ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি নুরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেছেন, মহানবীকে (সা.) ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পর্যায়ে পরিপূর্ণ অনুসরণ করা আমাদের সবার কর্তব্য। সমাজ বিনির্মাণে যুগে যুগে নারী সাহাবীরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগ ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত সিরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নুরুন্নিসা সিদ্দিকা এ কথা বলেন ।
তিনি আরও বলেন, যারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছে তাদের এ আত্মদান যেন বৃথা না যায় এজন্য সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগ ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি সুফিয়া জামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল তাহমিনা ইয়াসমিন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা উম্মে নওরিন এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক খোন্দকার আয়েশা সিদ্দিকা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি আমেনা বেগম ও জলি ইয়াসমিনসহ মহানগরীর কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্যরা।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ডাক্তার এবং অন্যান্য পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ আলোচনা সভায় অংশ নেন।
সিরাত ( সা.) এর উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, ইসলাম বিদ্বেষীরা মনে করে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হলে প্রগতিশীল নারীদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হবে, যা একান্তই ভুল ধারণা। ইসলামের স্বর্ণযুগে নারীদের অবদানের কথা স্মরণ করে বক্তারা পাশ্চাত্য সভ্যতার নারীদের বিষয়ে যে ধারণা রয়েছে সে ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। আলোচনায় সমঅধিকারের জন্য নয় বরং ইসলাম প্রদত্ত ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য নারীদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার কথা বলা হয়।
রিদওয়ান শিল্পী গোষ্ঠীর শিশু শিল্পী, আবৃত্তিকার ও শিল্পীদের সুরের মুর্ছনায় অডিটোরিয়াম এ উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিগত সময়ে সিরাত সা. উপলক্ষে সর্বস্তরের নারী ও শিশুদের ১০টি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার প্রায় একশত একজন প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও নগদ অর্থ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৪
টিএ/জেএইচ