ফেনী: নৌকার সমর্থনে ফেনী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ভূঞা রাজন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌর আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্বাচনী মিছিল বের করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি রামপুর সওদাগর বাড়ির সামনে এলে অতর্কিতে সন্ত্রাসীরা হামলায় চালায়। হামলায় ছাত্রলীগের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় বিএনপির লোকজন জড়িত বলে দাবি করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগের ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, বিকেলের দিকে রামপুরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল থেকে স্থানীয়দের গালাগালি করতে থাকেন। তখন এলাকার স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। এখানে বিএনপি বা অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে এ ধরনের মিথ্যাচার একদম অযৌক্তিক। এটি রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়।
হামলার ব্যাপারে ইমরান নামে মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক সমর্থক জানান, নৌকার সমর্থনে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। মিছিলটি পাটোয়ারী বাড়ি এলাকা থেকে সওদাগর বাড়ির সামনে এলে অতর্কিত ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে অনেকেই আহত হন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তারা হলেন, স্থানীয় ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোলাপ নবীর ছেলে কাউসার আহমেদ অপু (১৭) ও ফুলগাজী উপজেলার উত্তর বরইয়া গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে রাব্বি হাসান (১৮)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত অপু জানান, আমরা মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হলে হুট করে বিকট শব্দ শোনা যায়। এতে আমিসহ অনেকেই দিক বেদিক ছোটাছুটি শুরু করি। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম, সেখানেও হামলা চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
একই কথা বলেন ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান। তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। হাসাপাতালে দুজন চিকিৎসাধীন আছেন। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
এসএইচডি/এমজেএফ