ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জামাতার সঙ্গে সমঝোতা, নৌকার বিরুদ্ধে লড়বেন শ্বশুর 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
জামাতার সঙ্গে সমঝোতা, নৌকার বিরুদ্ধে লড়বেন শ্বশুর 

সিরাজগঞ্জ: অবশেষে জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুলের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।  

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামাতা নুরুল ইসলাম সাজেদুল।

উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের বড় একটি অংশ লতিফ বিশ্বাসের পক্ষেই মাঠে
থাকবেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার বাসভবনে জামাতা-শ্বশুরের সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাসসহ দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস জানান, শুক্রবার মেয়রের বাড়িতে আমাদের পারিবারিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ বিশ্বাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন নুরুল ইসলাম সাজেদুল।

এদিকে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে দলের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দের বাসভবনে বৈঠক করেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।  

বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস, সাবেক সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান মাখন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক ভাষানী, বেলকুচি পৌর
মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ বিশ্বাসের পক্ষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জামাতা-শ্বশুর দুজনেই। কিন্তু এ আসনটিতে মনোনয়ন দেওয়া হয় বর্তমান এমপি শিল্পপতি আব্দুল মমিন মণ্ডলকে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন নুরুল ইসলাম সাজেদুল। পরদিন জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। জামাতা ও শ্বশুর দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি টক অব দ্য সিরাজগঞ্জে পরিণত হয়েছিল।  

তবে ৪ ডিসেম্বর বাছাইয়ের দিন নুরুল ইসলাম সাজেদুলের মনোনয়ন বাতিল হয়। যদিও মনোনয়ন ফিরে পেতে তার আপিল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু শ্বশুরের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার পর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করছেন না তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।