ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

হুমায়ূন, শ্যাভেজ ও আমাদের মুজাহিদ

তোমাদের মরতে দিতে পারি না

মাহাবুবুর রহমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১২
তোমাদের মরতে দিতে পারি না

ভয়াল ঝড়ের মুখে তিনটি প্রাণ
মুজাহিদের ক্যান্সার হয়েছে শুনেই ‘ও আল্লাহ’ বলে ধপাস করে সোফায় বসে পড়ি। হুমায়ূন আহমেদ ও হুগো শ্যাভেজের একই ভাগ্য- হায় ! ভীষণ এক কষ্ট গলার কাছে আটকে থাকে।

ঢোক গিলতেও ভুলে যাই। যেন আমার মধ্যে আমি নেই। জাকিয়ার কথায় সম্বিৎ ফিরে পেলাম। রাত তখন সাড়ে এগারটা। দ্রুত রেডি হয়ে গাড়ি আসতেই হাসপাতালে ছুটে গেলাম। নোমান ও মহি ভাইকে নিয়ে কেবিনে ঢুকতেই মুজাহিদকে আধশোয়া অবস্থায় বিছানায় দেখতে পেলাম। আমাকে দেখেই ও সোজা হয়ে বসল। ওর মাথায় হাত রাখলাম। জিগ্যেস করলাম, ‘‘ভাইয়া, কেমন লাগছে?’’ ও বলে, ‘‘ভাইয়া ভালো। ’’ চেহারায় রোগাক্রান্তের ছোঁয়া লাগলেও আত্মবিশ্বাসের ছাপ সুস্পষ্ট। খুব স্বাভাবিকভাবেই ও বলে চলে “অপারেশনের পর আপাতত ভালো লাগছে। তবে পরের চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বিদেশে যেতে বলেছে। পায়খানার রাস্তা দিয়ে মাঝে মাঝে রক্ত যেত। সিরিয়াস কিছু ভাবিনি। অপারেশনের পর টিউমার ধরা পড়েছে। বায়োপসি রিপোর্ট খারাপ এসেছে। ’’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে আমার একই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হওয়া অসম্ভব মেধাবী, সদাহাস্য, বিনয়ী, এককথায় ‘কিউট’ ছোট ভাইটির জীবনে আঘাত হানা এক ভয়াল ঝড় আমার মস্তিস্ককে যেন শূন্য করে দিয়েছে। ওর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় সবাইকে লক্ষ্য করে বললাম, “ওর মিসেস কি আছে?” কেউ একজন জবাব দিল, “হ্যাঁ, ওতো এখানে আছে”। কয়েকজন আত্মীয়ের মধ্যখানে ওকে দেখলাম। ওকে লক্ষ্য করে বললাম,“ভাইয়া, সাহস রাখ। আল্লাহ সব ঠিক করে দেবে। ” খুব আত্মপ্রত্যয়ী ভঙ্গিতে সায় দিয়ে বলল, ‘‘ঠিক আছে ভাইয়া। ’’ বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছে। একটি পুত্র সন্তান এসেছে তাঁদের বুক জুড়ে। এক বিশাল পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল তিনটি প্রাণের।

রাত একটার পরে বাসায় ফিরেছি মুজাহিদকে দেখে এসে। বার বার মন ছুটে যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়ে আসা সোনালি দিনগুলোতে... আধো ঘুম আধো চেতন... এই অবস্থায় কেটে গেল সারা রাত।

শুরু হল সংগ্রাম
খোলার দিন অফিসে গিয়ে কলিগদের সাথে আলাপ করলাম। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। মুজাহিদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হলে ভালো। যদি না হয়, তবে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে মুজাহিদ ও তাঁর পরিবারের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা ভাবছিলাম-আমাদের সহযোগিতা নেওয়ার ব্যাপারে তারা সংকোচও করতে পারেন। এই অবস্থায় আমরা কী করবো বুঝে ওঠতে পারছিলাম না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মুনতাসিরকে খোঁজ নিতে বললাম।

একটি রক্তের ফোঁটা ও ভালোবাসার  আহ্বান
মুনতাসির খুব দ্রুত খোঁজ নিয়ে জানল-মুজাহিদ ও তাঁর পরিবার দ্বিধান্বিত থাকলেও অনেক শুভাকাক্সক্ষীর পীড়াপীড়িতে সংকোচটা কাটিয়ে উঠেছে। আজিজভাই, মুনতাসির, ওসমানভাই ও জসীমের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলাম। কীভাবে এগোবো বুঝতে পারছি না। বিচারক হিসেবে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা- এই প্রথম ভয়াবহভাবে অনুভব করলাম। অনেকেই পরামর্শ দিল-চট্টগ্রামের অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতি আছেন, তাঁদের কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। কেউ বলল-‘‘তাঁদের কাছে সাহায্য চাওয়ার দরকার নেই, তার চেয়ে বরং পত্রিকায় নিউজ দেওয়া হোক-যার ইচ্ছা হয় সে এগিয়ে আসবে। এখনো মানুষ মানুষকে ভালোবাসে। ’’ বাইরের সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে পরে ভাববো বলে ধরে নিয়ে আমাদের বিচার বিভাগীয় পরিবারের অন্য সদস্যরা কী করছেন-তা জানার চেষ্টা করলাম। ফারুকীর কাছে শুনলাম-বান্দরবান আসাদ ভাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সবাইকে মবিলাইজ করার জন্য। তিনি নাকি অনেক দূর এগিয়েছেন। একদিন সন্ধ্যায় রায়হান এসে হাজির। ও জানালো, ‘‘ভাইয়া আমি ছুটি নিয়ে চলে এসেছি। যদি কিছু করা যায় মুজাহিদের জন্য!’’ ওর চেহারায় এক উজ্জ্বল পবিত্র আভা খেলা করছিল। সেই পবিত্র আভা আমার আড়ষ্ট সত্তায় প্রবেশ করে জাগিয়ে তুলল। খাগড়াছড়ির খবর নিলাম । সেখানে মামুনের অশ্র“পতন অনেকেই শুনতে পেয়েছেন। সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। হাতিয়া থেকে ফারুকী নামের এক উজ্জ্বল আলো সবখানে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভালোবাসার তীব্র আবেদন-মুজাহিদকে বিনা চিকিৎসায় মরতে দিতে চাই না। স্থির স্বভাবের আজিজভাই কেমন যেন বোকা বনে গেছেন। বললেন,‘‘ ভাই আমাকে একটা এসএমএস ড্রাফট করে দেন। ’’ মুনতাসিরকে কয়েকদিন থেকে দেখছি খুব ছটফট করছে। ভয়াবহ অস্থিরতা কাজ করছে তার মধ্যে। ক্ষণে ক্ষণে ফোন করছে আর বলছে, ‘‘ভাই, একটা কিছু করেন। ’’ ওসমানভাই বার বার বলছিলেন, ‘‘আমাদের ভাইয়ের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতেই হবে। ’’ চাপা স্বভাবের জসীম কোন ভাবেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছে না। দুঃখ করে বলল,‘‘কখন যে কী হয় মানুষের জীবনে। যা-ই করতে হোক না কেন, আমরা মুজাহিদের সাথে আছি। ’’ ঢাকায় আদনান, কেশব ও রেজার সাথে আলাপ হয়েছে। তারা সবাই দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। তাঁদের সাথে কথোপকথনের প্রতিটি শব্দে আমি খুঁজে পেয়েছি-সুতীব্র ভালোবাসা। আর শুনতে পেয়েছি-হƒদয়ের আকুতি ‘আমার ভাইকে বাঁচাতেই হবে। ’ বিভিন্ন জেলায় কথা হয়েছে। চৌকি স্টেশনগুলোও পিছিয়ে নেই। বাঁশখালীতে মুরাদ একাই অনেক দূর এগিয়েছে। সন্দ্বীপে আবু হান্নান ভাইয়ের চোখের নোনা জল  বঙ্গোপসাগরকেও হার মানিয়েছে।   সবার হƒদয়ের ক্ষরিত রক্ত যেন বার বার বলছে-আমাদের ভাইকে আমরা  অকালে হারাতে চাই না। ‘আমার’ বলতে কিছু নেই, সব কিছুই যেন আমাদের। সবাই মিলে যেন একটি রক্তের ফোঁটা। এই রক্তের ফোঁটা যেন পুরো বাংলাদেশকে আহ্বান করছে-শুধুই ভালোবাসার দিকে-শুধুই জীবনের দিকে। যে জীবন কেবল বেঁচে থাকতে চায় না, বরং সবাইকে নিয়ে বাঁচতে চায়।

হƒদয়ের বিস্তার ও অশ্র“ভেজা ওয়েবপেজ
একটি জাতীয় দৈনিকে মুজাহিদকে নিয়ে লিখেছেন তার সহপাঠী, বন্ধ ুও সহকর্মীগণ। তাঁরা সবাই বিচারক। বিচারক বলে সরাসরি সাহায্য চাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও সম্মানিত বিচারকগণ নিজেদের বিচারিক সত্তাকে মানবিক সত্তাতে বিস্তৃত করেছেন। ‘একজন বিচারককে বাঁচানোর স্বপ্ন...’ শিরোনামের লেখাটির প্রত্যেকটি বর্ণ ভালোবাসায় মোড়ানো। আসাদ ভাই ফেসবুকে যথার্থই লিখেছেন: ‘‘বৃক্ষের বিস্তার আছে, হƒদয়েরও বিস্তার আছে। খুব কম লোকই বিস্তারিত হতে পারে। একজন ভাইয়ের বিপদে অন্য ভাই বোনেরা দেখিয়ে দিল আদিগন্ত তাদের বিস্তার। হলফ করে বলতে পারি...সুদিন অপেক্ষা করছে। প্রিয় ভাই-বোনেরা তোমরা পারবে। তোমাদের দ্বারাই সম্ভব। ’’

অন্যদের কথা কি বলবো যে যেভাবে পারছে মুজাহিদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে। কোন জেলায় কি করা হচ্ছে সেই সম্পর্কে ফেসবুক প্রতিনিয়ত আপডেট...ই-মেল এবং ফেসবুক যেন বেদনার্ত হƒদয়ের আশ্রয়...চোখের পানিতে যেন ভাসছে সমস্ত ওয়েবপেজ!

ভালোবাসার উদার জমিন ও মুজাহিদের পরিবার
খালাম্মা খুব ভেঙে পড়েছেন। সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল পরম করুণাময়ের কাছে কেবলই প্রার্থনা করছেন। রাতের গভীরে নিদ্রা ত্যাগ করে তাহাজ্জুদের নামাজে কেবলই কান্নাকাটি করছেন। ওনার আশংকা-ওনার প্রাণপ্রিয় পুত্রকে হারাতে বসেছেন। ওনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে এই টুকু বলতে পারি-আপনার প্রতিটি অশ্র“কণা আমাদের হƒদয়ের একেকটি বেদনার সাগর সৃষ্টি করছে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিবেদন আপনি যেন মুজাহিদের কণ্ঠে ‘মা’ ডাক আজীবন শুনতে পান।

অফিসে পাঠানো চিঠিতে মুজাহিদের স্ত্রী তাদের এগার মাস বয়সী পুত্র সন্তানের কথা উল্লেখ করে স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। বোন সুমি, মুজাহিদ শুধু তোমার স্বামীই নয়, ও-ত আমাদেরই ভাই। তোমার চিঠি পাওয়ার আগেই অনেকে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। হাসপাতালে দেখেছি তোমাকে। তোমার সাহস, ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস শ্রদ্ধা জাগানোর মত। তারপরও তোমাকে বলতে চাই-বোন তুমি একা নও। তোমাদের পুত্র আমাদেরই সন্তান। তাঁর জন্য রক্ষিত ভালোবাসার উদার জমিন কখনো সংকীর্ণ হবার নয়।
 
সাদা গম্বুজজুড়ে উজ্জ্বল আলোর বন্যা
মুজাহিদের ভাই জানিয়েছেন সর্বপ্রথম বিচারপতি মামনুন রহমান স্যারই এক লক্ষ টাকা একাউন্টে জমা দিয়েছেন। কলিগদের অনেকেই এটা শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। এই সংবাদ খুব দ্রুত সারা বাংলাদেশের নবীন বিচারকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মুজাহিদের জন্য কাজ করতে থাকা সবার গতি যেন কোটি গুণ বেড়ে গেল। কেউ কেউ বলতে লাগল এত বড় একজন মানুষ একজন জুনিয়র অফিসারের জন্য এতটা ভালোবাসা হƒদয়ে ধারণ করতে পারে! কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি বড় মানুষরা তো এমনি এমনি বড় হয় না, আল্লাহতায়ালা তাঁদেরকে কিছু বিশেষ গুণ দিয়ে দেন। সত্যি অবাক করার মত বিষয়। টাকার পরিমাণ বড় কথা নয়। আসল কথা হল- বিষয়টি অনেকেই ভালভাবে জানার আগেই স্যার টাকাটা জমা করে দিয়েছেন। এটা অনেকটা নতুন পথ দেখানোর মত। এই পথ আলোমুখী । অসম্ভব উজ্জ্বল আর অজস্র সেই আলো! ঢাকা শহরের সমস্ত সাদা গম্বুজজুড়ে সেই উজ্জ্বল আলো যেন খেলা করছে। আশা করি বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ সেই সব আলোকচ্ছ্বটা পানে হাত বাড়াবে।

মুজাহিদ, তোমাকে বাঁচতেই হবে
যতদূর জানি লেখক হুমায়ূন আহমেদ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন। সেই সূত্রে তুমি এক প্রকারে তাঁর সতীর্থ। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকেও। তাঁর লেখাগুলি এবং তাঁর সম্পর্কে লেখাগুলি বিভিন্ন পত্রিকায় পড়ি আর কাঁদি। বিশেষ করে তিন কন্যাকে নিয়ে তাঁর লেখাটি পড়ে। এক সকালে খুব কেঁদেছি। উনাকে বলতে ইচ্ছে করছিল আর এত কষ্ট দিবেন না, প্লীজ। মুজাহিদ, তুমিও নিশ্চয় পড়েছ তাঁর অনেক লেখা। তাঁর আÍবিশ্বাস তোমার মাঝেও দেখতে পাই। তোমাদের দু’জনের মতই একই শত্র“র বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ প্রচণ্ড আÍবিশ্বাস নিয়ে। কট্টর সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের মহাশক্তিধর প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে অনেকটা মুখের ওপর শয়তান বলে সম্বোধন করা অনেক সাহসের ব্যাপার। এর চেয়েও বড় সাহসের ব্যাপার ক্যান্সারের সাথে লড়াই করা। এক্ষেত্রেও তাঁর মুষ্টিবদ্ধ হাত। তোমাদের তিনজনের মধ্যে অদ্ভুত মিল। তোমরা তিনজনেই যুদ্ধে লিপ্ত। তিনজনই যোদ্ধা। হুমায়ূন আহমেদ কলমযোদ্ধা। হুগো শ্যাভেজ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী যোদ্ধা। আর তুমি ন্যায় প্রতিষ্ঠার যোদ্ধা। অন্যরা তোমার তুলনায় বিখ্যাত হলেও তোমার কাজটি কিন্তু তাঁদের কাজের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই জন্যেই হয়ত নিয়তি তোমাদের তিনজনকে কর্কটবিরোধী যোদ্ধা বানিয়ে দিয়েছে। তোমাদেরকে আমরা মরতে দিতে চাই না। জয় তোমাদেরই হবে। পৃথিবীর সমস্ত রোগাক্রান্ত মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখবে তোমাদের দেখে।

যদি পার ভালোবেসে এসো করুণা করে এসো না...
আজিজ ভাই, কেশব, আদনান, পারভেজ ও সালামরা লিখেছে ‘স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। মুজাহিদ সেই স্বপ্নেরই মানুষ। আমরা তাঁকে হারিয়ে যেতে দিতে পারি না। তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন।   তাঁর জীবন আবার আনন্দ-হাসিতে ভরে উঠুক। দুরারোগ্য ব্যাধিকে জয় করে মুজাহিদ এই পৃথিবীতে আরও অনেক দিন বেঁচে থাকবেন। বিচারকের আসনে বসে সত্য ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রাখবেন। তাঁর মেধা ও দক্ষতা মানুষের ন্যায়বিচার পেতে সহায়ক হবে। মুজাহিদের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : ফারজানা সুমি, হিসাব নম্বর ১১৯-১২২০০০৩০৯৫-৫, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। প্রবর্তক মোড় শাখা, চট্টগ্রাম। ’ তবে আমি তাঁদের সাথে একটা কথা যোগ করতে চাই, ভালোবেসে এগিয়ে আসুন, করুণা করে নয়।

বাংলাদেশ সময় ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।