ঢাকা: নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য বিএনপি দেশে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে আশঙ্কা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে না এলে জোর করে কাউকে আনতে পারব না। কিন্তু নির্বাচনে বাধা দিতে গেলে প্রতিহত করা হবে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) দারুস সালামের সিদ্ধান্ত হাই স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব' সেই ধরণের নির্বাচন করার জন্য আইন করে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন এখন নিরপেক্ষ। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করবে। সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকার এ নির্বাচনে কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ করবে না। আমি জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আপনাদেরকে কথা দিয়ে গেলাম। সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, তারা জানে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। নির্বাচন হলে হেরে যাবে। কাজেই এ নির্বাচন না করে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, দেশে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে ভন্ডুল করা তাদের লক্ষ্য। আমরাও প্রস্তুত। নির্বাচনে না আসলে জোর করে কাউকে আনতে পারব না। কিন্তু নির্বাচনে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিহত করা হবে।
নির্বাচন পর্যন্ত আ.লীগ নেতা কর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়বো না। মাঠে থাকব। অপশক্তি ও অপরাজনীতির হোতা বিএনপিকে প্রতিরোধ করব। তাদের দোসরদের প্রতিহত করবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের সোনালী বন্দরে পৌঁছাতে আমরা প্রস্তুত আছি।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ঐক্যবন্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, প্রার্থী অনেকেই থাকতে পারে, অনেকের আকাঙক্ষা থাকতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রতি ছয় মাসে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করছে। এখানে যে এগিয়ে থাকবে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনগণের ভোটের জন্য নির্বাচন, তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দিতে হবে। সেটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ করতে হলে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্য মেনে চলবেন। এখন এক সঙ্গে কাজ করেন। নৌকার পক্ষে কাজ করুন। মনোনয়ন পাবেন একজন, বাকীরা এক সঙ্গে কাজ করুন। তাকে জেতানোর জন্য কাজ করুন।
সংঘাত এড়াতে হলে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, তখন সংলাপে ডাকলে বিএনপি রাজী মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে সরকার পদত্যাগ করলে সংলাপ করবে কে? এই প্রশ্নের উত্তর ফখরুল সাহেব আপনার কাছে চাই। এ ধরণের উদ্ভট, আবোল-তাবোল বক্তব্য তারা দিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির আন্দোলন পাবলিক খায় না দাবি করে কাদের বলেন, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। বিএনপির শরিকেরাও নেই। ৫২ দল শুনেছি, এখন ৫ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও বিএনপির শরিকদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কোথায় ৫২ দল? কোথায় ২৭ দফা? মেরামত করবে নাকী! রাষ্ট্রকে মেরামত করবে! ধ্বংস করে গেছ, তোমরাই এখন রাষ্ট্রকে মেরামত করবে। এ রাষ্ট্র মেরামত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি, সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
এনবি/ এসএম