ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের বাসায় গিয়ে তার মায়ের খোঁজখবর নিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বরে শহীদ শাকিলের মায়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এ সময় জোনায়েদ সাকির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুগ্ম সদস্যসচিব রতন তালুকদার, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহবুব ইরান, সম্মিলিত পেশাজীবী সংহতির অর্থ সম্পাদক কাঁকন বিশ্বাস, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মিরপুর জোনের) আহ্বায়ক রাব্বি খানসহ ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা।
শহীদ শাকিলের মায়ের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছ বিনিময়ের সময় জোনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ শাকিলের আকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লড়াই জারি রাখবে গণসংহতি আন্দোলন। শহীদ শাকিলসহ অভ্যুত্থান চলাকালে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হাতে হওয়া সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। ফ্যাসিস্টদের বিচার না করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সবসময় শহীদ শাকিলের মায়ের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন জোনায়েদ সাকি।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি পালনকালে মিরপুর ১০ নম্বরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে আহত হন ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আহমেদ শাকিল। ৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার আঁগারগাওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ’র চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন শাকিল। তিনি মিরপুরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যায়তন আমাদের পাঠশালার সাবেক শিক্ষার্থী এবং ওই বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, রামপালে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে আন্দোলন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনেও শাকিল সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৫
এমজেএফ