ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংলাপের প্রয়োজন কী, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
সংলাপের প্রয়োজন কী, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা কী?- এমন প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ থাকে সে বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন।

সংলাপের কোন প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন সংলাপের প্রয়োজনীয়তা কি? নির্বচনের আয়োজক সংস্থা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তারপরও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।

বিএনপি বলছে আমরা ক্ষমতা চাচ্ছি না, আমরা চাচ্ছি শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়- এমন কথার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মসূচি সেটিই প্রমাণ করেছে। তারা ১০ তারিখকে ঘিরেও আগুণ সন্ত্রাস চালিয়েছে। আগামী ১১ তারিখ আবার তারা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। সেখান থেকেও আবার অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা ১০ তারিখ যেমন সতর্ক ছিলাম ৩০ তারিখও সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। ভবিষ্যতেও যদি তারা এরকম বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা উচিত জবাব দেবো।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে ও করবে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালালে সেটি জনগণ প্রতিহত করবে। জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও থাকবে।

বিএনপি সরকারের বিদায় চায় এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই বিদায় চায়। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে এ কথা বলে আসছে। আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই তারা এই বিদায় চাচ্ছে। এই সরকারকে বিদায় করতে হলে গণতান্ত্রিভাবে নির্বাচন করতে হবে। অন্য কোনো পথে এই সরকার বিদায় দেওয়া সম্ভব না।

ভারতীয় মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ভারতের ৩৫ জন সাংবাদিক শুক্রবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে বসবেন। আমরা আশা করব, তারা আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
জিসিজি/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।