ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এমপি রানার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এমপি রানার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এমপি রানা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত নয়, তাই তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছে।

অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না করায় এ নিয়ে চারবার এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মনিরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সোমবার সাক্ষীর জন্য মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা দেওয়া হয়। কারাগারে আটক আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয় এবং জামিনে থাকা আসামি মাসুদুর রহমান, ফরিদ আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নুরু হাজির হন।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আদালতকে জানানো হয় এমপি রানা ফিস্টুলা, হাইপারটেনশন, ডায়বেটিক, প্রোস্টেট বড় হওয়া, কোমড় ব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি ভ্রমণে অনুপযুক্ত হওয়ায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না।
পরে বিচারক মো. আবুল মনসুর মিয়া সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ দেন।

এমপি রানাকে হাজির না করা বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কৌশল বলে মনে করছেন মামলার বাদী পক্ষ। তাদের মতে এর আগে অসুস্থতার নানা অজুহাতে রানাকে আটবার আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই মামলাটি অভিযোগ গঠন করতেই প্রায় দশ মাস সময় নষ্ট হয়েছে। মামলার তারিখ এলেই রানা অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এখন সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ও চারবার একই অজুহাতে হাজির করা হলো না। এতে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে।

বাদী নাহার আহমেদ এমপি রানা যাতে তার প্রভাব বিস্তার করে নানা অজুহাতে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে না পারেন সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।