ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পাথরঘাটা যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
পাথরঘাটা যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি

পাথরঘাটা (বরগুনা): দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

যা মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রিপনকে ২৬ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল কবির এ্যাটম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।

সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুবলীগের দুই নেতা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈনুল হোসেন খান নিখিলকে অবহিত করা হয়।

তাদের নির্দেশনায় যুবলীগ পাথরঘাটা উপজেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রিপনকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। এখনো আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। নোটিশ পেলে অবশ্যই জবাব দিতাম। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করেছে।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, বর্ধিত সভার দিন আমার মা শয্যাশায়ী ছিলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের কাছে সময় চেয়েছিলাম তারা দেননি। দুদিন পরই আমার মা মারা যান। এখানে সংগঠনবিরোধী কোনো কাজ করিনি। বরং আমার মায়ের জন্য বর্ধিত সভার সময় পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করেছিলাম যেটা তারা শোনেনি এটা অমানবিক।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নোটিশ পাইনি, পেলে অবশ্যই জবাব দিতাম।

তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক শাখা কমিটি দেওয়ার দায়িত্ব উপজেলা যুবলীগের। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমরা গঠনতন্ত্র মেনেই শাখা কমিটি দিয়েছি। আমাদের সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে- সে চিঠি এখনও পর্যন্ত পাইনি। কী অপরাধ বা ভুল করেছি তাও জানি না। ’

বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৬ জানুয়ারি পাথরঘাটা উপজেলা শাখার বর্ধিত সভা হয়। সেই সভায় তারা অনুপস্থিত থাকে। আমরা তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তারা নোটিশের কোনো জবাব দেয়নি। এর পর থেকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক জেলা যুবলীগের সভাপতি সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অবগত না করে আগের তারিখ উল্লেখ করে বিভিন্ন শাখার কমিটি ঘোষণা করেছেন তারা। যার কোনো বৈধতা নেই। একই সঙ্গে আমরা পাথরঘাটা উপজেলার সব শাখাগুলোর কমিটি বিলুপ্তি করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।