নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি সমর্থিত প্রতিপক্ষ পক্ষের লোকজনের গুলিতে মো. হালিম (৪০) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আবিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হালিম আমিশাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব প্রার্থী ছিলেন এবং তিনি একই গ্রামের সমির উদ্দিন হাজী বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় অটোরিকশাচালক হোসেন একই গ্রামের ভূঞা বাড়ির এক ব্যবসায়ীর কাছে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির কিছু টাকা জমা রাখেন। গত রোববার জমা টাকা আনতে ভূঞা বাড়িতে যান হোসেন। ওই বাড়ি থেকে ফেরার পথে হোসেনকে নারী কেলেঙ্কারির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আটক করে ফিরোজসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা চাঁদা দাবি করে। পরে হোসেন তাদের টাকা দেওয়ার শর্তে ছাড়া পান।
বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী হোসেনকে টাকা দিতে নিষেধ করেন। এ ঘটনার জের ধরে রোববার রাতে ফিরোজকে একই ওয়ার্ডের শান্ত তার লোকজন নিয়ে মারধর করে। এরপর সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে শান্ত ও তার লোকজন ফিরোজের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।
পরে সোমবার রাত ৭টার দিকে ফিরোজ তার অনুসারীদের নিয়ে দক্ষিণ আবিরপাড়া গিয়ে শান্ত গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। সেখানে ফিরোজ, মামুন, মাসুদ, সাগর যুবদল নেতা হালিমকে বেধড়ক পিটিয়ে বুকের ডান দিকে খুব কাছ থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়।
গুলিবিদ্ধ হালিমের বড় ভাই আব্দুল হান্নান বলেন, শান্তর নেতৃত্বে কোনো হামলা হয়নি। এলাকাবাসী চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে সবকিছু করেন।
তিনি আরও বলেন, তার ভাই ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডাক্তার এখনও তাদের কিছুই জানায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি সমর্থিত অভিযুক্ত ফিরোজ, মামুন, মাসুদ, সাগরের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
এসআরএস