কক্সবাজার: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক। তারা জঙ্গিদের পক্ষে কথা বলছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের রামু স্টেডিয়ামে আয়োজিত শোক সভা ও মেজবান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে টেলি কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে দুপুরে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল, শোকসভা, মেজবান অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনঃগঠিত করে, সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই বাঙালির স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে, স্বাধীনতার পরাজিতরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। তাদের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন না হয়, তার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে, হত্যাকাণ্ডের বিচার চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করে ছিল।
শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে, বদলে যাওয়া দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাইমুম সরওয়ার কমলকে পুনরায় নৌকায় ভোট দিন।
কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ, রামুর উদ্যোগে এ শোকসভা ও মেজবানের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইছালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে আয়োজিত শোকসভা ও বৃহত্তর মেজবানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ, রামুর প্রধান উপদেষ্টা সাইমুম সরওয়ার কমল।
তিনি বলেন, আমাদের জাতিগত পরিচয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, জীবন, কর্ম ও দর্শনকে এ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন ও চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই রামুতে প্রতি বছর মেজবান ও শোকসভা আয়োজন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম ও উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো।
শোকসভায় সম্মানিত অতিথির ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, কক্সবাজার জেলা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা, গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামশুল আলম, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হক, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, রামু উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তপন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর ছিদ্দিক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, ইউনুছ ভূট্টো, ছৈয়দ নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কবীর মেম্বার, আইয়ুব সিকদার, ওসমান সরওয়ার মামুন, জহির উদ্দিন, আবছার কামাল সিকদার, জহির উদ্দীন সিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আনছারুল হক ভূট্টো, ছৈয়দ মোহাম্মদ আবদুস শুক্কুর।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম এ মেজবানে ৫০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এসবি/আরআইএস