নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, সেদিন বিএনপি মিটিংয়ে ৫৬ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে। এক মৃত পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে, ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে, এক মা-বাচ্চা এক সঙ্গে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ওরা আমার দেশের মাটিতে, আমার মায়ের মাটিয়ে পাড়া দেবে আমরা ওদের ছাতিতে পাড়া দেব। সোজা ও ক্লিয়ার ম্যাসেজ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, জামায়াত যে কাজটা ১৯৭১ সালে করেছে যুদ্ধাপরাধীর অপরাধে, দেশের বিরুদ্ধে, মানুষ ও দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। সে একইভাবে বিএনপি এখন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। যে কর্মকাণ্ড তারা চালিয়েছে ও চালাচ্ছে এবং সামনে আরও চালানোর পরিকল্পনা আছে। জনগণ বুঝতেছে বঙ্গবন্ধুর এই কথা, দেশের স্বাধীনতা আনার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। সেই স্বাধীনতা রক্ষার প্রশ্ন এখন এসেছে।
তিনি বলেন, কোথা থেকে কী হচ্ছে কেন হচ্ছে কেন দেশটাকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। কার স্বার্থ হাসিল হবে। শুধু বিএনপি জামায়াত না, আরেকটা শ্রেণি আছে যারা নিজেদের সুশীল বলে দাবি করেন তারাও এতে জড়িত আছেন। তারা চাচ্ছেন দেশে একটা শূন্যতা সৃষ্টি হোক, শেখ হাসিনা যেন না থাকে। উনাদের প্রথম ও শেষ টার্গেট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিয়ে ওরা ভেবেছিল দেশটাকে ওরা ওদের আদলে নিয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ জাতির পিতার কন্যাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। দেশটা আবার বাঙালি চেতনায় ফিরে এসেছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ভৌগলিক সীমারেখার কারণে ওরা আবারও ট্রাই করছে, ওরা তাদের পারপাস সার্ভ করছে যারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করে আমাদের দেশটাকে স্বাধীন করেছি তাদের পারপাস সার্ভ করছি।
শামীম ওসমান বলেন, ৭০ এর ভোটটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবারের ভোটটাও তেমন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কাকে ভোট দেবেন আপনি তো আর বলবেন না, শুধু ভোটটা দিতে আসবেন। আমাদের সবার দায়িত্ব আমাদের দেশ তথা আমাদের মাকে রক্ষা করা।
এর আগে উঠান বৈঠকে ভোটারদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, কি হচ্ছে দেশে, কি হতে যাচ্ছে দেশে? এ দেশে এখন যা ঘটছে আপনি যেটা ঘুমের মধ্যেও চিন্তা করবেন না চিন্তা করছেন না, এ কারণেই করছেন না কারণ বিষয়টা আপনার জানা নেই। আমি বিষয়টা আপনাকে জানাতে এসেছি। আমি পুরোপুরি খোলাভাবে আপনাদের কথাটা বলতে পারবো না। যারা বুঝার তারা বুঝে নেবেন আর যারা বোঝেন নাই তাদের দয়া করে বুঝিয়ে দেবেন।
তিনি বলেন, মানসিকভাবে অনেক চাপে আছি। কারণ দেশটা সবার, মাটি আমাদের মা। একটা দেশের স্বাধীনতা যত কঠিন তার চেয়ে কঠিন দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা। আজ আমার মনে হয় স্বাধীনতা রক্ষার সময় চলে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমআরপি/আরআইএস