ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

শহীদ জিয়ার দর্শন-ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে: আমীর খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
শহীদ জিয়ার দর্শন-ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে: আমীর খসরু বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দর্শন-ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, যার জন্য আমরা ১৬ বছর ধরে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, জেল খেটেছি, অনেক নেতাকর্মী খুন-গুম হয়েছে, সেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি, বাংলাদেশ আজ মুক্ত। তবে মুক্ত চিন্তা ব্যতীত কোনো জাতির সামনের দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। আজকের সরকার আর কী করতে পারতো, প্রতিবাদের সঙ্গে সঙ্গে আমরা কী করবো, আগামী দিনে সরকার কী করবে, বিএনপি কী করবে ভাবছেন, এজন্য জনগণকে আনতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মনে হয় বাংলাদেশের জনগণ আর মেনে নিতে পারবে না। শেখ হাসিনা বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষ বিরাট একটি মনোভাব তৈরি করেছে। মানুষের মনে যে প্রত্যাশা জেগেছে, যে আকাঙ্ক্ষা দেখেছে, যে নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাচ্ছে, সেটি আমাদের ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক হিসেবে ধারণ করতে হবে, দল হিসেবে ধারণ করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ কীভাবে গড়বো আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর অবস্থান থাকতে হবে। যাতে সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে কাজ করতে পারে।

বিএনপির এ শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর তিন বছর ছিলেন। তিন বছরের মধ্যে এ রকম একজন মানুষ তিনি সবকিছুকে ভেঙে ফেলে তৈরি করেছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেন। কৃষক-শ্রমিক-ব্যবসায়ী প্রত্যেকটি বিষয়ের ওপর তিনি নজর রাখতেন। সেই বিষয়টি আমাদের অনুসরণ করতে হবে। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন না, সরকারপ্রধান ছিলেন না, একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। জিয়াউর রহমান একজন আর্মি জেনারেল ছিলেন, যিনি সম্মুখ যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন সংস্কারক ছিলেন। সুতরাং জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ হবে না। তার দর্শন আমাদের মধ্যে চলে আসে। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তৈরি করেছিলেন। অর্থনীতিতে প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে।  

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি হবে না। যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। যারা খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, তাদের পরিবারকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে এবং যারা অপরাধ করেছে তাদের সঠিক বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট রেজিম তৈরি করে দেশের সব প্রতিষ্ঠান একদলীয় কায়েম করে ধ্বংস করে দিয়েছে, এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি, একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বাধীন রাষ্ট্র যেখানে গর্বের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারতেন সেই বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। তার দর্শন-ভাবনা আমাদের ধারণ করতে হবে।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।