ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, জোর করে কারো কণ্ঠ রোধ করা যায় না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পরির্বতন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মিডিয়ার শক্তিকে সরকার ভয় পায় বলে নতুন নতুন নির্দেশনা দিচ্ছে। সরকার আদালতের মাধ্যমে বলেছে, তারেক রহমানের কথা কোনো রকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না, সরিয়ে দিতে হবে। আসলে সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়, তার কণ্ঠকেও ভয় পায়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হলেও আজ ৫০ বছর পরও দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে তুলে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে আওয়ামী লীগে। এই গণতন্ত্র হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে একদিন জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকার জনগণকে ভয় পায়, বেগম জিয়াকে ভয় পায়। সরকার মনে করেছিল তাকে কারারুদ্ধ করলে দেশের মানুষ চুপ হয়ে যাবে। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েও দেশের মানুষকে চুপ করে দেওয়া যাবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। সরকার কূটনীতিতে ব্যর্থ। চরম বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রত্যাখান করেছে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। এজন্য ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি। সরকারের ওপর জনগণের আস্থা না থাকার কারণে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ধাপ্পাবাজি করে দেশ চালাতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি গত এক বছর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। আগামীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নৈতিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাছের রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
টিএ/আরএইচ