারাপ স্মৃতি তাকে তাড়া করে বেড়াত। সেই স্মৃতিটি ছিল পরীক্ষার সময় আরেকজনের উত্তরপত্র দেখে দেখে লেখা। সে বয়সে তিনি জানতেন না এটা নিয়মবহির্ভূত। যখন জানলেন, তখন নিজের ভেতরে অস্থিরতা তৈরি হয়। এ ঘটনা নিয়ে আত্মজীবনীতে লেখেন, ‘কুরে কুরে খেয়েছে বিষয়টি আমাকে। নিজেকে আমি একজন সৎ মানুষ মনে করেছি। সে জায়গাটা বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। ’ সবকিছু সামলে ২০০৮ সালে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা দেন। এবার সিরিয়াসভাবে লড়ে দলে সফল হননি। দলীয় লড়াইতে জেতেন বারাক ওবামা। সবাইকে চমকে দিয়ে রানিংমেট হিসেবে ওবামা বেছে নেন বাইডেনকে। তারপর সব ইতিহাস। ৫০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বাইডেন দীর্ঘ সময় সিনেটর হিসেবে লড়েন যুদ্ধের বিরুদ্ধে। কথা বলেন মানবতার পক্ষে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধেও তার ছিল বলিষ্ঠ অবস্থান। আর বিশ্ব ইতিহাসের এক কঠিনতম সময়ে তিনি এখন আমেরিকার নেতৃত্ব দিতে চলেছেন। এ বৃদ্ধ বয়সে অবসরে থাকার কথা। কিন্তু কর্মবীর কখনো থেমে থাকতে পারেন না। এগিয়ে চলেন আগামীর পথে। বাইডেনের জীবনে তাই হয়েছে বারবার। ১৯৮৮ সালে বাইডেনের কঠিন অসুখ হয় মস্তিষ্কে। দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি জটিল সময় অতিবাহিত করেন। বেশির ভাগ সময় থাকতেন হাসপাতালে। কিন্তু থেমে থাকেননি। জীবনযুদ্ধে একবারের জন্যও বসে যাননি রেস থেকে। বড় ছেলে বো বাইডেনকে হারান ২০১৫ সালে। আবার ভেঙে পড়েন। সে বেদনা কাটিয়ে নতুনভাবে আবার জেগে ওঠেন। মানুষ চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। যে বয়সে সবকিছু শেষ করার কথা, বাইডেনের শুরু সেখান থেকেই।
আমেরিকার নির্বাচনের নাটকীয়তা দেখে অনেক কিছু ভাবছি। জানার, বোঝার, শেখার আছে অনেক। জানি কেউ কিছু শিখবে না। আর জোর করে কাউকে শেখানো যায় না। নির্বাচন কমিশনের কোনো লাজলজ্জা নেই। ভোট কারা করে, কীভাবে হয় ইসির হয়তো জানা নেই। সবাই ব্যস্ত নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে। প্রশাসনের সাহেবরা দেখান ক্ষমতার দম্ভ। সবকিছুর বারোটা বাজলে তাদের কী যায় আসে? ইতিহাস থেকে কেউ শেখে না। প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আবার কবে স্বাভাবিকতায় আসবে সবকিছু কেউ জানে না। কীভাবে আসবে তাও জানি না। সংসদে বিরোধী দল না থাকলে এমনই হয়। সমাজ-সংসারে আগুন লাগে। সে আগুনে তৈরি হয় একটা সামাজিক অস্থিরতা। মনে হবে এই বুঝি অস্থিরতা কাটল। কিন্তু কাটে না। শেখ সাদি বলেছেন, ‘অন্যের দুর্যোগে যদি উদ্বিগ্ন না হও তবে তোমার নাম মানুষ হতে পারে না। ’ মানুষ হিসেবে অনেক কিছুতে আজ আমরা প্রশ্নবিদ্ধ। মাঝেমধ্যে দরুদ শরিফ পড়ি বিপদাপদ থেকে উদ্ধার পেতে। ‘বালাগাল উলা বি কামালিহি/কাশাফাদ্দুজা বে জামালিহি/হাসুনাত জামিউ খেসালিহি/সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি। ’ মহানবী (সা.)-কে নিয়ে এ দরুদ শরিফ রচনা করেছেন শেখ সাদি। বিপদে আপদে তিনি মহানবী (সা.)-কে স্মরণ করতেন। আর ভাবতেন অবশ্যই তিনি উদ্ধার পাবেন। শেখ সাদি একবার বিপদে পড়েন দামেস্ক সফরকালে। নগরবাসী ভুল বুঝলে তিনি দ্রুত আশ্রয় নেন ফিলিস্তিনের জঙ্গলে। জানে বাঁচলেও বিপদ পিছু ছাড়ল না। খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা তাকে বন্দি করেন। তারপর বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি থেকে আনা বন্দিদের সঙ্গে রাখেন দাস হিসেবে। টানা সাত বছর বন্দিজীবন কাটাতে হয়। কবিতা, গজল লেখার ফুরসত মিলত না। সারা দিন কাজ করতে হতো। কঠিন এক খাল খননের কাজও ছিল। খাবার মিলত অন্য বন্দিদের মতো। সাদির একমাত্র ভাবনা কীভাবে এ বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন। ভাগ্যক্রমে সাদির বাবার এক বন্ধু একদিন তাকে দেখে ফেলেন। তারপর দুঃখের কথা শুনে ১০ দিরহাম দিয়ে মুক্ত করেন। কঠিনতম এ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া সাদির মনে গভীরভাবে দাগ কাটে। কিন্তু কষ্টের দিনগুলো মনের ভেতরে হিংসা-বিদ্বেষের বদলে মানবতাকে জাগিয়ে তোলে। তিনি লেখেন, ‘মানব জাতি অভিন্ন মূল থেকে উদ্ভূত। ’ গোঁড়ামির বাইরে যেতে ছিল তার এ আহ্বান। ‘বুস্তান’-এ স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, সত্য ও সুন্দরের সাবলীল উপস্থাপনা করেন তিনি।
শেখ সাদির সেই আধ্যাত্মিকতা আশা করি না এ যুগে, এই সময়ে। আমাদের সত্য-সুন্দর হারিয়ে যাচ্ছে। চারপাশের সব দেখে ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে গভীর সংকট। মানুষের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। প্রগতি থমকে গেছে। ঠাঁই নিয়েছে হিংসা-বিদ্বেষ। ভেঙে পড়ছে নৈতিক মনোবল। সমাজে বাড়ছে অস্থিরতা। মনের ভেতরে একবার অসুখ তৈরি হলে আর সারে না। করোনাকাল মনের জটিলতা আরও বাড়িয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুরা ফোন করে খোঁজ-খবর জানতে চায়। সংবাদকর্মীদের কাছে মানুষের কৌতূহল থাকে। কথা বলতে ভালো লাগে না। পথ চলাতে আজকাল অনেক কিছুর আলো-ছায়া দেখি। আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখি। নভেম্বরের শুরুতেও শীতের বদলে বৃষ্টিপাত দেখি। মাঝেমধ্যে রাতে ঘুম ভাঙে বৃষ্টির শব্দে। রাত-জাগা রোগে পেয়েছে। করোনা আক্রান্তের পর খেয়াল করলাম মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। দুর্বলতা কাটছে না। কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তিতে ঘুম আসে না। মাঝেমধ্যে রাতটা কাটতে চায় না। মধ্যরাতকে মনে হয় রহস্যময়। অদ্ভুত নীরবতায় চারপাশ হয়ে ওঠে ভীতিময়। ভোরের প্রতীক্ষায় থাকা মানুষ অন্ধকার গলিয়ে রোদের অপেক্ষা করে। কখন দেখা মিলবে কেউ জানে না। চারদিকে হতাশা, জটিলতার কঠিন সময়। অথচ সবকিছু এমন হওয়ার কথা ছিল না। সুস্থ-স্বাভাবিকতার আলো ঝলমলে দিনের প্রত্যাশা ছিল। কিছু কিছু ভুল তিল তিল করে অর্জনগুলো করছে ম্লান। একটা লোভী সমাজে প্রবেশ করেছি। সর্বনাশা লোভের বলি সবকিছু। অদক্ষদের খপ্পরে নষ্ট বাস্তবতা। নাটকীয় কথামালায় সব সময় কিছু হয় না। ভরদুপুরে চিঁড়ে ভাজা গল্প কারও ভালো লাগে না। বাস্তবতায় থাকাটা জরুরি। আকাশে বসে নয়, মাটিতে নেমে মানুষের মন বুঝতে হয়।
নীতি-নৈতিকতা এখন নিখোঁজ সংবাদ। আর্তমানবতা নিভৃতে কাঁদে। শিল্প-সংস্কৃতিতে সুস্থতা নেই। মানুষ সবকিছু বাঁকা চোখে দেখে। স্বাভাবিকভাবে কেউ কিছু নিতে পারে না। কুৎসা আর গুজবে উসকানিমূলক আবহাওয়া তৈরি করা হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জানি না। তুচ্ছ কারণে মানুষ পিটিয়ে হত্যা আর পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। সংকটের স্থায়ী সমাধানে কেউই প্রবেশ করতে পারছে না। সহনশীলতা শব্দটি কেন মনে মরে যাচ্ছে বের করতে হবে। মানবতা পদে পদে ভূলুণ্ঠিত কেন জানতে হবে। আইনের শাসনের প্রতি আস্থা হারালে মানুষ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ভুলের সমুদ্রে বাস করে সবকিছু ঠিক থাকবে মনে করার কারণ নেই। চারপাশটা একটু দেখুন। প্রশান্ত হালদাররা মধু লুটে সরে পড়েন। এ ভ্রমরদের কেউ কিছু বলে না। নিরীহ চাকরিজীবী ব্যাংকাররা হয়রানির শিকার হন বড়দের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে। আর বড় সাহেবরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সময়টা কঠিন। কিছু মানুষের মৃত্যুচিন্তাও নেই। মসজিদের মুয়াজ্জিনের বেশ ধরে ঘুরে বেড়ায়। দিনভর করে লুটপাট। আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিরপদ নয় তাদের কাছে। তার পরও তারাই আছে রক্ষক হিসেবে। থেকেও যাবে। সুশাসনের অভাবে অনেক কিছু হয়। দম্ভ করে লাভ নেই। এ ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। প্রথম ১০ বছর আর গত দুই বছরের শাসনে অনেক পার্থক্য। সরকারি দলের অনেকে এখনো অনুধাবন করতে পারছেন না বাস্তবতা। কিন্তু কোথায় যেন সুর তাল লয় ক্ষয়ে গেছে। থমকে গেছে অনেক কিছু। যা খুশি তা করার আর সুযোগ নেই। মানুষ সামান্য কিছুতে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সরাসরি। ন্যায়-অন্যায়ের বিশ্লেষণ করছে। সময় থাকতে হতে হবে সাবধান।
লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এএটি