ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারতে থাকা নাটাইয়ের ঘুড়ি দেশের আকাশে উড়তে দেব না: জুয়েল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
ভারতে থাকা নাটাইয়ের ঘুড়ি দেশের আকাশে উড়তে দেব না: জুয়েল

নরসিংদী: বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল বলেছেন, একটি দলের প্রধান, যিনি নিজেকে দেশের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছে তিনি পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি প্রশ্নবিদ্ধ জায়গায় নিতে চাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেই সুতার নাটাই বাংলাদেশের মাটিতে থাকবে না, বাইরে থাকবে সেই সুতার টান বাংলাদেশে আমরা ছিন্ন ভিন্ন করে দেবো। যেই ঘুড়ির নাটাই পার্শ্ববর্তী দেশে থাকবে, সেই ঘুড়িকে আমরা আর বাংলার আকাশে উড়তে দিতে পারি না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনারে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমানননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি দল যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করে পার্শ্ববর্তী দেশের করদরাজ্য পরিণত করে নিন্দুক দর্জির মতো আচরণ করে একজন হামিদ কারজাই সাজতে গিয়েছিল। তাদের আনুগত্য, বন্ধুত্ব বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়, তাদের আনুগত্য পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে। তাদের আঙুল ফেলনে তারা বাংলাদেশকে করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন মিশন বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা তাদের এ  অন্যায় অপকর্ম করতে আর এক মিনিটও বরদাশত করতে পারে না বিধায় জুলাই আগস্টে নতুন  বিপ্লবের সূচনা করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের হাইকমিশনার অফিসে আপনারা অন্যায়ভাবে হামলা করেছেন। জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও চেতনার প্রতীক। এ সার্বভৌমত্ব ও চেতনাকে অবমাননা করা মানে আমাদের হৃৎপিণ্ডে আঘাত করা। মনে রাখবেন হৃৎপিণ্ডে আঘাত করে পাকিস্তানিরা রেহাই পায়নি। ভবিষ্যতে অন্য কেউ যদি বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ডে আঘাত করতে চায়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষ একাত্তরের চেতনায় ও হাতিয়ারে গর্জে উঠে যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছে।  

বিক্ষোভ মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবদুল খালেক, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া মামুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি একে এম বাছেদ মোল্লা ভুট্টো, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেন্টু ভূইয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাদিম মাহমুদ বায়েজীদ, যুবদল নেতা সাব্বির আহমেদ, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলী আকবর, সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন, পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক কাজল কমিশনার, সদস্য সচিব হান্নান কমিশনার,  উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ্,  সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাফি উদ্দিন আকন্দ করুন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব মাহফুজ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাম্মির রহমান টিপু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য শফিক, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাওন, মহসীন, শাকিল, মোজাহিদ, সোহেল, টিটু, মাহফুজ, হাসেম, পৌর ছাত্রদল নেতা অয়ন, সোহেল, সুমন, মুসা ও আরাফাত।

পরে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ হয়ে আবার বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। এ সময় সাধারণ জনগণের মাঝে রাষ্ট্রকাঠামো পরিচালনায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।