ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

পুঁজিবাজারে আস্থা বৃদ্ধির উপায়

প্রণব মজুমদার, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১২
পুঁজিবাজারে আস্থা বৃদ্ধির উপায়

নিন্দুকেরা প্রায় বলেন আওয়ামী লীগ সরকার শেয়ার বাজার বোঝে না। সমালোচকদের এ কখাটি যেন দেশে আজ প্রতিষ্ঠিত।

১৯৯৬ সালের নভেম্বর এবং ২০১০-এর ডিসেম্বরে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের কেলেংকারি সে কথাই মনে করে দেয়। কেননা দু’টি সময়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল এবং রয়েছে। বাজার নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকদের ভারসাম্যহীন এবং দম্ভোক্তি হয়েছে অনেক। বাজার উন্নয়নের চেয়ে কথা হয়েছে বেশি। ফলে দেশের শেয়ারবাজার যেন নীতি নির্ধারকদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে।

দেশের শেয়ারবাজার আস্থার সংকটে ভুগছে বহুদিন ধরে। এর কারণ একাধিক। বাজারের চিহ্নিত অপরাধীরা বারবার ক্ষমা পেয়ে যাচ্ছেন বলেই বাজারে কেলেংকারি থামছে না। সরকার বরং তাদের পুরস্কৃত করছে। দেশের বড় শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে (ডিএসই) তৃতীয়বারের মতো সভাপতি হয়েছেন রকিবুর রহমান। তিনি ৯৬-এর শেয়ার কেলেংকারির সেই ন্যক্কারজনক ঘটনার অভিযুক্তদের অন্যতম। ডিএসইর সদ্য বিদায়ী সভাপতি শাকিল রিজভিও একই অপরাধে আরেকজন অভিযুক্ত শেয়ার ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেংকারির সেই ঘটনা দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসায়িক অঙ্গনে একটি কলংকজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। ওই ঘটনায় সরকার পরের বছর ডিএসইর সে সময়কার কাউন্সিল ভেঙে দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগের চিন্তা করেছিল। কিন্তু পরে তা আর করা হয়নি। সেই কেলেংকারির সঙ্গে অভিযুক্ত অন্যতম ব্যবসায়ী নেতা যিনি বর্তমান সরকারের কৃপায় বড় ঋণখেলাপির অপবাদ থেকে মুক্ত; তিনি বহু বছর ধরে পুঁজিবাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেয়ার লেনদেনের একজন নিয়ন্ত্রকও বটে।

ছিয়ানব্বইয়ের সেই ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) গঠন করা তদন্ত কমিটি ৭৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ। কমিটি ডিএসইর ৪৫ সদস্য/ব্রোকার এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে অনিয়মের জন্য চিহ্নিত করে। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এসইসি। কিন্তু এসব মামলার বিপরীতে উচ্চ আদালতে রিট করায় পরে বিচারকার্য থেমে যায়। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সরকারের আমলে ক্ষমতাধর থাকায় এসইসিও এ বিষয়ে আগাতে পারেনি।

১৪ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশের শেয়ারবাজারে ঘটে ভয়াবহ দর পতনের ঘটনা। ৩ মাস পাগলা ষাঁড়ের মতো ছুটতে থাকা এ বাজার এদিন ভাল্লুকের মতো ধপ করে পড়ে যায়। এ দিন ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচকের পতন হয় ৫৫১ পয়েন্ট। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বরে শেয়ার কেলেংকারির সেই ঘটনা দিন ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচকের পতন হয়েছিলো সর্বোচ্চ ২৩৩ পয়েন্ট।
ডিএসই, এসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ডিসেম্বরের শেয়ার দরপতনের ঘটনায় দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে এসব প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয়েছে। দুর্ঘটনা সংঘটিত হবার পর তারা বলছে বাজারে শেয়ারগুলো অতিমূল্যায়িত ছিল। মার্কেট বাবেল ছিলো ইত্যাদি। যদি তাই হয় তাহলে অর্থনীতি ও বাণিজ্য জ্ঞাননির্ভর এ বাজারকে দেশের গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো কেন? শেয়ারবাজারে টাকা খাটালেই মুনাফা এমন প্রচারণা এবং বাজার প্রবণতার নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কি দায়িত্ব পালন করেছে ? দেশের শেয়ার বিনিয়োগকারিরা কেন আজ রাজপথে থাকবে? পুঁজি হারিয়ে কেন তাদের জীবন আত্মাহুতি দিতে হবে? দেশের সাধারণ মানুষের এসব প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। সরকার বিনিয়োগকারিদেরও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।

পরের ঘটনা তো আরো দুঃখজনক। ১৫ মাস আগের শেয়ারবাজার কেলেংকারির সেই ঘটনায় বিশিষ্ট ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা নিয়ে সরকারের নাটক কম হয়নি। যাও তা বের হলো তা নিয়ে অভিযুক্তদের কতো মামলা-মোক্কাদ্দমা। অভিযুক্তদের অনেকেই সরকারের নানা কর্মকা-ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তারা এতটাই ক্ষমতাবান যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব! আবারও প্রশ্রয় পেলো দেশের সাধারণ মানুষের ঘামে ভেজা কষ্টার্জিত বিনিয়োগ করা সঞ্চয় লুণ্ঠনকারিরা। চেষ্টা করেছিল তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধানকে নিষ্ঠাবান কাজের মূল্য না দিয়ে বরং তিরস্কার করা হলো। একটা বিব্রতকর এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার সামনে দাঁড়াতে হলো সর্বজন শ্রদ্বেয় নির্লোভী প্রবীণ ব্যাংকার এই ব্যক্তিত্বকে।

সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত সেই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের পুনর্বাসনে প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়েও এখন চলছে নানা টালবাহানা। তাই বাজারে আস্থার সংকট রয়েই গেছে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? আস্থা পুনরুদ্ধারে পুঁজিবাজারে করণীয় কী হতে পারে ? সময় ক্ষেপণ না করে তাই পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও কার্যকর করতে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো নেওয়া খুবই জরুরি।

বিনিয়োগে আকৃষ্ট হয় এমন কিছু প্যাকেজ সুবিধা প্রতি বছর রাখা প্রয়োজন জাতীয় বাজেটে।
ব্যবসায়ে মনোপলি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করা যেতে পারে। শেয়ার লেনদেনে বিভিন্ন চার্জ সহনীয় থাকা উচিত। স্বচ্ছতার প্রশ্নে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে এসইসির শক্ত মনিটরিং সেল স্থাপন করতে হবে। নিয়মিত তদারকি ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার লোকবল ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিতে হবে পর্যাপ্ত বেতন-ভাতা। সিকিউরিটিজ আইন লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ’৯৬-এর শেয়ার কেলেংকারিজনিত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ২০১০ সালের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সরকার যেমন এসইসির চেয়ারম্যান পদটিতে পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ একজন শিক্ষাবিদকে নিয়োগ দিয়েছে, তেমনি ব্যক্তি পর্যায়ে বাজার বিশেষজ্ঞ কমপক্ষে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। যদিও এ ধরনের কমিটি অতীতে ছিল নামমাত্র। মাসে কমপক্ষে একটি বৈঠক করে বাজারের চলমান সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। এছাড়া সংসদীয় কমিটির কাছে কমিশন কর্মীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের পুঁজি বা শেয়ারবাজার পরিচালনায় বিতর্কিত যেমন ঋণখেলাপি এবং শেয়ার কেলেংকারির সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যুক্ত রাখা থেকে বিরত রাখতে হবে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে নিরপেক্ষ পরিচালক (ইনডিপেনডেন্ট ডাইরেক্টর) নিয়োগের বিষয়টি বেশ হাস্যকর। পর্ষদ নিজেদের পছন্দের নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে এ পরিচালক নিরপেক্ষ থাকেন না। বাজারে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এসইসির প্রবিধানমালায় সংশোধনী আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেশে প্রাইমারি মার্কেটের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই টেকনিক্যাল এ বাজারে আইপিওতে আসা কোম্পানির প্রসপেক্টাস বাংলা ভাষায়ও প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ট বিনিয়োগকারীর অধিকারের মধ্যেও পড়ে। কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা কার্যক্রম যা জনগণের কাছে কোম্পানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা বাস্তবায়ন করছে কিনা কমিশন তা মনিটরিং করবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মুখপত্রেও সে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।

সিকিউরিটিজ আইন ও প্রবিধানমালা হালনাগাদ, সময় উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোতে উদ্যোক্তার শেয়ার অ্যাট পারে বরাদ্দ করা অযৌক্তিক। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোতে এটা দেখা যাচ্ছে। সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন যেহেতু মূল প্রতিষ্ঠানের নামে, তাই সস্তায় মালিকানা দেওয়া ঠিক হবে না। ফলে আশংকা থেকেই যায়।

একাধিক অডিট ফার্ম দ্বারা কোম্পানির নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে অথবা আন্তর্জাতিক একটি ও স্থানীয় একটি ফার্ম দ্বারা হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যোগ্য ও দক্ষ রেটিং প্রতিষ্ঠান দিয়েও কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম যাচাই করতে হবে।

সিকিউরিটিজ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কোম্পানি ও কর্পোরেট বিষয়ে আইনজ্ঞদের নিয়ে আলাদা আদালত গঠন করা যেতে পারে। দোষী ব্যক্তি যাতে আগাম জামিনের সুযোগ না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। শেয়ার বা পুঁজিবাজার যেহেতু টেকনিক্যাল মার্কেট সে কারণে এসইসির শেয়ার বিষয়ক শিক্ষামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং এর সময়কাল দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও কমিশনের মতো অনুরূপ কার্যক্রমের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।

মন্দা অবস্থায় বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য মার্কেট মেকার ফান্ড গঠন করা যেতে পারে। মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করাসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ যেমন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে হবে।

যেসব কোম্পানি নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান বা বার্ষিক সাধারণ সভা করে না তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ আয়করের পরিমাণ নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ধার্য করতে হবে। দুই বছরের অধিক ‘জেড’ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মালিকানা সমবায়ীদের হাতে তুলে দিতে হবে।

স্বচ্ছতার প্রশ্নে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির লেনদেন ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক) করা অতি জরুরি। কেননা লেনদেন এবং শেয়ার মূল্যস্তর নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। কিছু কিছু শেয়ার আছে যা এখনো অতিমূল্যায়িত। লেনদেনে ম্যানিপুলেশন এখনও বিদ্যমান। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের নীতি বা নিদের্শগুলোর ঘনঘন পরিবর্তন রোধ করতে হবে।

সরকারের ইস্যুকৃত বিভিন্ন বন্ডের ওপর আকর্ষণীয় সুদ দেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচুইটি ইত্যাদির ক্ষেত্রে জমাকৃত তহবিলের ব্যবহার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সরকারি ভূমিকা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে আইন করে তা সম্পন্ন করতে হবে।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোসহ স্বনামধন্য দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনার উদ্যোগ এসইসিকে নিতে হবে। ভুয়া বিও এবং এক নামে একাধিক একাউন্ট বাতিলের ব্যাপারে এসইসির কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।

আর এসব করা হলে আশা করি, দেশের পুঁজিবাজারে আস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভবপর হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাণিজ্য উদারিকরণ প্রক্রিয়ায় দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্র আজ বেশ সংকুচিত। তাই আওয়ামী লীগ সরকারকে মনে রাখতে হবে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এ বাজারের প্রতি আস্থা বিনষ্ট করা আর উচিত হবে না।

PRANAB

লেখক: অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিক
[email protected]

 

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।