ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘যে পুলিশ কথা শুনবো না, তারে থানায় রাখমু না’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
‘যে পুলিশ কথা শুনবো না, তারে থানায় রাখমু না’

মাদারীপুর: মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার কথা না শুনলে পুলিশকে থানা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক নেতা। এ বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ভিডিওতে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিমকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। পুলিশ আপনেগো (আপনাদের), পুলিশ আপনার কথা শুনে না? যে হালার পুলিশ শুনবে না, ওই হালার পুলিশরে পরদিন থানায় রাখমু না। ’

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, বুধবার রাতে সাহেবরামপুর ইউনিয়নের হাকিমুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের এক নির্বাচনী সভা হয়। ওই সভায় সাহেবরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম এ বক্তব্য দেন।

ভিডিওতে কামরুল হাসান সেলিম বলেন, ‘আমরা হলাম ড. আবদুস সোবহান গোলাপের কর্মী, আওয়ামী লীগের কর্মী। আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে চোখটা খুলে ফেলতে হবে। আবার যদি কেউ বলে পাও (পা) ভেঙে ফেলবে, আমাকে ফোন দিবেন, চতুর্দিক থেকে বল্লার মতো এসে ধরে ওকে শেষ করে দেওয়া হবে, কোনো ছাড় হবে না। পারবেন না? ভয় লাগে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। পুলিশ আপনেগো (আপনাদের), পুলিশ আপনার কথা শুনে না? যে হালার পুলিশ শুনবে না, ওই হালার পুলিশরে পরদিন থানায় রাখমু না। ’

এ ব্যাপারে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকার প্রার্থী এবং তার কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। বিভিন্ন সভা-উঠান বৈঠক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভীতিকর বক্তব্য দিয়ে ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি ও নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছেন।

তিনি আরও বলেন, কামরুল হাসান সেলিমের এ বক্তব্য উসকানিমূলক। এছাড়া পুলিশ বাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করে দেওয়া এমন অশালীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই আমরা। সেই সঙ্গে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়ে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।