মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
এর আগে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ৪টায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে ১২ বিশিষ্টজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগের বিষয়ে আরও পাঁচ বিশিষ্টজনের মতামত নেবে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি।
এ লক্ষ্যে আগামী বুধবার বেলা ১১টায় তাদেরকে মতবিনিময় সভায় ডাকা হয়েছে।
নতুন করে ডাক পাওয়া পাঁচ বিশিষ্টজন হলেন- সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ।
কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদের নাম বাদ দেওয়া হয়।
এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কিংডম বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে করা তিন মামলার বিষয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়।
আইনজীবীরা জানান, বসুধা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জাব্বার খান ২০০৮ সালে তিনটি ফ্লাট কিনতে কিংডম বিল্ডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হলেও বার বার সময় নিয়েও বসুধা বিল্ডার্সকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এমন অভিযোগ এনে ২০১২ সালে বিচারিক আদালতে মামলা করে বসুধা বিল্ডার্স।
এরপর আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য ধানমণ্ডি থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর ধানমণ্ডি থানার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাদীর অভিযোগ মোতাবেক তদন্ত করে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, বর্ণিত প্লটগুলোর মালিক মেজর (অব.) মোর্শেদুর রহমান ও কর্নেল (অব.) এমডি মঞ্জুর কাদির।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, মেজর রশিদের ‘কিংডম বিল্ডার্স’ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের প্লটে ফ্ল্যাট নির্মাণের ইচ্ছা পোষন করেছিলেন মাত্র। তাদের মধ্যে কোন প্রকার লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষর হয় নাই। প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা যায়, অত্র মামলার বিবাদীপক্ষ প্লটের অধিকার গ্রহণ না করেই বাদীপক্ষের কাছে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট বিক্রি করেছে’।
‘সার্বিকভাবে তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণে ঢাকা জেলার পল্লবী থানার চাকুলী মৌজাস্থ মিরপুর ডিওএইচএসের প্লট নং-৭৮৫ ও ৭৮৬, রোড-২৩ উক্ত প্লটে কিংডম বিল্ডার্স লিমিটেডের ‘ওয়াটার কিংডম’ নামীয় আবাসিক ভবনের কোনো অস্তিত্ব নাই। প্লটের জায়গাটি খালি অবস্থায় দেখা যায়’।
এদিকে এ তিন মামলারই কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আব্দুর রশিদ। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ১৭ জানুয়ারি রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে ছয়মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে রোববার (২৯ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতির আদালতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন আব্দুর রশিদ। মঙ্গলবার এ আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন।
আদালতে আব্দুর রশিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আওসাফুর রহমান বুলু। বাদীপক্ষে ছিলেন জামান আক্তার বুলবুল।
তিনি জানান, নো অর্ডার মানে হাইকোর্টের রায় বহাল।
আইনজীবী বুলবুল আরও জানান, ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনটি মামলা করেন বসুধা বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জাব্বার খান।
** ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে সার্চ কমিটি
** সার্চ কমিটিকে বিএনপির নামের তালিকা
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর