ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১ মাসের মধ্যে সরকারের পতন ঘটবে: নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
১ মাসের মধ্যে সরকারের পতন ঘটবে: নুর

ঢাকা: গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা গত ২৮ তারিখ থেকে এক দফা আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলাম। আগামী ১ মাস যেকোনো সময় ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

চলমান আন্দোলন কখনো আগাবে, কখনো পেছাবে। আমরা বলেছি এই সরকারের আয়ু ১ মাস। আগামী ১ মাসের মধ্যে এ সরকারের পতন ঘটবে।

সোমবার (৩১ জুলাই) পুরানা পল্টন এলাকার কালভার্ট রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, এটা কি এমনিই বলেছি? বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়কে সোনারগাঁও হোটেল থেকে খাবার এনে খাওয়ায়। আপনারা দেখেছেন গত ১৪ বছরে এই চিত্র? আমানউল্লাহ আমান আহতও হন নি। অসুস্থ হয়ে গেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাকে দেখতে যায়, ফল, জুস নিয়ে। গত ১৪ বছরে দেখেছেন এই চিত্র? কলিজায় ভয় ঢুকে গেছে। এতদিন তারা বাংলাদেশের মানুষকে ভয় না করলে, মূল্যায়ন না করলেও এখন তারা বিদেশিদের চাপে, ভিসানীতির চাপে পড়ে এখন এসব করছে। তারা ভাবছে ক্ষমতায় না থাকলে তো বিদেশ যেতে হবে, অ্যাসাইলাম নিতে হবে৷

তিনি বলেন, আল্লামা মামুনুল হকের মতো একজন আলেমকে সরকার মামলা দিয়ে পঙ্গু করে রেখেছে। গত ১৪ বছরে আলেমরা যে পরিমাণ বেইজ্জতি হয়েছে, এরকম আর কখনো হয়েছে? এখন তারা আবার মডেল মসজিদ করছে। নির্বাচন এসেছে, তাই আবার ছদ্মবেশ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাত নিয়ে আজকে নৈরাজ্য হচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানি আদানির সাথে একটা অযৌক্তিক লুটপাটের চুক্তি করেছে এই সরকার। প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার বলেছে, সিন্ডিকেটের নাম বললে আমার লাশ পড়ে থাকবে। আজকে ৪০ থেকে ৫০টা সিন্ডিকেট তেলের বাজার, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ইচ্ছেমতো দাম বাড়ায়৷ কেউ কিছু বলছে না, কেন? কারণ, তারা গিয়ে শেখ হাসিনার কাছে মাসোহারা দেয়।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, গত ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে একজন মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়। এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি তারা দেয় নাই। এতটাই নির্লজ্জ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়েছে? হয় নাই। যদি আমাদের সমাবেশে হতো তাহলে আমাদের নামে মামলা হতো। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে খুঁজে বের হতো। বাকি বোঝা গেল? আইনের শাসন আছে দেশে? নাই।

তিনি বলেন, গয়েশ্বর রায়ের খাওয়া নিয়ে আজকে এত কথা হচ্ছে। ডিবি অফিসে গেলে আপনাকে যদি বিষ খেতে বলা হয়। আপনি খেতে বাধ্য। এই অভিজ্ঞতা আমারও আছে। কিন্তু, এসব করে নেতাদের জনগণের কাছে বিভ্রান্ত করার জন্য। কিন্তু, জনগণ এখন সব বোঝে। ভিন্নমতের মানুষকে একদিকে তারা নিপীড়ন করছে, অন্যদিকে এসব নাটক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা নষ্ট করছে। আমরা এটি দেখতে চাই না।

বিক্ষোভ সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এমকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।