শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
মেয়র বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারন করা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল মহানগরের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময়ই স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে। বরিশাল মহানগরে ৩৭১ জন কাউন্সিলর রয়েছে, তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কাদের নেতৃত্বে আনা হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক লোকের সমাগম ঘটেছে। যে কারণে পদপ্রত্যাশীদের সংখ্যাও বেড়েছে। অনেকেই আছেন যাদের সভাপতি এবং সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল হওয়ায় এখানে উন্মুক্তভাবে যে কেউই প্রার্থী হতে পারেন। কিন্তু তাদের নির্বাচন করবেন কাউন্সিররা।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আফজালুল করিম, সাইদুর রহমান রিন্টু এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ ২০১২ সালে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে সম্মেলনে তৎকালীন সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন মহানগর সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। এর চার বছর পর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা বরিশাল নগর । ব্যানার ফেস্টুন টানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দলীয় নেতাকর্মীরা সড়কের ওপর তোরণ বসিয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল বিমানবন্দর থেকে নগরের সার্কিট হাউস পর্যন্ত সড়ক ব্যানার-ফেস্টুন ও তোড়নে সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এমএস/এবি