ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফলাফল খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বিএনপির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
ফলাফল খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী

ধানের শীষের প্রার্থীর কারচুপির অভিযোগ আমলে নিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফলাফল খতিয়ে দেখার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।

ঢাকা: ধানের শীষের প্রার্থীর কারচুপির অভিযোগ আমলে নিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফলাফল খতিয়ে দেখার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।

 

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

তিনি বলেন, নাসিক নির্বাচনে বাহ্যিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের বাতাবরণ সৃষ্টি করে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সত্যিকারে গণরায়ের প্রতিফলন ঘটলে আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই। তবে ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের কারচুপির অভিযোগকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সুতরাং ধানের শীষের প্রার্থীর কারচুপির অভিযোগ আমলে নিয়ে ভোটগ্রহণ, গণনা ও ফলাফল খতিয়ে দেখার জন্য বিএনপির পক্ষ আমি থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, একটি কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ১ হাজার। অথচ সেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল নৌকা প্রতীকে ৮ শ’ ও ধানের শীষ প্রতীকে ৫ শ’। পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়টি উল্লেখ করলে প্রিসাইডিং অফিসার ফলাফল পাল্টে দেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে সব কেন্দ্রের ফলাফল শিট পোলিং এজেন্টদের সরবরাহ করার বিধান থাকলেও নাসিক নির্বাচনে বিএনপি এজেন্টদের ফলাফল শিট সরবরাহ করা হয়নি।

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের আড়ালে ‘সরকারি ভেল্কিবাজি’র কোনো মহড়া চলেছে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করে রিজভী বলেন, সেনা মোতায়েন না করায় নির্বাচনী এলাকায় ভয়-ভিতির পরিবেশ বিদ্যমান ছিল। যার ফলে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নজিরবিহীন নিরাপত্তা বিধানের আড়ালে অন্ধকারে কী ভূমিকা রেখেছে, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিমা হায়াৎ আইভীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হন বিএনপি মোনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।

সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন দফা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয় নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। পরিবেশ সন্তোষজনক।

কিন্তু ফল আসতে শুরু করলে নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থানরত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের নীরবতা ও বিষণ্ণতা নেমে আসে। সংবাদকর্মীদের বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আর কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি বিএনপি নেতারা।

ফলাফল প্রকাশের ১৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় দলের পক্ষ থেকে রিজভী দাবি করলেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত!

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬/আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা
এজেড/বিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।