ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

শামীম খান ও মহিউদ্দিন মাহমুদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলানিউজ

সোনারগাঁও হোটেল থেকে: নিজের কিংবা দলের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকলে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা শেষে তিনি একথা বলেন।  

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল হয়।

কাজ করতে গিয়ে আমার বা আমার সহকর্মীদেরও ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকতে পারে। আমি নিজের এবং দলের পক্ষ থেকে আমাদের ভুল-ভ্রান্তিগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য দেশবাসীর প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। ’

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  

জাতির পিতার কাঙ্ক্ষিত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারও করেন তিনি।

এ সময় আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে দেশবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, ‘আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেবো। এটা আমাদের জাতির কাছে ওয়াদা।  

‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৩০ তারিখে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ। ’

‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এতে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।  

এর মধ্যে একটি- আমার গ্রাম-আমার শহর; যেখানে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।  

ইশতেহারের বাকি অঙ্গীকারগুলো হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দারিদ্র্য নির্মূল; সব স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবীণ কল্যাণ কর্মসূচি।

পড়ুন>>আধুনিক নগর সুবিধায় গ্রাম হবে শহর 

এর আগে ইশতেহার ঘোষণার আগে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয়।  

এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

**কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না
**আবার ক্ষমতায় এলে ৫-জি চালুর প্রতিশ্রুতি
**নির্বাচিত হলে ১ কোটি ২৮ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।