ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নেতাকর্মীদের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে চলার পরামর্শ হাসিনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
নেতাকর্মীদের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে চলার পরামর্শ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি

ঢাকা: নেতা-কর্মীদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা ও পঞ্চগড়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় নিজ দলের নেতা-কর্মীদের এ পরামর্শ দেন তিনি। সুধাসদন থেকে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ আসনেও টেলিফোনে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।



আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সবাই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চলবেন। জঙ্গিবাদ- সন্ত্রাসীদের কোনো বিশ্বাস নাই। এরা (বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্ট) যেহেতু জানে তারা নির্বাচনে জয়ী হবে না। তারা হেরে যাবে। তাই হেরে যাওয়ার প্রাক্কালে যেকোন রকমের ছোবল মারতে পারে। সেইদিকে আপনারা সজাগ থাকবেন।  

তিনি বলেন, আর তারা তাদের প্রচার চালাক। সব দল নির্বিঘ্নে প্রচার চালাবে। এতে কেউ কোনো বাধা দেবেন না দয়া করে। জনগণের জোয়ার আমাদের পক্ষে। কাজেই আমরা এগিয়ে যাবো, ইনশাল্লাহ আমরা জয়ী হবো।

ভোটাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, সকাল সকাল গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। কেউ যেন আমাদের ভোট কেড়ে নিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।  

বিএনপি-জামায়াত দ্বারা আওয়ামী লীগ আক্রান্ত হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত মিলে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে এবং ৪৪১ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ১৭০টা অফিস-বাড়িঘর তারা ভাঙচুর করেছে, ৫৪টা স্থানে বোমা হামলা করেছে। পেট্রোল বোমা হামলাও চালানো হয়েছে। ৬৮টি স্থাপনা ও যানবাহনে তারা হামলা করেছে। পুলিশের ওপরও তারা হামলা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের এ চরিত্রটা বদলাতে হবে। কারণ এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের মানুষ কখনো পছন্দ করে না। কখনো পছন্দ করবে না। সারা বাংলাদেশের সবাইকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কাজ যদি কেউ করতে আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার হাতে তাদের তুলে দিতে হবে।

ভোট কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে যাতে তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে। কারণ ওদের চরিত্র বদলায় নাই। ওরা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, এরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। নৌকা মার্কা উন্নয়ন দেবে, সমৃদ্ধি দেবে। এরা ধানের শীষে ভোট চায়। এদের কোনো মতো ভোট দেওয়া যাবে না।  

বিগত সময়ের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষকে উন্নয়ন-সমৃদ্ধি দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত এদের চরিত্রটাই হচ্ছে- সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, এতিমের টাকা আর্তসাত থেকে শুরু করে নানা রকম অপকর্ম করা। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ তে এরা অগ্নিসন্ত্রাস করে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে, মসজিদে আগুন দিয়েছে, কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে। এরা করেনি এমন কোনো কাজ নেই। তারা ধ্বংস করতে জানে। তারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে, বাংলাভাই সৃষ্টি করেছে। এরা শুধু মানুষের ক্ষতি করতে জানে।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত রেখে দেশের মানুষকে শান্তি, নিরাপত্তা দিতে চাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান তা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই।

আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-অর্থবহ হবে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। এ নির্বাচনটাও শান্তিপূর্ণ হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং সবার অংশগ্রহণে এ নির্বাচন অর্থবহ হবে।

নির্বাচনী জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। আমরা আবার সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করতে সক্ষম হবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।